স্প্যাম স্কোর একটি ওয়েবসাইটের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটি গুগল সার্চ ইঞ্জিনের ranking এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি আপনার একটি ওয়েবসাইট থেকে থাকে এবং আপনি এর স্প্যাম স্কোর সম্পর্কে অবগত না থাকেন, তাহলে সবার আগে আপনার ওয়েবসাইটের স্প্যাম স্কোর সম্পর্কে জানা খুবই দরকার । যদি আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের উচ্চ স্প্যাম স্কোর থাকে, তাহলে এটি আপনার ওয়েবসাইটে অনেক ধরনের খারপ প্রভাব ফেলতে পারে, এটি আপনার ওয়েবসাইটের র্যাঙ্কিং কমিয়ে দিতে পারে এবং এটি আপনার অরগ্যানিক ট্রাফিকের উপরেও প্রভাব ফেলতে পারে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি যে, ওয়েবসাইট স্প্যাম স্কোর কি এবং কিভাবে ওয়েবসাইট স্প্যাম স্কোর কমানো যায়।
Table of Contents
স্প্যাম স্কোর কি – What is spam score in Bangla
স্প্যাম স্কোর হল এক ধরনের ডিজিটাল রেটিং সিস্টেম। যার সাহায্যে আমরা যে কোন ডোমেইন বা ওয়েবসাইটের স্প্যাম কোয়ালিটি চেক করতে পারি। এসইওর জন্য স্প্যাম স্কোর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবং সাধারনত মোজ কোম্পানি স্প্যাম স্কোর তথ্য বা ডেটা প্রদান করে থাকে।
MOZ SEO Data অনুযায়ী স্প্যাম স্কোর 0-4, 5-7 এবং 8-17 এই ৩ ভাগে বিভক্ত । মোজ ( MOZ ) 2015 সালে স্প্যাম স্কোর বৈশিষ্ট্য প্রথম চালু করেছিল। স্প্যাম স্কোর সধারনত শতাংশে (%) পরিমাপ করা হয়ে থাকে ।
কিভাবে ওয়েবসাইটের স্প্যাম স্কোর চেক করবেন
আমরা অনেকেই জানি না যে, কিভাবে ওয়েবসাইট বা ডোমেইনের স্প্যাম স্কোর চেক করতে হয়। তাহলে চলুন জেনে নেই, কিভাবে আমরা সবচেয়ে সহজ পদ্ধতিতে কোন ডোমেইন বা ওয়েবসাইটের স্প্যাম স্কোর চেক করতে পারি?
- আপনার ওয়েবসাইটের স্প্যাম স্কোর চেক করতে হলে প্রথমে আপনাকে Spam Score Checker Tool ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
- এখন আপনাকে প্রথম বক্সে যে ওয়েবসাইটের স্প্যাম স্কোর চেক করতে চান সেই ডোমেইন নেম বা ওয়েবসাইট ইউআরএল পেস্ট করতে হবে।
- এর পরে আপনাকে যাচাই করতে হবে আপনি রোবট নন, আর এটি করার জন্য I’m not a robot লেখার বাম পাশের চেক বক্সে ক্লিক করুন।
- পরের ধাপে নিচে থাকা Check বোতামে ক্লিক করুন
- এখন আপনি সেই ডোমেইন বা ওয়েবসাইটের স্প্যাম স্কোরের পাশাপাশি নিচে DA এবং PA এর পরিসংখ্যানও দেখতে পাবেন।
এইভাবে আপনি মোজ লিংক এক্সপ্লোরার টুলস দিয়ে খুব সহজেই আপনার ওয়েবসাইট এবং ব্লগের স্প্যাম স্কোর খুঁজে বের করতে পারেন। স্প্যাম স্কোর চেক করার জন্য আরও পদ্ধতি রয়েছে। আপনি যদি গুগলে “স্প্যাম স্কোর চেকার টুলস” লিখে সার্চ করেন, তাহলে ওয়েবসাইট এসইও চেকার এবং Small Seo Tools এর মত অনেক ধরনের স্প্যাম চেকার টুল পাওয়া যাবে। যেগুলোর সাহায্যেও আপনি আপনার ওয়েবসাইটের স্প্যাম স্কোর চেক করতে পারবেন।
ওয়েবসাইটের স্প্যাম স্কোর কত থাকা উচিত
- আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের স্প্যাম স্কোর চেক করে থাকেন, এটি 1% -30% এর মধ্যে আসে তাহলে আপনার স্প্যাম স্কোর কম, অর্থাৎ আপনি গ্রিন জোনে আছেন। তবে আপনি সবসময় আপনার ওয়েবসাইটের স্প্যাম স্কোর মাত্র 1% বজায় রাখার চেষ্টা করবেন।
- যদি আপনার ওয়েবসাইটের স্প্যাম স্কোর 31%-60% এর মধ্যে পড়ে, তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের স্প্যাম স্কোর মধ্যম হিসেবে বিবেচিত হবে। এর মানে হল যে আপনার ওয়েবসাইটের স্প্যাম স্কোর কমানো উচিত, অন্যথায় আপনার ওয়েবসাইটে সমস্যা হতে পারে।
- যদি আপনার ওয়েবসাইটের স্প্যাম স্কোর 61%-100% এর মধ্যে হয়, তাহলে আপনি রেড জোনে আছেন, অর্থাৎ এর মানে হল আপনার ওয়েবসাইট বড় বিপদে রয়েছে, আপনার ওয়েবসাইট গুগল সার্চ ইঞ্জিন থেকে যেকোনো সময় ব্যান করা হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ উইন্ডোজ ১০ এর পাসওয়ার্ড রিসেট করবেন যেভাবে
ওয়েবসাইটের স্প্যাম স্কোর বেশী থাকার অসুবিধা
যদি আপনার ডোমেইন বা ওয়েবসাইটের স্প্যাম স্কোর বেশি হয় এবং আপনি চিন্তা করেন যে এটি আপনার ওয়েবসাইটে কি রকম প্রভাব ফেলবে তাহলে নিচের পয়েন্ট গুলো পড়ুন –
- যদি আপনার ডোমেইনের স্প্যাম স্কোর বেশি হয়, তাহলে আপনার ডোমেইন বা ওয়েবসাইট গুগল দ্বারা Penalize হতে পারে।
- যদি আপনার ওয়েবসাইটের স্প্যাম স্কোর অনেক বেশি হয়, তাহলে আপনার ওয়েবসাইট বা ডোমেইনের টেকনিক্যাল এসইওতে অনেক পরিবর্তন দেখা যায়।
- যদি আপনার ডোমেইনের স্প্যাম স্কোর দিন দিন বাড়তে থাকে, তাহলে আপনার ওয়েবসাইট গুগল বা অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিন থেকে সরিয়ে ফেলা হতে পারে।
কিভাবে ওয়েবসাইটের স্প্যাম স্কোর কমানো যায়
যদি আপনার ওয়েবসাইটের স্প্যাম স্কোর বেড়ে যায় তাহলে এখন আপনাকে এই স্প্যাম স্কোর কমিয়ে আনতে হবে। আর এটি করার জন্য প্রথমেই আপনাকে সেই খারাপ বা স্প্যাম লিঙ্কগুলো খুঁজে বের করতে হবে যেগুলোর কারণে আপনার ওয়েবসাইটের স্প্যাম স্কোর বৃদ্ধি পেয়েছে।
খারাপ বা স্প্যাম ব্যাকলিংক খুঁজে বের করতে আপনি Ahrefs, Semrush, Moz Explorer টুল ব্যবহার করতে পারেন। তারপরে আপনাকে গুগল ওয়েবমাস্টার থেকে সমস্ত স্প্যাম ব্যাকলিঙ্কগুলি বাতিল করতে হবে। এর ফলে গুগল আপনার সাইটের খারাপ ব্যাকলিংক গুলোকে তাদের সার্ভার থেকে রিমুভ করে দেবে এবং আপনার সাইটের সার্চ রাঙ্কিং এ কোন সমস্যা হবে না। সবার প্রথমে স্প্যাম ব্যাকলিঙ্কের ফাইলটি ডাউনলোড করুন, আপনি গুগল সার্চ কনসোল টুলস থেকেও ব্যাকলিঙ্ক গুলো ডাউনলোড করতে পারেন। এখানে আমরা MOZ Extention ব্যবহার করে স্প্যাম ব্যাকলিঙ্ক ফাইল ডাউনলোড করার পদ্ধতি ধাপে ধাপে দেখানোর চেষ্টা করব –
- প্রথমেই আপনি MOZ Extention (আমি ব্রাউজার হিসেবে গুগল ক্রোম ব্যবহার করছি) ডাউনলোড করুন
- এবার যে ওয়েবসাইটের স্প্যাম ব্যাকলিঙ্ক ফাইল ডাউনলোড করতে চান সেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। এরপর আপনি নিচের চিত্রের মত ব্রাউজারের উপরের অংশে স্প্যাম স্কোর দেখতে পাবেন। এরপর সেই স্প্যাম স্কোর এর উপরে ক্লিক করুন।
