ডিপিএস কি ? ডিপিএস একাউন্ট খুলতে কি কি কাগজপত্র লাগে

আমরা প্রায় সবাই ডিপিএস শব্দটির সাথে পরিচিত । বিশেষ করে যারা ব্যাংকিংখাতের সাথে সম্পৃক্ত আছেন, তারা এই বিষয়টি সম্পর্কে খুব ভাল জানেন । কিন্তু আমাদের মধ্যে বেশীরভাগ মানুষ শুধুমাত্র DPS শব্দটির সাথে পরিচিত । ডিপিএস সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান আমাদের নেই । তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদেকে ডিপিএস কি, ডিপিএস কত প্রকার, ডিপিএস একাউন্ট ওপেন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব ।

Table of Contents

ডিপিএস কি – DPS কিডিপিএস কাকে বলে

বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংক ভিত্তিক, টাকা সঞ্চয় করার একটি বিশেষ পদ্ধতিকে ডিপিএস বলা হয় ।

ডিপিএস (DPS) এর ফুল ফর্ম হলো ডিপোজিট পেনশন স্কিম (Deposit Pension Scheme) ।

ডিপিএস (DPS) হল একটি আর্থিক সঞ্চয় পরিকল্পনা, যেখানে একজন গ্রাহক প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ব্যাংকে জমা রাখে এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে গ্রাহক একটি ভাল পরিমাণ টাকা ব্যাংক থেকে রিটার্ন পায় । ডিপিএস অ্যাকাউন্টে একজন গ্রাহক, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা করে এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ডিপিএস গ্রাহকরা সুদ সহ সেই জমাকৃত টাকা রিটার্ন পায় ।

আরও সহজ ভাষায় বললে, মাসিক ভিত্তিতে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা জমা রাখার প্রক্রিয়াকেই ডিপিএস বলে । মাস ভিত্তিক ব্যাপারটি ব্যাংকের উপর নির্ভর করে । কিছু কিছু ব্যাংক ১ মাস ভিত্তিক মুনাফা দিয়ে থাকে আবার কিছু কিছু ব্যাংক ৩ বা ৬ মাস ভিত্তিক মুনাফা প্রদান করে । 

কত ধরনের ডিপিএস আছে – ডিপিএস কত প্রকার ?

বর্তমান সময়ে ডিপিএস সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান থাকা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ । তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে মোট কত ধরনের ডিপিএস রয়েছে সেটি জানাও গুরুত্বপূর্ণ । এর ফলে আপনি বুঝতে পারবেন যে, কোন ডিপিএসটি আপনার জন্য উপযুক্ত ।

বর্তমানে সময়ে আপনারা বিভিন্ন ধরনের ডিপিএস দেখতে পারবেন । এমন অবস্থায় আমাদের জানতে হবে, বর্তমানে আমাদের মত সাধারণ গ্রাহকদের জন্য মোট কত ধরনের ডিপিএস এভেইলেবল আছে । 

এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে, বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশে মোট কত ধরনের ডিপিএস রয়েছে এবং সেগুলোর নাম কি কি ।

বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে প্রধানত ২ ধরনের ডিপিএস রয়েছে –

  • মাস ভিত্তিক ডিপিএস
  • এককালীন ডিপিএস

মাস ভিত্তিক ডিপিএস

যেসব ডিপিএসে, প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কিস্তি হিসেবে দিয়ে, টাকা জমা করা হয়, সেই ধরনের ডিপিএস গুলোকে মাস ভিত্তিক ডিপিএস বলা হয়ে থাকে । অর্থাৎ, এই ধরনের ডিপিএস এর ক্ষেত্রে আপনাকে এক মাস অর্থাৎ ৩০ দিন পর পর টাকা জমা করতে হবে ।

মাস ভিত্তিক ডিপিএসের একটি নির্দিষ্ট সময় সীমা থাকে । যখন আপনি, সেই সময়সীমা পর্যন্ত আপনার ডিপিএস একাউন্টে টাকা জমা করবেন, তখন আপনাকে সেই ব্যাংক থেকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত টাকা জমা রাখার জন্য কিছু পরিমাণ সুদ সহ জমাকৃত অর্থ প্রদান করা হবে ।

