মুখের সৌন্দর্যের যত্ন নেওয়ার জন্য, বেশীরভাগ মানুষ তাদের পা কে অবহেলা করে । তবে আপনাদের জেনে রাখা উচিত যে, মুখের পাশাপাশি পাও শারীরিক আকর্ষণ বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে । তাই পা সংক্রান্ত সমস্যার দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন । আর এই পা সংক্রান্ত সমস্যা গুলোর মধ্যে অন্যতম হল পায়ের গোড়ালি ফাটা । আর এই পায়ের গোড়ালি ফাটা নিয়ে নারীরা বেশি চিন্তিত থাকে । এমন পরিস্থিতিতে, আপনি যদি গোড়ালি ফাটা সমস্যার ওষুধ বা অন্যান্য প্রতিকার খেয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েন এবং এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসছে যে কীভাবে ফাটা হিল নিরাময় করা যায়, তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার কাজে আসতে পারে । আজকের এই আর্টিকেলে, আমরা আপনাকে ফাটা গোড়ালি থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু উপায় সম্পর্কে বলব ।সেই সাথে, এই আর্টিকেলে, আপনারা ফাটা গোড়ালি ফাটার ঘরোয়া প্রতিকারের পাশাপাশি, পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ এবং লক্ষণগুলি সম্পর্কেও জানতে পারবেন ।
Table of Contents
পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ – ক্র্যাকড হিলের কারণ
যে কোন সমস্যার কারণ জানা থাকলে তা সমাধান করা অনেক বেশী সহজ হয়ে যায় । তাই পায়ের গোড়ালি ফাটা থেকে রেহাই পেতে, সবার আগে এটি হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে হবে । তবেই পায়ের গোড়ালি ফাটার চিকিৎসা করা সহজ হবে । পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ নিচে দেওয়া হল –
- অত্যন্ত শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে পায়ের গোড়ালি ফেটে যেতে পারে ।
- স্থূলতার কারনেও পায়ের গোড়ালি ফেটে যেতে পারে । অতিরিক্ত মোটা হওয়ার কারণে শরীরের পুরো ভার পায়ের ওপর পড়ে, যার কারণে গোড়ালি ফেটে যেতে পারে ।
- দীর্ঘক্ষণ হাঁটা বা এক জায়গায় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার কারণেও গোড়ালি ফাটার সমস্যা দেখা দিতে পারে ।
- ডায়াবেটিস থেকেও গোড়ালি ফাটার সমস্যা হতে পারে ।
- স্যান্ডেল ছাড়া হাঁটা, একই ধরনের জুতা পরা, খুব টাইট স্লিপার পরা ইত্যাদি কারণে পায়ের গোড়ালি ফেটে যেতে পারে ।
পায়ের গোড়ালি ফাটার লক্ষণ
গোড়ালি ফাটার কারণগুলো সম্পর্কে জানার পর, আমরা এখন ফাটা গোড়ালির কিছু লক্ষণ সম্পর্কে বলব, যাতে ফাটা গোড়ালির চিকিৎসা করা সহজ হয় । নিচে গোড়ালি ফাটার লক্ষণগুলি দেওয়া হল ( তথ্যসূত্র )
- গোড়ালির ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং হালকা হালকা ফাটল দেখা দেয় ।
- গোড়ালির ত্বক ফ্যাকাশে হলুদ দেখাতে পারে ।
- ত্বকের উপরের স্তর উঠে যেতে পারে ।
- আক্রান্ত ত্বক শক্ত হয়ে যায় ।
- হাঁটার সময় চুলকানি বা ব্যথা অনুভব হতে পারে ।
- গুরুতর ক্ষেত্রে গোড়ালির ফাটল থেকে রক্তপাত এবং ব্যথা হতে পারে ।
গোড়ালি ফাটার ঘরোয়া প্রতিকার – গোড়ালি ফাটা দূর করার উপায়
