অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেমগুলোর একটি । Statcounter এর মতে , প্রায় ৭৫ শতাংশেরও বেশি স্মার্টফোন অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যেম চলে । এমন অবস্থায় অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সিকিউরিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ । আর অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের এই বহুল ব্যবহারের কারণে এই অপারেটিং সিস্টেম হ্যাকারদের প্রথম পছন্দ । তাই একটু অসতর্ক হলেই হ্যাকাররা সহজেই আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে প্রবেশ করে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে । তাহলে কীভাবে আপনার ফোন এবং ব্যক্তিগত ডেটা হ্যাকারদের থেকে নিরাপদ রাখবেন? আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল নিরাপদ রাখার ১০ টি উপায় সম্পর্কে বলব ।
Table of Contents
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল নিরাপদ রাখার উপায়
আমি ইতিমধ্যেই উল্লেখ করেছি যে, অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম । এ কারণে প্রতিদিনই এই অপারেটিং সিস্টেমে সাইবার হামলা হচ্ছে । যদিও গুগলের অ্যান্ড্রয়েড সিকিউরিটি টিম এসব হামলার বিপরীতে জবাব দিতে সর্বদা প্রস্তুত থাকে । কিন্তু তারপরেও অনেক সময় হ্যাকাররা তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করতে সক্ষম হয় ।অর্থাৎ তারা অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমে ঢুকে ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি করতে সক্ষম হয় । আপনিও যদি একজন অ্যান্ড্রয়েড ইউজার হন, তাহলে অবশ্যই আপনার ফোন এবং পার্সোনাল ডেটা সুরক্ষিত রাখতে নিচে উল্লেখিত ১০ টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল নিরাপত্তা টিপস অনুসরণ করুন ৷ নিচে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সিকিউর রাখার উপায় দেওয়া হল –
1. অরিজিনাল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
আপনাদের একটি বিষয় জানিয়ে রাখি যে, বেশিরভাগ আন্ড্রয়েড ফোন হ্যাকিং হয় শুধুমাত্র অ্যাপস এর মাধ্যমে । তাই সবসময় গুগল প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপস ডাউনলোড করে ইন্সটল করুন । গুগল প্লে স্টোরে যদি কোনো অ্যাপ না পাওয়া যায় তাহলে তা কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করুন । থার্ড পার্টি কোন ওয়েবসাইট থেকে কোন অবস্থাতেই অ্যাপস ডাউনলোড করবেন না । কারণ থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা অ্যাপসের সাথে ভাইরাস থাকতে পারে এবং এর সর্বশেষ উদাহরণ হল Agent Smith Virus, যা একটি থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট থেকে ছড়িয়েছিল ।
যে কোন অ্যাপ ডাউনলোড করার সময় অবশ্যই অ্যাপ ডেভেলপারের নাম চেক করুন । থার্ড পার্টি অ্যাপ ডেভেলপারের তৈরি করা অ্যাপ ডাউনলোড করা থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকুন । সর্বদা কোম্পানির অরিজিনাল এবং অফিসিয়াল অ্যাপ ডাউনলোড করুন । বিশেষ করে ব্যাঙ্কিং রিলেটেড কোন অ্যাপ ডাউনলোড করার সময় বেশী সতর্ক থাকবেন । কারণ হ্যাকাররা একই নামের অ্যাপ তৈরি করে আপনাকে বিভ্রান্ত করতে পারে এবং সেই সাথে ক্ষতি করতে পারে । এই ধরনের ম্যালিসিয়াস অ্যাপগুলি আপনার ফোনে থেকে আপনার সমস্ত ডেটা চুরি করে এর ডেভেলপারদের কাছে পাঠানোর মাধ্যমে নীরবে তাদের কাজ সম্পন্ন করে ।
2. অ্যাপের পারমিশন দেওয়ার আগে ভাল করে পড়ুন