আর এই ধরনের মাস ভিত্তিক ডিপিএস গুলোতে আপনি, ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০০ টাকা পর্যন্ত ডিপিএস হিসেবে জমা করে রাখতে পারবেন ।

এককালীন ডিপিএস

মাস ভিত্তিক ডিপিএস ছাড়াও আরো এক ধরনের ডিপিএস রয়েছে, যাকে এককালীন ডিপিএস বলা হয়ে থাকে । এই এককালীন ডিপিএস সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানেন । এই ধরনের ডিপিএসে আপনি, একবারে অনেক মোটা অংকের টাকা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোন ব্যাংকে জমা রাখবেন । আর সেই নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পর, ব্যাংক আপনাকে সুদ সহ আপনার জমাকৃত অর্থ রিটার্ন করবে ।

ধরুন, আপনি ৫ লক্ষ টাকা এককালীন ডিপিএস হিসেবে, কোন একটি ব্যাংকে ৫ বছরের জন্য জমা রাখলেন । তারপর ৫ বছর অতিক্রম হওয়ার পর, সেই ব্যাংক আপনাকে আপনার জমাকৃত ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার পাশাপাশি, সেই ৫ লক্ষ টাকার উপরে যে সুদ আসে সেটিও প্রদান করবে ।

আরও পড়ুনঃ লাইফ ইন্সুরেন্স বা জীবন বীমা কেন করবেন ?

ডিপিএসের কাজ কি

যখন কোন ব্যক্তি একটি ব্যাংকে ডিপিএস একাউন্ট ওপেন করেন, তখন সেই ব্যক্তি, তার ডিপিএস একাউন্টের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রতিমাসে সঞ্চয় করে রাখতে পারেন । এই ধরনের টাকা সঞ্চয় করে রাখার স্কিম গুলো বিভিন্ন মেয়াদের হয়ে থাকে । যেমন – কিছু কিছু ডিপিএস এর মেয়াদ ৩ বছর, আবার কিছু কিছু ডিপিএস এর মেয়াদ ৫ বছর বা ১০ বছর হয়ে থাকে । 

যখন আপনি কোন একটি ব্যাংকের আওতায় নিজের জন্য একটা ডিপিএস অ্যাকাউন্ট ওপেন করবেন, তখন আপনি আপনার নির্দিষ্ট কিছু পরিমাণ টাকা প্রতি মাসে সেই একাউন্টে জমা করে রাখতে পারবেন । এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার পর যখন আপনি আপনার ডিপিএস একাউন্টটি ভেঙ্গে ফেলবেন তখন ব্যাংক থেকে সুদ সহ সেই জমাকৃত অর্থ ফেরত পাবেন ।

অর্থাৎ ব্যাংক আপনাকে, আপনার জমাকৃত অর্থের থেকে আরও বেশ কিছু টাকা লাভ দেবে । মূলত এটাই হল ডিপিএস (ডিপোজিট পেনশন স্কিম) এর মূল কাজ । বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় সব গুলো ব্যাংকেই ডিপোজিট পেনশন স্কিম চালু করেছে ।

কোন ব্যাংকগুলি ডিপিএস পরিষেবা দিচ্ছে ?

বর্তমানে সরকারী এবং বেসরকারী মিলিয়ে বাংলাদেশে অনেকগুলো ব্যাংক রয়েছে । এমন অবস্থায় আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, এতগুলো ব্যাংকের মধ্যে আপনি কোন ব্যাংকে ডিপিএস করবেন বা কোন ব্যাংকগুলি ডিপিএস সার্ভিস দিচ্ছে ।

তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক যে, বর্তমানে বাংলাদেশের কোন কোন ব্যাংক ডিপিএস পরিসেবা প্রদান করছে । বর্তমানে যে সমস্ত ব্যাংকে আপনি ডিপিএস করতে পারেন, তার একটি তালিকা নিচে দেওয়া হল –

  • সোনালী ব্যাংক লিমিটেড 
  • জনতা ব্যাংক লিমিটেড 
  • অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড 
  • পূবালী ব্যাংক লিমিটেড 
  • কৃষি ব্যাংক লিমিটেড
  • সোশ্যাল ইস্লামী ব্যাংক
  • এনআরবিসি ব্যাংক
  • মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড 
  • ডাচ বাংলা ব্যাংক 
  • ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড
  • ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড 
  • সিটি ব্যাংক লিমিটেড 
  • ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড 
  • আই এফ আই সি ব্যাংক লিমিটেড 
  • শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড 
  • ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড 
  • স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক লিমিটেড 
  • ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক

উপরে দেওয়া লিস্টের যে কোন ব্যাংকে আপনারা ডিপিএস ওপেন করতে পারেন এবং আপনি চাইলে একাধিক ব্যাংকেও আপনার ডিপিএস একাউন্ট ওপেন করতে পারবেন ।

কোন ব্যাংক কি পরিমান মুনাফা/সুদ দিয়ে থাকে?