পায়ের গোড়ালি ফাটার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে, কিছু ঘরোয়া প্রতিকার অবলম্বন করা যেতে পারে । এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলো ব্যবহার করা অনেক সহজ এবং সেই সাথে খুব কার্যকরী । তবে মনে রাখবেন যে, নীচে উল্লিখিত ঘরোয়া প্রতিকারগুলি পায়ের গোড়ালি ফাটার জন্য কোনও সরাসরি চিকিৎসা নয় । অবস্থা বেশী গুরুতর হলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ।
নিচে পায়ের গোড়ালি ফাটার কয়েকটি ঘরোয়া প্রতিকার দেওয়া হল –
ভেজিটেবল অয়েল
উপাদান :
- দুই টেবিল চামচ ভেজিটেবল অয়েল
কিভাবে ব্যবহার করবেন :
- প্রথমে আপনার গোড়ালি ভাল করে ধুয়ে, পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে ভালো করে শুকিয়ে নিন ।
- এবার আপনার ফাটা গোড়ালিতে ভেজিটেবল অয়েল মাখুন ।
- তারপর মোজা পরে সারা রাত রেখে দিন ।
- সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর পা ভাল করে ধুয়ে নিন ।
- ঘুমানোর আগে কয়েক দিন নিয়মিত এই প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করুন ।
এটা কিভাবে উপকারী?
ভেজিটেবল অয়েল গোড়ালি ফাটার ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে । ভেজিটেবল অয়েলে ইমোলিয়েন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ত্বককে নরম করে তুলতে পারে এবং সেই সাথে ত্বক ফাটা প্রতিরোধ করতে পারে ( তথ্যসূত্র)। এছাড়াও, এতে উপস্থিত অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলি ত্বককে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে ( তথ্যসূত্র ) ।
মধু
উপাদান :
- এক কাপ মধু
- উষ্ণ পানি (একটি বালতি)
কিভাবে ব্যবহার করবেন :
- এক বালতি পানিতে এক কাপ মধু মিশিয়ে নিন ।
- এবার এই মিশ্রণে, ১৫-২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন ।
- এবার আপনার পায়ের গোড়ালি আলতো করে স্ক্রাব করুন ।
- স্ক্রাব করার পর হালকা গরম পানি দিয়ে পা ভাল করে ধুয়ে ফেলুন ।
- গোড়ালি নরম না হওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়াটি প্রতিদিন পুনরাবৃত্তি করুন ।
এটা কিভাবে উপকারী?
দীর্ঘদিন ধরে ত্বকের যত্নে মধু ব্যবহার হয়ে আসছে । মধুতে রয়েছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য, যা ত্বককে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে ( তথ্যসুত্র ) । শুধু তাই নয়, এটি ত্বককে ময়শ্চারাইজ করার পাশাপাশি ত্বককে রোগ মুক্ত করতেও সাহায্য করে, যা ফাটা গোড়ালির উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে ।
চালের আটা
উপাদান :
- চালের আটা এক চামচ
- মধু 2 চা চামচ
- এক চা চামচ লেবুর রস
কিভাবে ব্যবহার করবেন :
- চালের আটায় মধু ও লেবুর রস ভাল করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন ।
- মিশ্রণটি প্রস্তুত করার পরে, আপনার পা হালকা গরম পানিতে ১০ মিনিটের জন্য ডুবিয়ে রাখুন ।
- এর পরে, প্রস্তুত পেস্ট দিয়ে আপনার গোড়ালি ঘষুন ।
- গোড়ালি নরম না হওয়া পর্যন্ত সপ্তাহে দুইবার এই প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করুন ।
দ্রষ্টব্য : হিল খুব শুষ্ক এবং ফাটা হলে এই মিশ্রণে অলিভ বা বাদাম তেল ব্যবহার করা যেতে পারে।
এটা কিভাবে উপকারী?