আপনার ফোনে যে কোনো অ্যাপ ইন্সটল করার সময় এটি কিসের পারমিশন চাচ্ছে তা ভাল করে পড়ে নিন । এটি পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন যে অ্যাপটি আপনার ফোনের কোন কোন তথ্য অ্যাক্সেস করবে । যদি কোনো অ্যাপ ইন্সটল করার সময় প্রয়োজনের চেয়ে বেশি পারমিশন চায়, তাহলে সেটি ইনস্টল করা এড়িয়ে চলুন । উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি টর্চ অ্যাপ ইন্সটল করার সময় আপনার কাছে কন্ট্যাক্ট এবং টেক্সট রিড করার জন্য অনুমতি চায়, তাহলে বুঝে নিন যে এই অ্যাপ শুধুমাত্র ডেটা চুরি করার জন্য তৈরি করা হয়েছে । কারণ টর্চ অ্যাপ রান করার জন্য শুধুমাত্র LED ফ্ল্যাশ প্রয়োজন, কন্ট্যাক্ট বা টেক্সট নয় । তাই এই ধরনের অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ডাউনলোড করা থেকে বিরত থাকুন ।
আরও পড়ুনঃ অনলাইনে ইনকাম করার ৫০ টি উপায়
3. অ্যাপ রেটিং চেক করুন
প্রতিটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে, এর নিচের দিকে আপনি সেই অ্যাপের রেটিং দেখতে পাবেন । সেই সাথে এর আগে যারা সেই অ্যাপ ব্যবহার করেছে তারা সেই অ্যাপের কার্যকারিতা, বৈশিষ্ট্য এবং ত্রুটিগুলি সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেছে । এবং সেই অনুসারে তারা অ্যাপটিকে রেটিংও দিয়েছে । এর থেকে নতুন ব্যবহারকারীরা সেই অ্যাপ সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে পারে । কোনো অ্যাপের রেটিং যদি ৩ স্টারের কম হয় এবং বেশি নেতিবাচক মন্তব্য থাকে তাহলে সেই অ্যাপ ইনস্টল করবেন না । এটি আপনার ফোনের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে ।
4. আপনার ফাইল লক করে রাখুন
আপনি সবসময় আপনার ফোন লক করে রাখুন । ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফেস লক, প্যাটার্ন, পিন বা পাসওয়ার্ড লক ইত্যাদির যে কোনটি দিয়ে লক করে রাখুন । কিন্তু শুধুমাত্র ফোন লক যথেষ্ট নয় । কারণ আপনার ফোনে আপনার গোপনীয় ছবি, ভিডিও এবং গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট থাকতে পারে । তাই এগুলোর জন্য আলাদা সুরক্ষার প্রয়োজন ৷ তাই আপনার গ্যালারী এবং ফাইল ম্যানেজার আলাদা করে লক করে রাখুন । যাতে ফোনটি লক খোলা অবস্থায় অন্য কোন ব্যক্তির হাতে থাকলেও সে আপনার গোপনীয় ফাইলগুলি দেখতে না পারে । এর জন্য আপনার ফোনে থাকা অ্যাপ লক ফিচারের সাহায্য নিন ।
আপনার ফোনে যদি বিল্টইন অ্যাপ লক ফিচার না থাকে, তাহলে আপনি প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ লক অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারেন । এই ধরনের অ্যাপের সাহায্যে, আপনি আপনার অ্যাপ লক করার পাশাপাশি, আপনার গোপনীয় ফটো এবং ভিডিওগুলিও লুকিয়ে রাখতে পারবেন । সেই সাথে, আপনি যে অ্যাপের মাধ্যমে ফাইল লক করেছেন সেটিকেও লুকিয়ে রাখতে পারবেন । অর্থাৎ, এটি আপনার ফোনে থাকবে কিন্তু এটি কারও সামনে দৃশ্যমান হবে না, এমনকি আপনার সামনেও নয় । যার ফলে আপনার ফোনে এই অ্যাপ আছে কি না তাও কেউ জানতেও পারবে না । অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সিকিউরিটির জন্য এই ধরনের অ্যাপ খুব ভালো ।
5. গুরুত্বপূর্ণ ডেটা ব্যাক করুন