কথায় আছে সঞ্চয় ছাড়া আয় করার কোন মূল্য নেই । তাই আমাদের জীবনে সঞ্চয় করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । আপনি যদি অল্প অল্প করে টাকা সঞ্চয় করতে পারেন তাহলে একটা সময়ে গিয়ে তা অনেক বড় এমাউন্টে পরিনত হবে । আর আপনি যদি ডিপিএসএ এর মাধ্যমে সঞ্চয় করেন তাহলে আপনি সেখান থেকে কিছু লাভও পাবেন । এই ধরনের সঞ্চয় বিভিন্ন বিপদে সাহায্য করতে পারে । আর ডিপিএসের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল আপনি যে কোন সময় এটি ভেঙে টাকা উঠিয়ে নিতে পারবেন । তাই আমাদের সকলেরই উচিত কিছু কিছু করে টাকা সঞ্চয় করা । আর এই টাকা সঞ্চয় করার অন্যতম মাধ্যম হল ডিপিএস । বর্তমানে অনেক ব্যাংক ডিপিএস সেবা প্রদান করে থাকে । নিম্নে আমরা কয়েকটি ব্যাংকের ডিপিএস এর নাম, সময়, কিস্তি, ওয়েবসাইট এবং কত পারসেন্ট টাকা সুদ/মুনাফা দেয় সে সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করছি ।

সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ডিপিএস Sonali Bank DPS

  • সোনালী ব্যাংকে আপনি ৩ থেকে ১৫ বছর মেয়াদী ডিপিএস একাউন্ট ওপেন করতে পারবেন ।
  • সোনালী ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, আপনি আপনার ডিপিএস একাউন্টে, প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০০ পর্যন্ত টাকা জমা রাখতে পারবেন ।
  • সোনালী ব্যাংক আপনার সঞ্চয় করা অর্থের উপর ভিত্তি করে শতকরা ৮ টাকা হারে সোনালী ব্যাংক অবসর সঞ্চয় স্কিমের জন্য সুদ প্রদান করবে ।
  • সোনালী ব্যাংকের আরও কিছু সঞ্চয় স্কিম রয়েছে । যেমন – শিক্ষা সঞ্চয় স্কিম, চিকিৎসা সঞ্চয় স্কিম, পল্লী সঞ্চয় স্কিম, বিবাহ সঞ্চয় স্কিম, সোনালী ব্যাংক মিলিওনিয়ার স্কিম ইত্যাদি ।
  • আরও বিস্তারিত জানতে সোনালী ব্যাংকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন ।
সোনালী ব্যাংক ডিপিএস

অগ্রনী ব্যাংক লিমিটেড ডিপিএসAgrani Bank DPS

  • অগ্রনী ব্যাংকে আপনি ৫ বছর এবং ১০ বছর মেয়াদী ডিপিএস একাউন্ট ওপেন করতে পারবেন ।
  • অগ্রনী ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, আপনি আপনার ডিপিএস একাউন্টে, প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ১০০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০০ পর্যন্ত টাকা জমা রাখতে পারবেন ।
  • অগ্রনী ব্যাংক আপনার সঞ্চয় করা অর্থের উপর ভিত্তি করে, ৫ বছর মেয়াদী ডিপিএসের জন্য শতকরা ৭ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদী ডিপিএসের জন্য শতকরা ৯ টাকা হারে সুদ প্রদান করবে ।
  • অগ্রনী ব্যাংকের আরও কিছু সঞ্চয় স্কিম রয়েছে । যেমন – AGRANI BANK MILLIONAIRE DEPOSIT SCHEME, AGRANI BANK SANCHAY PENSION SCHEME, AGRANI BANK LAKHPOTI DEPOSIT SCHEME, AGRANI BANK PROBASH DEPOSIT SCHEME ইত্যাদি ।
  • আরও বিস্তারিত জানতে অগ্রনী ব্যাংকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন ।
অগ্রনী ব্যাংক ডিপিএস

ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড ডিপিএসDhaka Bank DPS

  • ঢাকা ব্যাংকে আপনি ২ থেকে ১০ বছর মেয়াদী ডিপিএস একাউন্ট ওপেন করতে পারবেন ।
  • ঢাকা ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, আপনি আপনার ডিপিএস একাউন্টে, প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ২৫০০০ পর্যন্ত টাকা জমা রাখতে পারবেন ।
  • ঢাকা ব্যাংক আপনার সঞ্চয় করা অর্থের উপর ভিত্তি করে, শতকরা ৬ টাকা থেকে শুরু করে ৬.৭৫ টাকা হারে সুদ প্রদান করবে ।
  • আরও বিস্তারিত জানতে ঢাকা ব্যাংকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন ।
ঢাকা ব্যাংক ডিপিএস

ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড ডিপিএসDBBL DPS

  • আপনি চাইলে ডাচ বাংলা ব্যাংকে আপনার ডিপিএস একাউন্ট ওপেন করতে পারেন । সেক্ষেত্রে আপনি, কমপক্ষে ৩ বছর থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর মেয়াদ পর্যন্ত ডিপিএস করতে পারবেন ।
  • ডাচ বাংলা ব্যাংকে আপনি ৩, ৫, ৮ এবং ১০ বছর মেয়াদী ডিপিএস একাউন্ট ওপেন করতে পারবেন ।
  • ডাচ বাংলা ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী আপনি আপনার ডিপিএস একাউন্টে, প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত টাকা জমা রাখতে পারবেন ।
  • ডাচ বাংলা ব্যাংক আপনার সঞ্চয় করা অর্থের উপর ভিত্তি করে শতকরা ৭.৫ টাকা হারে সুদ প্রদান করবে ।
  • আর আপনি যদি আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাবের জন্য অ্যাকাউন্ট ওপেন করেন, তাহলে আপনি আপনার সঞ্চয়ী হিসাবের জন্য সুদ হিসেবে ৪ টাকা করে পাবেন ।
  • ডাচ বাংলা ব্যাংকের আরও কিছু স্কিম রয়েছে । যেমন – CHILDREN EDUCATION SAVINGS SCHEME (CHESS), MILLIONAIRE DEPOSIT SCHEME (MDS), PERIODIC BENEFIT SCHEME (PBS) ইত্যাদি ।
  • আরও বিস্তারিত জানতে ডাচ বাংলার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন ।
ডাচ বাংলা ব্যাংক ডিপিএস

শাহাজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড ডিপিএসSJIBL DPS

  • শাহাজালাল ইসলামী ব্যাংকে আপনি ৩, ৫, ৮ এবং ১০ বছর মেয়াদী ডিপিএস একাউন্ট ওপেন করতে পারবেন ।
  • শাহাজালাল ইসলামী ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, আপনি আপনার ডিপিএস একাউন্টে, প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০০ পর্যন্ত টাকা জমা রাখতে পারবেন ।
  • শাহাজালাল ইসলামী ব্যাংক আপনার সঞ্চয় করা অর্থের উপর ভিত্তি করে শতকরা ৬.১১ টাকা থেকে শুরু করে ৬.৩০ টাকা পর্যন্ত সুদ প্রদান করবে ।
  • শাহাজালাল ইসলামী ব্যাংকের আরও কিছু সঞ্চয় স্কিম রয়েছে । যেমন – Mudaraba Education Deposit Scheme, Mudaraba Hajj Scheme Deposit (Provisional) ইত্যাদি ।
  • আরও বিস্তারিত জানতে শাহাজালাল ইসলামী ব্যাংকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন ।

