স্বাস্থ্যের প্রতি একটু অসাবধানতা বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতার কারণ হতে পারে । সময়মত সতর্ক না হলে, সামান্য সর্দি-কাশি থেকেও গলায় শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে । শ্বাসকষ্টের লক্ষণগুলি উপেক্ষা করলে পরবর্তীতে অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে । আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সাথে, শ্বাসকষ্টের কারণ , লক্ষণ এবং শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব ।
Table of Contents
শ্বাসকষ্ট কি
শ্বাসকষ্ট হল এমন একটি অবস্থা, যখন শ্বাস নেওয়ার সময় গলা থেকে হালকা শিসের মত শব্দ বের হয় । শ্বাস নেয়ার সময় ফুসফুস থেকে যে শো শো শব্দ বের হয় তাকে বলে শ্বাসকষ্ট । ফুসফুস থেকে বেরিয়ে আসা বাতাস, যখন নাকের সরু এয়ার টিউবগুলির মধ্য দিয়ে যায়, তখন এই ধরনের শব্দ উৎপন্ন হয় । শ্বাস ছাড়ার সময় এই শব্দ বেশি শোনা যায় । এছাড়াও, শ্বাস নেওয়ার সময়ও এই শব্দ হয়ে থাকে । এটি সাধারণত ঠান্ডা, হাঁপানি এবং সিওপিডি (ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ) এর লক্ষণ হিসেবে দেখা দেয় ।
শ্বাসকষ্টের কারণ – শ্বাসকষ্ট কেন হয়
শ্বাসকষ্টের সমস্যা মূলত হাঁপানিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যেই বেশী দেখা যায় ( তথ্যসূত্র )। এছাড়াও, শ্বাসকষ্টের অন্যান্য কিছু কারণ নীচে দেওয়া হল –
- হাঁপানি
- শ্বাস নেওয়ার সময় ফুসফুসে কিছু আটকে যাওয়া
- শ্বাসনালী সরু হয়ে যাওয়া
- ফুসফুসের ক্ষুদ্রতম বায়ুপথে ফোলাভাব এবং শ্লেষ্মা জমা হয়
- সিওপিডি (ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ) এর কারণে । সিওপিডি হল শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণের কারণে হওয়া ফুসফুসের একটি রোগ ।
- এমফিসেমা (ফুসফুসের একটি অবস্থা যা শ্বাসকষ্ট তৈরি করে)
- অ্যাসিড রিফ্লাক্স ডিজিজ অর্থাৎ পাকস্থলীতে খাবার বহনকারী টিউবের সমস্যার কারণে
- হার্ট ফেইলিউরের কারণে (কার্ডিয়াক অ্যাজমা)
- পোকামাকড় কামড় এলার্জি
- অ্যাসপিরিনের মতো কিছু ওষুধের কারণে
- ফুসফুসের সংক্রমণ যেমন নিউমোনিয়া
- ধূমপানের কারণে
- ভাইরাল সংক্রমণের কারণে, বিশেষ করে 2 বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে
- কার্সিনয়েড ক্যান্সার (একটি ক্যান্সার যা ফুসফুসে ঘটে)
- ভোকাল কর্ডের সমস্যার কারণে । যেখানে গলা অস্বাভাবিকভাবে সংকুচিত হয়
- গলায় শ্লেষ্মা
- স্লিপ অ্যাপনিয়া (ঘুমানোর সময় শ্বাস নিতে সমস্যা)
- আরএস ভাইরাস (ফ্লুর মতো লক্ষণ)
আরও পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কোন ফল খাওয়া উচিত এবং কোনটি উচিত নয়
শ্বাসকষ্টের লক্ষণ
শ্বাসকষ্টের লক্ষণগুলি কী কী?