- পরবর্তী পেজে একটু নিচের দিকে গেলে আপনি স্প্যাম ব্যাকলিঙ্কের তালিকা দেখতে পাবেন। এখন আপনি এই লিঙ্ক গুলো কপি করে নোটপ্যাডে পেস্ট করতে পারেন অথবা সরাসরি ডাউনলোড করতে Export to CSV অপশনে ক্লিক করুন।
- এরপর ডাউনলোড করা ফাইলটি নোটপ্যাডে ওপেন করুন। এরপর যে লিঙ্ক গুলো রিমুভ করতে চান সেগুলো রেখে বাকি সব কিছু মুছে দিয়ে .txt ফাইল আকারে সেভ করুন। (টেক্সট ফাইলে, শুধু যে লিঙ্ক গুলো মুছে ফেলতে চান সেগুলো রাখবেন, অন্য যে কোন লেখা মুছে দিন)
স্প্যাম ব্যাকলিঙ্ক ফাইল তৈরি করার পর এবার আমরা দেখবে কিভাবে এই ফাইলটি গুগল Search Console Disavow তে সাবমিট করবেন। গুগল Search Console Disavow ওয়েবসাইটে ফাইলটি সাবমিট করতে নিচের ধাপ গুলো অনুসরন করুন-
- প্রথমে Google Disavow Links tools টি আপনার কম্পিউটারের ব্রাউজারে ওপেন করুন
- ওয়েবসাইটটি ওপেন হওয়ার পর নিচের দিকে Select Property লিখা একটি ড্রপ ডাউন মেনু দেখতে পাবেন
- এই ড্রপ ডাউন মেনুতে ক্লিক করে আপনি আপনার যে ওয়েবসাইটের স্প্যাম স্কোর কমাতে চান সেই ওয়েবসাইট টি সিলেক্ট করে দিন।
- পরের ধাপে নিচের দিকে থাকা Upload disavow list এ ক্লিক করে আগে থেকে ডাউনলোড করে রাখা স্প্যাম ব্যাকলিঙ্ক টেক্সট ফাইলটি সিলেক্ট করে আপলোড করে দিন।
ফাইলটি আপলোড শেষ হলে আপনাকে একটি মেসেজ এর মাধ্যমে জানিয়ে দেবে। এরপর কয়েক দিনের মধ্যে গুগল আপনার দেওয়া ফাইলের লিঙ্ক গুলো মুছে দিবে এবং এর সাথে সাথে আপনার স্প্যাম স্কোর কমে যাবে বা পুনরায় ১% এ নেমে আসবে। উপরের পদ্ধতি ধাপে ধাপে অনুসরণ করে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের স্প্যাম স্কোর কমিয়ে ফেলতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ কিভাবে কম্পিউটারে পপ আপ বিজ্ঞাপন বন্ধ করবেন
কিসের উপর ভিত্তি করে স্প্যাম স্কোর নির্ধারন করা হয়
MOZ SEO টুল বিশেষ কয়েকটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে যে কোন ওয়েবসাইট বা ডমেইনের স্প্যাম স্কোর নির্ধারন করে থাকে। এই বিষয় গুলোর মধ্যে কিছু বিষয় একে বারে ভিত্তিহীন বলে মনে হয়, আবার কিছু বিষয় রয়েছে যা আসলেই আপনার ওয়েবসাইটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে মূলত একটি ওয়েবসাইটের Spam Score নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
Low number of page
আপনার ওয়েবসাইটে পেজের সংখ্যা কম হলে Moz আপনার স্প্যাম স্কোর বৃদ্ধি করে দিতে পারে। ছোট কোন কোম্পানির ওয়েবসাইটের পেজ সংখ্যা কম থাকার অর্থ এই নয় যে সাইটটি স্প্যাম করছে। বরং প্রয়োজনের বেশী পেজ থাকা সেই সাইটের জন্য সুইটেবল নাও হতে পারে।
spam domains
Moz এর অ্যালগরিদম অনুযায়ী কিছু টপ লেভেল ডোমেইন আছে যে গুলো স্প্যামিং ওয়েবসাইট গুলো বেশি ইউজ করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ- .cc, .pl .xyz ইত্যাদি ডোমেইন। এবং Moz এই রকম কিছু টপ লেভেল ডোমেইন কে বেশি স্প্যাম Score দিতে পারে।
Domain name length
আপনার ওয়েবসাইটের ডোমেইনের নাম যদি অনেক ছোট অথবা অনেক বড় হয় তাহলে Moz এর অ্যালগরিদমের কারণে আপনার ওয়েবসাইটের Spam স্কোর বৃদ্ধি পেতে পারে।