পুবালী ব্যাংক লিমিটেড ডিপিএসPubali Bank DPS

  • পুবালী ব্যাংকে আপনি ১০ বছর এবং ২০ বছর মেয়াদী ডিপিএস একাউন্ট ওপেন করতে পারবেন ।
  • পুবালী ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, আপনি আপনার ডিপিএস একাউন্টে, প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ পর্যন্ত টাকা জমা রাখতে পারবেন ।
  • পুবালী ব্যাংক আপনার সঞ্চয় করা অর্থের উপর ভিত্তি করে, শতকরা ১২ টাকা হারে সুদ প্রদান করবে ।
  • প্রতি মাসের ৮ তারিখের মধ্যে আপনাকে ডিপিএসের টাকা পরিশোধ করতে হবে ।
  • আরও বিস্তারিত জানতে পুবালী ব্যাংকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন ।
পুবালী ব্যাংক ডিপিএস

ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড ডিপিএসNational Bank DPS

  • ন্যাশনাল ব্যাংকে আপনি ৩, ৫, ৮ এবং ১০ বছর মেয়াদী ডিপিএস একাউন্ট ওপেন করতে পারবেন ।
  • ন্যাশনাল ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, আপনি আপনার ডিপিএস একাউন্টে, প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ১,০০,০০০ পর্যন্ত টাকা জমা রাখতে পারবেন ।
  • ন্যাশনাল ব্যাংক আপনার সঞ্চয় করা অর্থের উপর ভিত্তি করে, শতকরা ৭ টাকা থেকে ৯ টাকা পর্যন্ত হারে সুদ প্রদান করবে ।
  • আরও বিস্তারিত জানতে ন্যাশনাল ব্যাংকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন ।
ন্যাশনাল ব্যাংক ডিপিএস

কৃষি ব্যাংক লিমিটেড ডিপিএস Krishi Bank DPS

  • কৃষি ব্যাংকে আপনি ৩, ৫, ৭ এবং ১০ বছর মেয়াদী ডিপিএস একাউন্ট ওপেন করতে পারবেন ।
  • কৃষি ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, আপনি আপনার ডিপিএস একাউন্টে, প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ১০০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০০০০ পর্যন্ত টাকা জমা রাখতে পারবেন ।
  • কৃষি ব্যাংক আপনার সঞ্চয় করা অর্থের উপর ভিত্তি করে, শতকরা ৬ টাকা থেকে ৭ টাকা হারে সুদ প্রদান করবে ।
  • এছাড়াও কৃষি ব্যাংকের আরও কিছু স্কিম রয়েছে । যেমন – BKB, Monthly Profit scheme, BKB, Double Profit Scheme, BKB, Millionier Scheme, BKB, Lacpoti Scheme ইত্যাদি ।
  • আরও বিস্তারিত জানতে কৃষি ব্যাংকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন ।

আই এফ আই সি ব্যাংক লিমিটেড ডিপিএস – IFIC Bank DPS

  • আই এফ আই সি ব্যাংকে আপনি ১ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত, যে কোন মেয়াদী ডিপিএস একাউন্ট ওপেন করতে পারবেন ।
  • আই এফ আই সি ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, আপনি আপনার ডিপিএস একাউন্টে, প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০,০০০ পর্যন্ত টাকা জমা রাখতে পারবেন ।
  • আই এফ আই সি ব্যাংক আপনার সঞ্চয় করা অর্থের উপর ভিত্তি করে, শতকরা ৭ টাকা হারে সুদ প্রদান করবে ।
  • আরও বিস্তারিত জানতে আই এফ আই সি ব্যাংকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন ।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ডিপিএস – Islami Bank DPS

  • ইসলামী ব্যাংকে আপনি ৫ এবং ১০ বছর মেয়াদী Mudaraba Special Savings (Pension) Account (MSSA) একাউন্ট ওপেন করতে পারবেন ।
  • ইসলামী ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, আপনি আপনার ডিপিএস একাউন্টে, প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০,০০০ পর্যন্ত টাকা জমা রাখতে পারবেন ।
  • আরও বিস্তারিত জানতে ইসলামী ব্যাংকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন ।

এনআরবিসি ব্যাংক লিমিটেড ডিপিএসNRBC Bank DPS

  • এনআরবিসি ব্যাংকে আপনি ৫ এবং ৬ বছর মেয়াদী ডিপিএস একাউন্ট ওপেন করতে পারবেন ।
  • এনআরবিসি ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, আপনি আপনার ডিপিএস একাউন্টে, প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ১০০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০,০০০ পর্যন্ত টাকা জমা রাখতে পারবেন ।
  • এনআরবিসি ব্যাংক আপনার সঞ্চয় করা অর্থের উপর ভিত্তি করে, শতকরা ৬.৫০ টাকা হারে সুদ প্রদান করবে ।
  • আরও বিস্তারিত জানতে এনআরবিসি ব্যাংকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন ।