আপনার ফোনে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ডেটার ( কন্ট্যাক্ট, টেক্সট, ছবি ইত্যাদি) ব্যাক আপ রাখুন ৷ এজন্য ফোনের সেটিংসে অটো ব্যাকআপের অপশনটি সবসময় এনাবল করে রাখুন । এছাড়াও, গুগল ড্রাইভেও প্রয়োজনীয় ডেটার ব্যাকআপ ফাইল সংরক্ষণ করতে থাকুন । যাতে যদি কোন কারণে আপনার ফোন হারিয়ে বা চুরি হয়ে যায় অথবা আপনার ফোন হ্যাক হয় বা ফোনে র্যানসমওয়্যারের এট্যাক হয় তাহলেও যেন আপনার ডেটা নিরাপদ থাকে । আর এর ফলে পুনরায় আপনার ডেটা আবার ব্যবহার করতে পারবেন । কন্ট্যাক্ট নাম্বারগুলো একটি বড় সমস্যা বিশেষ করে যখন ফোন হারিয়ে যায় । প্রতিটি কন্ট্যাক্ট নাম্বার নতুন করে খুঁজে বের করে নতুন ফোনে সেভ করা অনেক ঝামেলার ব্যাপার । তাই এই সমস্যা এড়াতে একটি মাত্র উপায় হল আপনার ডাটার ব্যাকআপ রাখা । তাই নিয়মিত আপনার গুরুত্বপূর্ণ ডাটার ব্যাকআপ রাখুন ।
6. ফোন ও অ্যাপস আপডেট করুন
আপনি খেয়াল করলে দেখবেন যে, আপনার ফোনে মাঝে মাঝে অ্যাপ আপডেট করার জন্য মেসেজ আসে । অনেকেই এগুলোকে ইগনোর করেন, যা সবচেয়ে বড় ভুল । কোনো অ্যাপ একবারে পরিপূর্ণরূপে তৈরি করা সম্ভব হয় না । এছাড়াও অ্যাপে বিভিন্ন ধরনের নতুন ফিচার যুক্ত করা হয় । সেই সাথে নতুন আপডেট ভার্সনে অ্যাপের পূর্বের ভার্শনের বিভিন্ন ধরনের বাগ ফিক্স করা হয় । তাই আপনার ফোনে থাকা অ্যাপস গুলো নিয়মিত আপডেট করুন । এটি আপনার অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল এবং আপনার নিজের নিরাপত্তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । যদি আপনারা নিয়মিত আপনাদের ফোনের অ্যাপস আপডেট না করেন তাহলে হ্যাকাররা আপনার ফোনে থাকা অ্যাপসের পুরাতন ভার্শনের বাগ ব্যবহার করে আপনার ফোন হ্যাক করে ফেলতে পারে।
অ্যাপের মতোই আপনার ফোনও নিয়মিত আপডেট করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । ফোন নির্মাতারা কিছু দিন পর পরই তাদের ফোনের সফটওয়্যার আপডেট ইস্যু করে বা সিস্টেম আপডেট করে । এই আপডেটগুলির মাধ্যমে, সিস্টেমের ত্রুটি বা বাগ ফিক্স করার পাশাপাশি নতুন নতুন ফিচারও যুক্ত করা হয় । এছাড়াও গুগল প্রত্যেক মাসে তাদের অ্যান্ড্রয়েড সিকিউরিটি প্যাচ পাবলিশ করে । অ্যান্ড্রয়েডের নিরাপত্তার জন্য এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ আপডেট । তাই নিয়মিত আপনার ফোন এবং ফোনে থাকা অ্যাপ আপডেট করতে থাকুন ।
7. এনক্রিপশন ব্যবহার করুন
এনক্রিপশন হল এমন একটি প্রযুক্তি যার মাধ্যমে আপনি যদি কাউকে কোন মেসেজ পাঠান, তাহলে আপনি এবং প্রাপক ছাড়া অন্য কেউ আপনার পাঠানো বার্তা পড়তে পারবে না । কারণ এই প্রযুক্তিতে টেক্সটকে কিছু হিজিবিজি কোডে রূপান্তরিত করা হয়, যা কোনোভাবেই রিড করা যায় না । তাই আপনার ফোনে ফুল ডিভাইস এনক্রিপশন ইউজ করুন । আজকাল বেশিরভাগ স্মার্টফোনেই এনক্রিপশনের ফিচার বিল্টইন ভাবেই দেয়া শুরু করেছে । আপনি আপনার ফোনের সেটিংস অপশনে এই অপশনটি পাবেন । যদি আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এই ফিচার না থাকে, তাহলে আপনি প্লে স্টোর থেকে এনক্রিপশন অ্যাপ ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন ।
8. পাবলিক ওয়াইফাই এড়িয়ে চলুন
অনেক সময় আমরা দেখি যে, অনেক জায়গায় পাসওয়ার্ড ছাড়াই কিছু ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে কানেক্ট করা যায় । এবং আমরা তখন ফ্রি তে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার জন্য আমাদের ফোনটি সেই ওয়াইফাই এর সাথে কানেক্ট করি এবং কোন ধরনের চিন্তা ভাবনা না করেই ইন্টারনেট ব্রাউজিং করা শুরু করে দেই । কিন্তু এমনটা করা একদম উচিত নয় ! এটি আমাদের গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে । তাই সবসময় শুধু সিকিউর ওয়াইফাই কানেকশন ব্যবহার করুন । এমন ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে কখনোই আপনার ফোন কানেক্ট করবেন না, যেগুলির নিরাপত্তা সম্পর্কে আপনার কাছে কোন সঠিক তথ্য নেই । পাবলিক ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে কখনই সংবেদনশীল ডেটা, যেমন ব্যাঙ্ক ডিটেইলস, ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডের ডিটেইলস ইত্যাদি শেয়ার করবেন না ।