গোড়ালি ফাটার সমস্যা নিরাময়ে চালের আটা ব্যবহার করা যেতে পারে । একটি গবেষণা দেখায় যে চালের আটা ক্ষতিগ্রস্থ ত্বককে সুস্থ্য করতে সহায়তা করে ( তথ্যসূত্র )। সেই সাথে, লেবুর রস ত্বককে মসৃণ করতে সাহায্য করতে পারে । এছাড়াও, আমরা উপরে উল্লেখ করেছি যে, মধু ত্বককে ময়শ্চারাইজ করার পাশাপাশি ত্বকের ফাটা নিরাময়েও কার্যকরী ভুমিক পালন করে । তাই গোড়ালি ফাটা সমস্যার জন্য এই প্রতিকার গ্রহণ করা যেতে পারে ।
সোডিয়াম এবং ভ্যাসলিন
উপাদান :
- এক চামচ ভ্যাসলিন
- আধা কাপ হালকা গরম পানি
- সোডিয়াম এক চা চামচ
কিভাবে ব্যবহার করবেন :
- প্রথমত, গোড়ালি ভিজিয়ে রাখার জন্য পানি হালকা গরম করুন ।
- এবার গরম পানিতে সোডিয়াম ও ভ্যাসলিন মিশিয়ে নিন ।
- এই প্রস্তুত মিশ্রণে গোড়ালিগুলো এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন ।
- এর পর গোড়ালিগুলো পানি থেকে বের করে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন।
- ঘুমানোর আগে গোড়ালিতে ময়েশ্চারাইজার লাগান ।
- গোড়ালি নরম না হওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়াটি প্রতিদিন পুনরাবৃত্তি করুন ।
এটা কিভাবে উপকারী?
সোডিয়াম এবং ভ্যাসলিন ফাটা গোড়ালির চিকিৎসার জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করা হয় । এ সংক্রান্ত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সোডিয়াম ব্যবহার ত্বক থেকে মৃত কোষ দূর করার পাশাপাশি ত্বকের প্রাকৃতিক স্তরকে সুরক্ষা দিতেও খুব ভাল কাজ করে ( তথ্যসূত্র )। সেই সাথে, ভ্যাসলিন একটি কার্যকর ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে । এর উপর ভিত্তি করে, আমরা বলতে পারি যে, সোডিয়াম এবং ভ্যাসলিনের মিশ্রণ ফাটা গোড়ালির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করতে পারে ।
নারকেল তেল
উপাদান :
- দুই টেবিল চামচ নারকেল তেল
কিভাবে ব্যবহার করবেন :
- আপনার পায়ের গোড়ালিতে নারকেল তেল লাগান ।
- এবার ধীরে ধীরে কিছুক্ষণ ধরে ম্যাসাজ করুন ।
- এবার মোজা পরে সারারাত রেখে দিন ।
- সকালে পানি দিয়ে গোড়ালি ভাল করে ধুয়ে ফেলুন ।
- প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে এই প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করুন যতক্ষণ না গোড়ালি ফাটার সমস্যা সমাধান হয় ।
এটা কিভাবে উপকারী?
ফাটা গোড়ালির সমস্যার প্রতিকার হিসেবে নারকেল তেল ব্যবহার করা যেতে পারে । নারকেল তেল ত্বককে হাইড্রেট করতে খুব ভাল কাজ করে । এর পাশাপাশি এটি কার্যকরী ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে এবং ভেতর থেকে পুষ্টি প্রদান করে ত্বককে কোমল করে তুলতে সাহায্য করে । এই ভিত্তিতে, এটা বলা যেতে পারে যে, নারকেল তেল ফাটা গোড়ালির জন্য একটি কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার হতে পারে ।
লেবু, লবণ, গ্লিসারিন এবং গোলাপ জল
উপাদান :
- লবণ ১ চা চামচ
- ১ কাপ লেবুর রস
- দুই টেবিল চামচ গ্লিসারিন
- গরম পানি
- দুই চামচ গোলাপ জল
- ফুট স্ক্রাবার
কিভাবে ব্যবহার করবেন :
- অর্ধেক বালতি হালকা গরম পানি নিয়ে, এতে এক চা চামচ লবণ, ১০ ফোঁটা লেবুর রস, এক চা চামচ গ্লিসারিন এবং এক চা চামচ গোলাপ জল যোগ করুন ।
- এই মিশ্রণে আপনার দুই পা ১৫ থেকে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন ।
- এবার পায়ের স্ক্রাবার দিয়ে গোড়ালি স্ক্রাব করুন ।
- এরপর এক চামচ গ্লিসারিন, এক চামচ গোলাপ জল এবং এক চামচ লেবুর রস আলাদাভাবে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে ফাটা গোড়ালিতে লাগান ।
- কিছুক্ষণ পর মোজা পরে গোড়ালিতে মিশ্রণটি সারা রাত রেখে দিন ।
- সকালে হালকা গরম পানি দিয়ে গোড়ালি ধুয়ে ফেলুন ।
- প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে এই প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করুন যতক্ষণ না গোড়ালি ঠিক হয়ে যায় ।
এটা কিভাবে উপকারী?