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড ডিপিএসSIBL Bank DPS

  • সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে আপনি ৩, ৫ এবং ১০ বছর মেয়াদী ডিপিএস একাউন্ট ওপেন করতে পারবেন ।
  • সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, আপনি আপনার ডিপিএস একাউন্টে, প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে জমা রাখতে পারবেন ।
  • আরও বিস্তারিত জানতে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন ।

ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড ডিপিএসTrust Bank DPS

  • ট্রাস্ট ব্যাংকে আপনি ৩, ৫, ৭ এবং ১০ বছর মেয়াদী ডিপিএস একাউন্ট ওপেন করতে পারবেন ।
  • ট্রাস্ট ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, আপনি আপনার ডিপিএস একাউন্টে, প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০ পর্যন্ত টাকা জমা রাখতে পারবেন ।
  • ট্রাস্ট ব্যাংক আপনার সঞ্চয় করা অর্থের উপর ভিত্তি করে, শতকরা ৬.৫০ টাকা হারে সুদ প্রদান করবে ।
  • আরও বিস্তারিত জানতে ট্রাস্ট ব্যাংকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন ।

ইউসিবি ব্যাংক লিমিটেড ডিপিএসUCB Bank DPS

  • ইউসিবি ব্যাংকে আপনি ৩, ৫ এবং ১০ বছর মেয়াদী ডিপিএস একাউন্ট ওপেন করতে পারবেন ।
  • ইউসিবি ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, আপনি আপনার ডিপিএস একাউন্টে, প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ১,০০,০০০ পর্যন্ত টাকা জমা রাখতে পারবেন ।
  • আরও বিস্তারিত জানতে ইউসিবি ব্যাংকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন ।
আরও পড়ুনঃ বীমা কি এবং বাংলাদেশের বীমা কোম্পানিসমূহের তালিকা

ডিপিএস অ্যাকাউন্ট করার জন্য কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন

যে কোন ব্যাংকে ডিপিএস অ্যাকাউন্ট ওপেন করার জন্য কিছু ডকুমেন্টসের প্রয়োজন হয় । ডিপিএস অ্যাকাউন্ট ওপেন করার জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন তা নিচে উল্লেখ করা হল –

  • ডিপিএস অ্যাকাউন্ট করতে হলে আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে ।
  • আপনাকে ব্যাংকের নির্ধারিত আবেদন ফর্ম পূরণ করে ডিপিএস অ্যাকাউন্টের জন্য আবেদন করতে হবে ।
  • যার নামে ডিপিএস হবে তার সদ্য তোলা রঙ্গিন পাসপোর্ট সাইজ ছবি লাগবে ।
  • আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি লাগবে ।
  • আপনি যাকে নমিনী হিসেবে নির্বাচন করবেন, তার পাসপোর্ট সাইজ ছবি এবং ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে এবং সেগুলোকে গ্রাহক কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে ।
  • যদি কোন ব্যাক্তির বয়স ১৮ বছরের কম হয় অথবা ন্যাশনাল আইডি কার্ড, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকে, তাহলে ওই ব্যাক্তির জন্ম সনদের ফটোকপি লাগবে ।
  • আপনারা আয়ের উৎস কি, তার প্রমান দিতে হবে অর্থাৎ আপনার লাস্ট ৩ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্টের প্রয়োজন হবে ।
  • কিছু কিছু ব্যাংকে ডিপিএস একাউন্ট ওপেন করতে হলে ইউটিলিটি বিল এর প্রয়োজন হতে পারে । তবে সব ব্যাংকে এটার প্রয়োজন হয় না ।

মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে কি ডিপিএস ভাংগা যায় ?