শ্বাসকষ্ট নিজেই একটি লক্ষন । সেই সাথে এর কারণের উপর নির্ভর করে আরও কিছু লক্ষণ দেখা যেতে পারে । শ্বাসকষ্টের লক্ষণ নিচে উল্লেখ করা হল –
- শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় শো শো শব্দ বা অস্বস্তি অনুভব করা
- গলা ব্যাথা
- ওজন কমে যাওয়া
- ক্ষুধা কমে যাওয়া
- বুকে ব্যাথা হওয়া
- ক্লান্তি এবং দুর্বলতা অনুভব করা
- অবিরাম কাশি
- শ্বাসকষ্ট
শ্বাসকষ্টের ঝুঁকির কারণ
শ্বাসকষ্টের ঝুঁকির কারণগুলি নিচে দেওয়া হল –
- জিনগতভাবে হাঁপানি বা অ্যাটোপির কারণে । জেনেটিক ত্রুটির কারণে যে অ্যালার্জির সমস্যা হয় তাকে অ্যাটোপি বলে ।
- শৈশবে একজিমা ।
- অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের কারণে, যার কারণে নাক ফুলে যায় ।
- এলার্জি সংবেদনশীলতা ।
- ভাইরাল সংক্রমণের কারণে ।
- শ্বাসযন্ত্রের মধ্যে ভাইরাল সংক্রমণ।
- রাইনোভাইরাস সংক্রমণের কারণে, যা গলা ব্যথা এবং সর্দি-কাশির মতো অবস্থাকে বাড়িয়ে তোলে ।
- গর্ভাবস্থায় ধূমপান করা এবং প্যাসিভ ধূমপান । একজন অধূমপায়ী সিগারেট খাওয়ার সময় বাতাসের মধ্য দিয়ে যে ধোঁয়া গ্রহন করে, তাকে প্যাসিভ ধূমপান বলে ।
কাদের শ্বাসকষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বেশী
- এলার্জির সমস্যা আছে এমন মানুষ
- পরিবারের কোন সদস্যের হাঁপানি রয়েছে
- যারা বর্তমানে ধূমপান করছেন বা যারা অতীতে ধূমপান করেছেন
- বাড়ির অন্য কেউ ধূমপান করলে
- ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তিরা
শ্বাসকষ্ট নির্ণয় করার উপায়
নিচে উল্লিখিত পদ্ধতি গুলোর মাধ্যমে চিকিৎসকরা শ্বাসকষ্ট নির্ণয় করে থাকেন –
শারীরিক পরীক্ষা: চিকিৎসক, রোগীর শ্বাস নেয়ার সময় শব্দের তীব্রতা এবং সময় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে পারেন । এছাড়াও, আপনি ক্যান্সার বা অন্য কোন চিকিৎসার জন্য কোনও মাথা বা গলার সার্জারি বা লেজার থেরাপি করিয়েছেন কি না, সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে পারেন ।
বুকের এক্স-রে: শ্বাসযন্ত্রের ট্র্যাক্ট বা ফুসফুসে কোন কিছু আটকে আছে কিনা তা জানার জন্য চিকিৎসক বুকের এক্স-রে করার পরামর্শ দিতে পারেন ।
পালমোনারি ফাংশন টেস্ট: ফুসফুসের ফাংশন টেস্টের মাধ্যমে চিকিৎসক শ্বাসযন্ত্রের অবস্থা মেরামতযোগ্য কিনা তা বুঝতে পারেন ।
সিটি স্ক্যান: যদি শ্বাসকষ্টের কারণ খুঁজে না পাওয়া যায়, তবে এটি টিউমারের লক্ষণ হতে পারে । এই ধরনের পরিস্থিতিতে, ডাক্তার রোগিকে সিটি স্ক্যান করার সুপারিশ করতে পারেন ।
আরও পড়ুনঃ উচ্চ রক্তচাপ কি ? উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ, চিকিৎসা এবং ঘরোয়া প্রতিকার
শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা
উপরের শ্বাস নালীর ইনফেকশন বা ঠান্ডার সাথে হালকা শ্বাসকষ্টের জন্য বেশিরভাগ সময় চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না । তবে কিছু ক্ষেত্রে, কিছু নির্দিষ্ট ধরনের ওষুধ বা ইনহেলার দিয়ে শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিরাময় করা হয় । কখনও কখনও দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন হয়, যেখানে রোগীকে অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন হয় । কিছু কিছু রোগীদের শ্বাসকষ্টের উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত হসপিটালে রাখা হয় ।