9. পেইড অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন
আপনারা নিশ্চই জানেন যে, অ্যান্ড্রয়েড একটি অত্যন্ত সুরক্ষিত অপারেটিং সিস্টেম এবং আপনার অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে কোন ধরনের অ্যান্টিভাইরাস ইউজ করার দরকার নেই । কিন্তু আপনি যদি Unknown Source থেকে আপনার ফোনে থার্ড পার্টি কোন অ্যাপ ইনস্টল করেন অথবা আপনি যদি ভুল করেও কোন স্প্যাম লিঙ্কে ক্লিক করেন এবং ভাইরাস-সংক্রমিত কোন ফাইল আপনার ফোনে ডাউনলোড হয়ে যায়, তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই একটি ভাল পেইড অ্যান্টিভাইরাস রাখতে হবে ।এছাড়াও, কিছুদিন পর পর এটি আপডেট করতে থাকুন যাতে এটি নতুন নতুন ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকে । গুগল প্লে স্টোরে থাকা ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপগুলো মূলত কোনো কাজে আসে না, তাই সেগুলোর ওপর নির্ভর না করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে ।
10. তৃতীয় পক্ষের অ্যাপস এবং গোপনীয়তা
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম হল গুগলের সম্পত্তি । আপনার একটি Android স্মার্টফোন কেনার অর্থ হল আপনি Google এর সাথে একটি চুক্তিতে প্রবেশ করলেন । এই চুক্তিতে আরও বলা থাকে যে, নিরাপত্তার স্বার্থে কোন থার্ড পার্টি অ্যাপ আপনার ফোনে ব্যবহার না করলেই ভালো হবে । এটি আপনার ফোনের নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । তাই অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সিকিউর রাখতে থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন ।
আরও পড়ুনঃ কীভাবে ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করবেন
কেন Android মোবাইল নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ ?
আসলে বর্তমান ডিজিটাল যুগে স্মার্টফোন ছাড়া চলা খুবই কঠিন । কারণ স্মার্টফোন ছাড়া এখন আমরা সকালে ঘুম থেকেও উঠতে পারি না । মোবাইলের অ্যালার্মের মাধ্যমে ঘুম থেকে ওঠার পর সারা দিন, কল, টেক্সট, চ্যাট, ব্যাঙ্কিং ইত্যাদি সবকিছু করতে স্মার্টফোন আমাদের সাহায্য করে । সত্যি কথা বলতে, বর্তমানে সময়ে স্মার্টফোন আমাদের সেরা এবং সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বন্ধু ।কিন্তু একই সাথে এটা এক ধরণের গুপ্তচর, যা আমাদের উপর চব্বিশ ঘন্টা গোয়েন্দাগিরি করে । এই স্মার্টফোনগুলো আমাদের সম্পর্কে এত কিছু জানে যে আমরা নিজেরাও এর অনেক কিছু জানি না । তাই এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের বড় দায়িত্ব ।
শেষ কথা
আমরা আশা করছি আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনার আপনাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল নিরাপদ রাখার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরছেন । উপরের দেওয়া টিপস গুলো মেনে চললে আপনার ফোনটি হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম । আর এর ফলে আপনার ব্যক্তিগত ডেটাও সেফ থাকবে । আর্টিকেলটি নিয়ে যে কোন ধরনের প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে কমেন্ট সেকশনে জানান ।
ধন্যবাদ ।