আমাদের অনেকের মনেই একটি প্রশ্ন আসে যে, ডিপিএস কি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ভাংগা যায় ? এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, হ্যাঁ । আপনি চাইলে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ডিপিএস ভাঙতে পারবেন । তবে আপনি যদি কোন কারনে মেয়াদের আগে ডিপিএস ভেঙ্গে ফেলেন, তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি কম লাভ (সুদ) পাবেন । আর যদি এমন হয় যে, ডিপিএস ওপেন করার অল্প কিছুদিন পরে আপনাকে ডিপিএস ভেঙ্গে ফেলতে হচ্ছে, তাহলে অনেক সময় সেই অল্প পরিমাণ লাভটাও নাও পেতে পারেন । শুধু আপনার জমাকৃত টাকাটি উওোলন করতে পারবেন । তাই আপনি যদি মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ডিপিএস ভাঙ্গেন, তাহলে আপনি সবচেয়ে বেশী লাভ পাবেন ।

আপনি যদি ডিপিএস ভাংগান, তাহলে সরকারী নিয়ম অনুসারে লাভের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কেটে নেওয়া হবে । এছাড়াও ব্যাংকের খরচ বাবদ কিছু টাকা কেটে নেওয়া হতে পারে ।

ডিপিএস কি হারাম ?

ফিক্সড ডিপোজিট, ডিপিএস, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ কিংবা প্রাইজবন্ড কেনার আগে আমাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন আসে যে, এগুলো কি হালাল নাকি হারাম ? যে কোন ধরনের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে, আপনি যদি এমন ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন, তাহলে এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংক কিংবা অন্য কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে লেনদেনে না জড়ানোই আপনার জন্য উত্তম ।

ডিপিএস অ্যাকাউন্ট করা হারাম হবে নাকি হালাল হবে, সেটা অনেকটা নির্ভর করবে, আপনি এটি কীভাবে ব্যবহার করছেন তার উপরে ।

অনেক আলেমের অভিমত অনুসারে, আপনি যদি আপনার ডিপিএস একাউন্টে টাকা জমিয়ে তারপরে মেয়াদশেষে লাভ্যাংশ গ্রহণ করেন, তাহলে সেটি হারাম বলে গন্য হবে ।

এমন অবস্থায়, আপনি যদি টাকাগুলো হালাল হিসেবে খেতে যান, তাহলে ডিপিএসের মেয়াদ শেষে শুধুমাত্র আপনার জমানো টাকা উত্তোলন করুন । আর আপনার জমাকৃত টাকার বিনিময়ে যে লাভের টাকা দেয়া হবে অর্থাৎ সুদ দেয়া হবে, সেগুলো নেয়া থেকে বিরত থাকুন । তাহলেই আপনার টাকা হালাল বা পবিত্র থাকবে ।

বর্তমান সময়ে প্রায় সব ব্যাংকেই, শুধুমাত্র জমাকৃত টাকা তোলার সুযোগ রয়েছে । এর ফলে, আপনি চাইলে শুধুমাত্র আপনার জমানো আসল টাকাগুলো নিতে পারবেন এবং সুদের টাকা গুলো ব্যাংকের কাছে রেখে দিতে পারবেন । পরবর্তীতে, ব্যাংক সেই টাকা কোন ফাউন্ডেশনে দান করে দেবে ।

পরিশেষে আমরা একটা কথাই বলব যে, আপনি যদি ব্যাংকের সাথে, যে কোনো ধরনের সুদের কারবারের সাথে জড়িত হন, তাহলে সেটা অবশ্যই হারাম বলে বিবেচিত হবে ।

ডিপিএস ভাঙ্গার নিয়ম

ডিপিএস ভাঙ্গার নিয়ম হচ্ছে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ডিপিএস ভাঙ্গা । সমস্ত ব্যংক ডিপিএস ভাঙ্গার ক্ষেত্রে একই নিয়ম মেনে চলে । আপনারা আগেই জেনেছেন যে, ডিপিএস বিভিন্ন মেয়াদের (৩, ৫, ৭, ১০ বছর) হয়ে থাকে । আপনি যত বছর মেয়াদে ডিপিএস করবেন, ঠিক তত বছর অতিবাহিত হওয়ার পর চুক্তি অনুযায়ী ব্যাংক আপনাকে লভ্যাংশ সহ আপনার জমাকৃত আসল টাকা রিটার্ন করবে । কোন কারণে যদি, মেয়াদ পুর্ণ হওয়ার আগেই ডিপিএস ভেঙ্গে ফেলেন, তাহলে লাভ্যাংশ (সুদ) অনেক কম পাবেন ।