গ্লিসারিন, হিউমেক্ট্যান্ট হিসাবে কাজ করে, যা ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে । একই সময়ে, গোলাপের প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ত্বকের প্রদাহ উপশম করতে সাহায্য করতে পারে । লেবু, ত্বকের রং উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে । উপরন্তু, লবণের বেদনানাশক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ফাটা গোড়ালি দ্বারা সৃষ্ট ব্যথা উপশম করতে পারে । এই মিশ্রণ ফাটা হিলের ওষুধ হিসেবে কাজ করতে সহায়তা করতে পারে ।
সতর্কতা : লেবু ব্যবহার করলে ত্বকে জ্বালা বা ত্বক শুষ্ক হতে পারে । অতএব, অ্যালার্জি পরীক্ষা করার জন্য একটি প্যাচ টেস্ট করতে ভুলবেন না ।
তিলের তেল
উপাদান :
- চার থেকে পাঁচ ফোঁটা তিলের তেল
ব্যবহারবিধি:
- গোড়ালিতে ভাল করে তিলের তেল লাগান ।
- এবার আলতো করে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন ।
- গোড়ালি নরম না হওয়া পর্যন্ত ঘুমানোর আগে প্রতিদিন এই প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করুন।
এটা কিভাবে উপকারী?
তিলের তেল অনেক পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং এর ক্ষত নিরাময়ের বৈশিষ্ট্যও রয়েছে । অনেক সময় ফাটা গোড়ালিতে সংক্রমণের সমস্যাও দেখা দেয়, এমন পরিস্থিতিতে তিলের তেল উপকারী ভুমিকা পালন করে । সেই সাথে, এটি ফাটা গোড়ালির ব্যথাও কমাতে পারে । ফাটা গোড়ালির প্রতিকার হিসেবে এটি কার্যকরী প্রমাণিত হতে পারে ।
প্যারাফিন মোম
উপাদান :
- প্যারাফিন মোম 1 চা চামচ
- 2 থেকে 3 ফোঁটা নারকেল বা সরিষার তেল
কিভাবে ব্যবহার করবেন :
- ১ চামচ মোমের মধ্যে নারকেল বা সরিষার তেল ভালোভাবে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন ।
- এই মিশ্রণটি ততক্ষন পর্যন্ত নাড়তে থাকুন, যতক্ষণ না মোম ভালোভাবে মিশে যায় ।
- তারপর এই মিশ্রণটি হালকা গরম করে গোড়ালিতে লাগান ।
- কিছুক্ষণ পর মোজা পরে নিন এবং গোড়ালিতে মিশ্রণটি সারা রাত রেখে দিন ।
- প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে সপ্তাহে একবার বা দুবার এটি ইউজ করুন, যতক্ষণ না গোড়ালি ঠিক হয়ে যায় ।
এটা কিভাবে উপকারী?