শ্বাসকষ্টের কারণের উপর ভিত্তি করে শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা করা হয় । এছাড়াও কিছু সাধারণ ব্যবস্থা রয়েছে যা শ্বাসকষ্ট কমাতে সাহায্য করে ।
Symbicort-এর মাধ্যমে – Symbicort-এর মতো ওষুধগুলি হাঁপানি এবং COPD-এর চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয় । এই ওষুধটি শ্বাসের মাধ্যমে নেওয়া হয় ( তথ্যসূত্র )। যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, তাদের এটি ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয় । শুধুমাত্র ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার পরেই, এই ধরনের ওষুধ ব্যবহার করুন ।
হাঁপানি নিরাময় – শ্বাসকষ্টের সমস্যার অন্যতম কারণ হল হাঁপানি । এ ক্ষেত্রে হাঁপানি নিরাময়ের জন্য চিকিৎসা গ্রহন করা যেতে পারে । ডাক্তারের সুপারিশকৃত চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে ফুসফুসের পথের প্রদাহ কমানো যেতে পারে । এটি শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করতে পারে ( তথ্যসূত্র )। হাঁপানির চিকিৎসার জন্য সাধারণত ইনহেলড স্টেরয়েড এবং কিছু মুখে খাওয়ার ট্যাবলেট (যেমন মন্টেলুকাস্ট) ব্যবহার করা হয় ।
ব্রঙ্কাইটিস : যদি শ্বাসকষ্ট, ব্রঙ্কাইটিসের কারণে হয়ে থাকে, তবে চিকিৎসকরা কিছু অ্যান্টিবায়োটিক বা কিছু ব্রঙ্কোডাইলেটর জাতীয় ওষুধ যেমন অ্যালবুটেরল খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন ।
চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে – অনেক কারণে (অ্যাস্থমা, ভাইরাল সংক্রমণ ইত্যাদি) শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে ( তথ্যসূত্র )। এমন পরিস্থিতিতে, শ্বাসকষ্ট হওয়ার সঠিক কারণ জানতে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন । এর পরে, শ্বাসকষ্টের চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের দেওয়া পরামর্শ এবং ওষুধ সেবনের মাধ্যমে শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা করা যেতে পারে ।
নোট – উপরের পদ্ধতিগুলির কোনওটি, ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতিত ব্যবহার করবেন না ।
শ্বাসকষ্ট কমানোর ঘরোয়া উপায় – শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধের টিপস
শ্বাসকষ্ট কমাতে নিচে উল্লেখিত ঘরোয়া প্রতিকারগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে –
উষ্ণ পানি পান করুন – গরম পানি পানের মাধ্যমেও শ্বাসকষ্টের সমস্যা কমানো যায় । উষ্ণ গরম পানি পান করা, শ্লেষ্মা, গলা ব্যথা এবং সর্দির সমস্যা কমাতে সাহায্য করে । আমরা আগেই বলেছি যে, শ্বাসকষ্টের অন্যতম একটি কারণ হল শ্লেষ্মা ( তথ্যসূত্র )। এই ক্ষেত্রে, গরম পানি পান করার মাধ্যমে শ্লেষ্মা সমস্যা কমে যায়, সেই সাথে শ্বাসকষ্টও কমে যায় । এজন্য শ্বাসকষ্ট কমাতে গরম পানি পান করতে পারেন । এছাড়াও গরম চা এবং কফি পান করতে পারেন ।
স্টিম ইনহেলেশন: বাষ্পে আর্দ্র এবং উষ্ণ বাতাস থাকে, এই বায়ু সাইনাস ক্লিয়ার করতে এবং শ্বাসযন্ত্রের প্যাসেজগুলি ওপেন করতে খুব কার্যকর । তাই আপনি শ্বাসকষ্টের সমস্যা কমাতে স্টিম ইনহেলেশন নিতে পারেন । একটি বড় পাত্রে গরম পানি ঢেলে নিন । পাত্রের উপর মুখ রেখে, একটি তোয়ালে দিয়ে আপনার মাথা ঢেকে নিন । সম্ভব হলে গরম পানির সাথে মেন্থল যোগ করতে পারেন । এতে বাষ্প আরও কার্যকরভাবে কাজ করে । এরপর লম্বা লম্বা করে শ্বাস নিন ।