ডিপিএস এর সুবিধা কি

যদি আপনি আপনার টাকা সঞ্চয় করার জন্য ডিপিএস খুলে থাকেন, তাহলে আপনি টাকা সঞ্চয় করার পাশাপাশি বিশেষ কিছু সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন । চলুন তাহলে ডিপিএস করার সুবিধাগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক –

  • আপনার বা আমার মত যে কোন ধরনের মানুষ ডিপিএস একাউন্ট ওপেন করতে পারেন ।
  • আপনি যদি কোন সরকারি কিংবা বেসরকারি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন এবং আপনার চাকরির বেতন যে ব্যাংকে আসে, আপনি যদি সেই ব্যাংকে ডিপিএস একাউন্ট ওপেন করেন এবং আপনার ডিপিএস একাউন্টিকে আপনার বেতনের একাউন্টের সাথে সংযুক্ত করেন, তাহলে ব্যাংক অটোমেটিকভাবে আপনার বেতন থেকে ডিপিএসের টাকা কেটে নেবে । এর ফলে, কষ্ট করে প্রতি মাসে ব্যাংকে গিয়ে আপনাকে ডিপিএস জমা দিতে হবে না ।
  • আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোন সময় আপনার ডিপিএস ভেঙে ফেলতে পারবেন ।
  • যদি কোন কারণে আপনি ডিপিএস এর টাকা দিতে ব্যর্থ হন, তাহলে ব্যাংক কখনোই আপনার ডিপিএস অ্যাকাউন্ট পারমানেন্টলি বন্ধ করে দেবে না ।
  • আপনি যত বেশি টাকার ডিপিএস একাউন্ট করবেন, সেই টাকার উপর ভিত্তি করে ডিপিএস ভাঙ্গার পর তত বেশী পরিমাণ টাকা লাভ করতে পারবেন ।

ডিপিএস এর অসুবিধা কি

আমরা সবাই জানি , যে জিনিসের সুবিধা রয়েছে, সে জিনিসের অসুবিধাও রয়েছে । ঠিক তেমনই, ডিপিএস এর অনেক ধরনের সুবিধা থাকার পাশাপাশি বেশ কিছু অসুবিধাও রয়েছে ।

চলুন তাহলে ডিপিএস এর কিছু অসুবিধা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক –

  • যদি আপনি কোন কারণে আপনি, চলতি মাসের ডিপিএস এর টাকা দিতে ব্যর্থ হন, তাহলে আপনার ডিপিএস একাউন্টটি বন্ধ হয়ে যাবে না, কিন্তু পরবর্তী মাসে আপনাকে একসাথে ২ মাসের টাকা পরিশোধ করতে হবে ।
  • আবার আপনি যদি পরপর ৩ মাস আপনার ডিপিএস এর কিস্তি দিতে ব্যর্থ হন, তাহলে আপনার ডিপিএস একাউন্টটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে ।
  • পরবর্তীতে ডিপিএস একাউন্টটি চালু করতে হলে, আপনাকে ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং পূর্ববর্তী মাসগুলোর বকেয়া কিস্তি পরিশোধ করার সাথে সাথে কিছু টাকা জরিমানাও দিতে হবে ।

শেষ কথা

বাংলাদেশের প্রায় সমস্ত ব্যাংকে ডিপিএস অ্যাকাউন্ট ওপেন করা যায় এবং সব ব্যাংকেই ডিপিএস অ্যাকাউন্ট তৈরি করা খুবই সহজ একটি প্রক্রিয়া । তবে সব ব্যাংক একই রকম সুদ প্রদান করে না । তাই যে কোন ব্যাংকে ডিপিএস করার আগে জেনে নিন, তারা আপনার টাকার উপরে কত পারসেন্ট লাভ দেবে । আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সাথে, ডিপিএস কি, ডিপিএস একাউন্ট কীভাবে ওপেন করবেন, ডিপিএস করতে কি কি কাগজপত্র লাগে, ডিপিএস করার সুবিধা এবং অসুবিধা বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করার চেষ্টা করেছি । আর্টিকেলটি নিয়ে যে কোন ধরনের প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে কমেন্ট সেকশনে জানান । ধন্যবাদ

 

Share on:
Avatar photo

Hello Friends, I am James harden, the founder of this site. This blog provides accurate and precise information on Technology, Banking, Insurance, Tips & Tricks, Online Earning, Computer troubleshooting and much more.

Leave a Comment