Domain name contains number
আপনার ওয়েবসাইটের ডোমেইনের নামের সাথে যদি কোন নাম্বার বা সংখ্যা যেমন ৩৪৫ ইত্যাদি যুক্ত থাকে তাহলে আপনার সাইটের স্প্যাম স্কোর বৃদ্ধি পেতে পারে।
Google Tag Manager
Moz এর অ্যালগরিদম অনুযায়ী, আপনার ওয়েবসাইটে যদি Google Tag Manager না থাকে তাহলে আপনার সাইটের Spam Score বেড়ে যেতে পারে। Google Tag Manager যদিও একটি গুরুত্বপূর্ন টুল কিন্তু এটি ওয়েবসাইটে ব্যবহার করা বাধ্যতামুলক নয়।
No Contact Information
যদি আপনার সাইটে যোগাযোগের তথ্য অর্থাৎ আপনার ইমেইল ঠিকানা, সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল, ফিজিক্যাল অ্যাড্রেস অথবা ফোন নাম্বার ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য না থাকে তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের স্প্যাম স্কোর বেড়ে যেতে পারে।
Defaults to HTTPS
আপনার ওয়েবসাইটে যদি SSL Certificate ইউজ না করা থাকে সেক্ষেত্রে আপনার সাইটের Spam Score বেড়ে যেতে পারে। এখানে Moz মনে করে যে সাইট গুলো স্প্যামিং করে তারা সাধারনত তাদের সাইটে এস এস এল সার্টিফিকেট ইউজ করে না।
Browser Icon
আপনার ওয়বসাইটে যদি ব্রাউজার আইকন বা ফেবিকন ইউজ না করে থাকেন তাহলে আপনার সাইটের স্প্যাম স্কোর বেড়ে যেতে পারে।
Hyphens in Domain Name
আপনার সাইটের ডোমেইন নেমের মাঝে যদি হাইফেন “-“ থাকে তাহলেও আপনার স্প্যাম স্কোর বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
Do-follow And No-follow Links Proportion
আপনার সাইটের Do-follow এবং No-follow ব্যাকলিঙ্কের অনুপাত আপনার সাইটের স্প্যাম স্কোরকে প্রভাবিত করতে পারে । তাই যদি আপনি আপনার সাইটের স্প্যাম স্কোর কম রাখতে চান, তাহলে 50% Dofollow এবং 50% Nofollow লিঙ্ক অনুপাতে ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করুন।
Length of Meta Description
আপনার ওয়েবসাইটের পেজ বা পোষ্টের Meta Description যদি অনেক ছোট বা অনেক বড় হয় তাহলে আপনার সাইটের স্প্যাম স্কোর বেড়ে যেতে পারে।
স্প্যাম স্কোর থেকে নিরাপদ থাকার কিছু টিপস
স্প্যাম স্কোর যেন বেড়ে না যায় তার জন্য কিছু টিপস নিচে দেওয়া হল-
- নরমাল ভাবে ব্লগিং করার চেষ্টা করুন।
- ওয়েবসাইট দ্রুত র্যাঙ্কিং করার আশায় যে কোন সাইটে ব্যাকলিংক বিল্ড করবেন না ।যে কোন সাইট থেকে ব্যাকলিঙ্ক নেওয়ার আগে অবশ্যই সাইটির স্প্যাম স্কোর চেক করে নিন।
- অকারণে ব্লগ কমেন্টিং করা বন্ধ করুন।
- আসল কথা হল সব ধরনের ব্ল্যাক হ্যাট এসইও করা থেকে সম্পূর্ণ রূপে বিরত থাকুন।
শেষ কথা
সবশেষে একটি কথাই বলব স্বাভাবিক নিয়মে ব্লগিং করুন এবং সর্ব প্রকার ব্ল্যাক হ্যাট SEO করা থেকে দূরে থাকুন। আমরা আশা করছি আজকের এই পোস্টটি পরে আপনারা জানতে পেরেছেন যে স্প্যাম স্কোর কী এবং এটি কীভাবে কমানো যায়। যদি এই আর্টিকেল সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকে, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে লিখুন। ধন্যবাদ
2 thoughts on “কিভাবে ওয়েবসাইট স্প্যাম স্কোর কমানো যায়”