প্যারাফিন মোম ফাটা হিলের ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে খুব ভাল কাজ করে । মূলত, এটি একটি ইমোলিয়েন্ট হিসাবে কাজ করে ত্বককে নরম করতে সহায়তা করে । এটি ফাটা গোড়ালির শক্ত ত্বককে নরম করতে সাহায্য করতে পারে ।
ইপসম সল্ট
উপাদান :
- ১ কাপ এপসম লবণ
- গরম পানি
- একটি বালতি
কিভাবে ব্যবহার করবেন :
- একটি বালতিতে হালকা গরম পানি নিয়ে, তাতে ইপসম লবণ যোগ করুন ।
- এবার আপনার ফাটা গোড়ালি ১৫ মিনিটের জন্য এই পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এবং ধীরে ধীরে স্ক্রাব করুন ।
- গোড়ালি নরম না হওয়া পর্যন্ত সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার এই প্রক্রিয়াটি চালিয়ে যান ।
এটা কিভাবে উপকারী?
এপসম সল্ট দিয়ে ঘরেই ফাটা গোড়ালির চিকিৎসা করা যায় । প্রকৃতপক্ষে, এই বিশেষ লবণের ব্যবহার মৃত ত্বকের কোষগুলিকে অপসারণ করতে এবং ত্বককে নরম করে তুলতে সাহায্য করে থাকে । এই ভিত্তিতে, এটি বলা যেতে পারে যে, এপসম সল্ট ফাটা গোড়ালির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে ।
অ্যালোভেরা
উপাদান :
- প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যালোভেরা জেল
- গরম পানি
- একটি বালতি
- মোজা
কিভাবে ব্যবহার করবেন :
- প্রথমে একটি বালতিতে হালকা গরম পানি নিয়ে তাতে গোড়ালিগুলোকে কয়েক মিনিট পানিতে ডুবিয়ে রাখুন এবং তারপর পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিন ।
- এবার ফাটা গোড়ালিতে ভাল করে অ্যালোভেরা জেল লাগান ।
- এরপর মোজা পরে গোড়ালিতে অ্যালোভেরা জেলটি সারা রাত রেখে দিন ।
- সকালে পরিষ্কার পানি দিয়ে গোড়ালি ধুয়ে ফেলুন ।
- প্রতি সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ দিন ঘুমানোর আগে এই প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করুন ।
এটা কিভাবে উপকারী?
ফাটা গোড়ালির ঘরোয়া প্রতিকারের মধ্যে অ্যালোভেরাও রয়েছে । অ্যালোভেরার নিরাময় এবং ময়শ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ফাটা গোড়ালি নিরাময় সাহায্য করতে পারে । সেই সাথে, ময়শ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য ফাটা ত্বককে ময়শ্চারাইজ করতে কাজ করতে পারে ।
কলা-অ্যাভোকাডো ফুট মাস্ক
উপাদান :
- একটি পাকা কলা
- অর্ধেক অ্যাভোকাডো
কিভাবে ব্যবহার করবেন :
- কলা এবং অ্যাভোকাডো ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে পেস্ট তৈরি করুন ।
- এবার এই পেস্টটি আপনার ফাটা গোড়ালিতে লাগান ।
- পেস্টটি গোড়ালিতে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন।
- এবার হালকা গরম পানি দিয়ে গোড়ালি ভাল করে ধুয়ে ফেলুন ।
- গোড়ালি নরম না হওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়াটি প্রতিদিন পুনরাবৃত্তি করুন ।
এটা কিভাবে উপকারী?
কলা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ইউজ করা যেতে পারে । আসলে, কলা ত্বকের জন্য একটি দুর্দান্ত প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসাবে কাজ করতে পারে । সেই সাথে, অ্যাভোকাডোতে উপস্থিত নিরাময় বৈশিষ্ট্যগুলি ফাটা গোড়ালি পূরণ করতেও কাজ করতে পারে ( 23 ) । এই ফুট মাস্ক ফাটা গোড়ালির ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে ।
ভিটামিন-ই
উপাদান :
- তিন থেকে চারটি ভিটামিন-ই ক্যাপসুল
কিভাবে ব্যবহার করবেন :
- তিন থেকে চারটি ক্যাপসুল ছিদ্র করে, এর ভেতরের তেল বের করে নিন ।
- এবার এই তেল ফাটা গোড়ালিতে লাগিয়ে ভাল করে ম্যাসাজ করুন ।
- ভিটামিন-ই তেল দিনে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করুন ।
এটা কিভাবে উপকারী?