ধূমপান ত্যাগ করুন – ধূমপান শ্বাসকষ্টের কারণের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ( তথ্যসূত্র )। তাই ধূমপান সম্পূর্ণভাবে পরিহার করুন ।সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন দ্বারা প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্যাসিভ স্মোকিং শিশুদের হাঁপানির ঝুঁকি বাড়ায় ( তথ্যসূত্র )। একারণে শিশুদের মধ্যেও হাঁপানির সমস্যা দেখা দিতে পারে । তাই প্যাসিভ স্মোকিং থেকে আপনার শিশুদের দূরে রাখুন ।
আর্দ্র বাতাস শ্বাস নেওয়া এড়িয়ে চলুন – আর্দ্র বাতাসে ছত্রাক থাকে এবং বৃদ্ধি পায় । যখন এই ছত্রাক শ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে যায়, তখন এটি হাঁপানির ঝুঁকি বৃদ্ধি করে ( তথ্য )। এমন পরিস্থিতি এড়াতে, ঘরে আর্দ্রতার মাত্রা ৩৫-৫০% এর মধ্যে রাখুন । এটি এয়ার কন্ডিশন দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব ।
বেশি করে ফল ও সবজি খান – বেশি ফল এবং শাক সবজি খাওয়া হাঁপানি এবং সিওপিডি কমাতে সাহায্য করে । কোন ধরনের শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়া আপনার জন্য উপযুক্ত হবে সে বিষয়ে একজন ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিন ।
ঠান্ডা এবং শুষ্ক আবহাওয়ায় ব্যায়াম করবেন না – ঠাণ্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়ায় ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকুন । প্রকৃতপক্ষে, সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন দ্বারা প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুসারে, ঠান্ডা এবং শুষ্ক বাতাসে শ্বাস নিলে হাঁপানির ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়, যার ফলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে । আর ব্যায়ামের সময় শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বেড়ে যায়, তাই এমন জায়গায় ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকুন ।
শ্বাসকষ্টের জটিলতা
শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা এবং প্রতিরোধের উপায় জানার পর, এখন শ্বাসকষ্টজনিত জটিলতাগুলো সম্পর্কে জানার পালা । শ্বাসকষ্ট একটি সাধারণ সমস্যা বলে মনে হতে পারে, তবে কারণের উপর নির্ভর করে, অনেক ক্ষেত্রে এটি বড় ঝুঁকির কারনও হতে পারে । শ্বাসকষ্টের জটিলতাগুলি নিচে দেওয়া হল –
- হাঁপানি
- অত্যধিক শ্বাসকষ্ট
- বুক ব্যাথা
- নিঃশ্বাসের দুর্বলতা
- কাশি
- অক্সিজেনের মাত্রা হ্রাস
- বারবার নিউমোনিয়া হওয়ার ঝুঁকি
- মানসিক অবস্থার অবনতি
- কর্ পালমোনেল (হৃৎপিণ্ডের ডান দিকে দুর্বল হয়ে যাওয়া)
শেষ কথা
শ্বাসকষ্টের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ জানার পর এই সমস্যা এড়াতে সময়মতো ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন । সময়মত চিকিৎসা না করালে পরবর্তীতে বড় ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে । এছাড়াও, নিবন্ধে উল্লিখিত শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধ করার টিপসগুলো অনুসরণ করতে পারেন । আজকের আর্টিকেলে, আমরা আপনাদের সাথে শ্বাসকষ্টের কারণ, লক্ষণ ও ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করেছি । আর্টিকেলটি নিয়ে যে কোন ধরনের প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে কমেন্ট সেকশনে জানান ।