ত্বক সুস্থ এবং ভাল রাখতে ভিটামিন-ই একটি বিশেষ পুষ্টি উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয় । এটি বিভিন্ন উপায়ে ত্বকের উপকার করতে পারে, যেমন এতে ক্ষত নিরাময়ের বৈশিষ্ট্য রয়েছে, অর্থাৎ, এটি ত্বকের যেকোনো ক্ষত সারাতে সাহায্য করে ( তথ্যসুত্র )।সেই সাথে, এটিতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যও রয়েছে, যা ত্বকের প্রদাহ কমাতে সক্ষম ( তথ্যসুত্র )। এছাড়াও, এতে হাইড্রেটিং বৈশিষ্ট্যও রয়েছে, যা শুষ্ক ত্বককে ময়শ্চারাইজ করতে সহায়তা করতে পারে । এই সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলি ফাটা গোড়ালির সমস্যায় উপকার পেতে সহায়ক বলে প্রমাণিত হতে পারে ।
আরও পড়ুনঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা
ওটস এবং জোজোবা তেল
উপাদান :
- ওটস মিল পাউডার ১ চা চামচ
- জোজোবা তেল এক চা চামচ
কিভাবে ব্যবহার করবেন :
- ওটস মিল পাউডারে জোজোবা তেল মিশিয়ে নিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন ।
- তৈরি মিশ্রণটি ফাটা গোড়ালিতে লাগান ।
- কিছুক্ষণ পর গোড়ালি ভাল করে ধুয়ে ফেলুন ।
- এরপর রাতে ঘুমানোর আগে পায়ের গোড়ালিতে ফুট ক্রিম লাগিয়ে, মোজা পরে পরদিন সকালে খুলে ফেলুন ।
- গোড়ালি নরম না হওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়াটি করতে থাকুন ।
এটা কিভাবে উপকারী?
ওটস এবং জোজোবা ওয়েল, ত্বকের জন্য উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। আসলে, ওটস এর ব্যবহার, শুষ্ক ত্বক এবং ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে । এছাড়াও, এটি প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করতে পারে । সেই সাথে, জোজোবা ওয়েল একটি ইমোলিয়েন্ট (স্কিন সফটনার) এবং ময়েশ্চারাইজার হিসাবে কাজ করতে পারে । এর উপর ভিত্তি করে বলা যেতে পারে পারে যে, ওটস এবং জোজোবা ওয়েলের মিশ্রণ ফাটা গোড়ালির সমস্যায় উপকারী হতে পারে ।
টি ট্রি ওয়েল
উপাদান :
- টি ট্রি ওয়েল বা চা গাছের তেল ৪ থেকে ৫ ফোঁটা
- নারকেল তেল এক চামচ
- এক চামচ জলপাই তেল
কিভাবে ব্যবহার করবেন :
- টি ট্রি ওয়েল এবং নারকেল তেল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন ।
- এবার এই প্রস্তুত মিশ্রণটি গোড়ালির ওপর লাগিয়ে এক থেকে দুই মিনিট ম্যাসাজ করুন ।
- ঘুমানোর আগে পায়ে মোজা পরে নিন ।
- প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে এই প্রক্রিয়াটি করুন যতক্ষণ না গোড়ালি নরম হয় ।
এটা কিভাবে উপকারী?
টি ট্রি অয়েলও ফাটা গোড়ালির ঘরোয়া প্রতিকারের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত । প্রকৃতপক্ষে, এর নিরাময় বৈশিষ্ট্যের পাশাপাশি অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি (প্রদাহ কমানোর) প্রভাব রয়েছে । এছাড়াও, এটি ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের সংক্রমণ থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সাহায্য করে ( তথ্যসুত্র )। এই সমস্ত বৈশিষ্ট্য ফাটা গোড়ালির সমস্যায় উপকার করতে সাহায্য করতে পারে ।
অলিভ অয়েল
উপাদান :
- জলপাই তেল এক চা চামচ
কিভাবে ব্যবহার করবেন :
- হাতে সামান্য অলিভ অয়েল নিয়ে ফাটা গোড়ালিতে লাগান।
- এরপর পা এভাবে আধা ঘণ্টা রেখে দিন।
- এই প্রক্রিয়াটি প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে করুন, যতক্ষণ না গোড়ালি নরম হয়ে যায়।
এটা কিভাবে উপকারী?
ফাটা গোড়ালির সমস্যা নিরাময়ে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে । টি ট্রি ওয়েলের মতো, এর নিরাময় এবং প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। উপরন্তু, এই অলিভ ওয়েল ত্বকের পুনর্গঠন করতেও সহায়ক ভুমিকা পালন করে । এই ভিত্তিতে, এটা বলা যেতে পারে যে, অলিভ অয়েল ফাটা গোড়ালির চিকিৎসায় সহায়ক ভুমিকা পালন করতে পারে ।
ময়শ্চারাইজিং মোজা
পায়ের গোড়ালি ফাটার অন্যতম প্রধান কারণ হল, ত্বকে আর্দ্রতার অভাব । তাই ত্বকে আদ্রতা ধরে রাখার জন্য, প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ফাটা গোড়ালিগুলো হালকা গরম পানি দিয়ে ভাল করে ধুয়ে, পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন । এর পরে, ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম লাগান এবং উপরে মোজা পরুন । এছাড়াও, বাজারে বা অনলাইনে পাওয়া ময়েশ্চারাইজিং মোজাগুলি কিনে ইউজ করা যেতে পারে ।
পায়ের গোড়ালি ফাটার ঘরোয়া প্রতিকার জানার পর, আমরা ফাটা গোড়ালির চিকিৎসা আছে কি না সে সম্পর্কে তথ্য দেব ।
ফাটা গোড়ালির চিকিৎসা
ফাটা গোড়ালি বা ফাটা হিল একটি সাধারণ ত্বকের সমস্যা, যার জন্য সাধারণত কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা বা ওষুধের প্রয়োজন হয় না । উপরে উল্লিখিত ঘরোয়া প্রতিকার গুলোর মাধ্যমে এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায় । টবে যদি কোন কারণে সমস্যাটি গুরুতর রূপ নেয় এবং হাঁটার সময় ব্যথা বা ফুলে যাওয়ার মতো অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে এমন পরিস্থিতিতে অবশ্যই একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহন করা উচিত । ফাটা গোড়ালির অবস্থা দেখে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ মলম বা ক্রিম ব্যবহার করার পরামর্শ দিতে পারেন ।
আরও পড়ুনঃ যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর ঘরোয়া উপায়
হিল ফাটা সমস্যার সময় আপনার ডায়েট
ফাটা গোড়ালি থেকে মুক্তি পেতে, ঘরোয়া প্রতিকার অবলম্বন করার পাশাপাশি খাদ্যের দিকেও মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন । নীচে এটি সম্পর্কিত তথ্য দেওয়া হল ।
- ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহন করুন । ত্বক সুস্থ রাখতে ভিটামিন-সি একটি বিশেষ পুষ্টি উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয় ।ভিটামিন সি ত্বককে শুকিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে । অন্যদিকে ভিটামিন সি এর ঘাটতি, ক্ষত নিরাময়ের ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিতে পারে । তাই গোড়ালি ফাটার সমস্যায় ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল ও শাকসবজি (যেমন কমলা, জাম্বুরা এবং আপেল) খাওয়া উচিত ।
- গোড়ালি ফাটার সমস্যায় ভিটামিন-ই যুক্ত খাবার খাওয়া যেতে পারে। ভিটামিন-ই ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে। সেই সাথে ফাটা গোড়ালির সমস্যার সময় আক্রান্ত ত্বকে আর্দ্রতার অভাব দেখা যায় । এই বিশেষ উপাদানটি পূরণ করতে সবুজ শাক-সবজি এবং বাদাম খাওয়া যেতে পারে ।
- ত্বককে হাইড্রেটেড রাখার জন্য শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে হবে । অতএব, প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করেতে হবে ।
- যে খাবারগুলি ক্ষত নিরাময় প্রভাবকে উন্নীত করতে পারে, সেই সমস্ত খাবার ফাটা গোড়ালির সমস্যার সময়ও অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি সহ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার । ভিটামিন-এ-এর জন্য সবুজ শাক-সবজি, গাজর ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে । সেই সাথে, দুগ্ধজাত পণ্য, মাংস, মাছ এবং ডিম প্রোটিনের জন্য খাওয়া যেতে পারে ।
হিল ফাটা সমস্যায় আপনার জীবনধারা
- পায়ের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
- খালি পায়ে হাঁটা এড়িয়ে চলুন । সবসময় জুতা বা চপ্পল পরুন ।
- প্রতিদিন আপনার পা পরিষ্কার করুন ।
- এমন জুতা পরুন যা গোড়ালির ব্যথা এবং স্ট্রেন প্রতিরোধ করে।
- সর্বদা হালকা গরম জল দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন ।
- ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ব্যবহার করুন ।
হিল ফাটা এড়াতে আরও কিছু উপায় জেনে নিন।
ফাটা হিল এড়ানোর উপায় – গোড়ালি ফাটা প্রতিরোধের টিপস
রোগ প্রতিরোধ, রোগের চিকিৎসার চেয়ে বেশী ভাল । অতএব, গোড়ালি ফাটা রোধ করতে, আপনি নীচে উল্লিখিত টিপসগুলো অনুসরণ করে আপনার গোড়ালি ফাটার সমস্যা এড়াতে পারেন ।
- আপনার গোড়ালি সবসময় ময়শ্চারাইজড রাখুন । বিশেষ করে, সকালে কোথাও বের হওয়ার আগে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই পায়ে ক্রিম বা লোশন লাগান ।
- আরামদায়ক জুতা নির্বাচন করুন । শুধু জুতোর বাইরের সৌন্দর্যের দেখবেন না, আরামের কথাও মাথায় রাখুন ।
- দূষণ এবং ধুলাবালি থেকে আপনার পা কে রক্ষা করুন এবং বাইরে থেকে ফেরার পরে পা ভাল করে ধুয়ে ফেলুন ।
- পায়ে আরাম পেতে অলিভ ওয়েল বা নারকেল তেল দিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন ।
- আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড এবং কোমল রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন ।
- খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি এবং ফলমূল অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করুন ।
শেষ কথা
ফাটা গোড়ালির জন্য উপরে উল্লিখিত ঘরোয়া প্রতিকারগুলির প্রভাবের জন্য আপনাকে কিছুটা ধৈর্য ধরতে হবে, কারণ এটি সাথে সাথে কাজ করে এমন কোনও জাদু নয় । এই ফাটা গোড়ালির প্রতিকার গুলো চেষ্টা করার পরেও যদি গোড়ালির ফাটল সেরে না যায় বা রক্ত আসতে থাকে, তাহলে অবশ্যই একজন চর্মরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন । ফাটা গোড়ালি উপেক্ষা করবেন না ।
আজকের আর্টিকেলটি পড়ার পরে, আপনি এখন ফাটা গোড়ালির ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে জানতে পেরেছেন । উপরে উল্লিখিত ফাটা গোড়ালির ঘরোয়া প্রতিকারগুলো অনেক বেশী কার্যকরী । তাই যারা ফাটা গোড়ালির সমস্যায় ভুগছেন, তারা উপরে উল্লেখিৎ প্রতিকারগুলো অবলম্বন করতে পারেন । টবে কেউ যদি কোনও গুরুতর শারীরিক সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে এই প্রতিকারগুলো গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিন । আর্টিকেলটি নিয়ে যে কোন ধরনের প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে কমেন্ট সেকশনে জানান । ধন্যবাদ