আমরা যারা কম্পিউটার বা মোবাইল ইউজ করি, তারা অবশ্যই অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে শুনেছি । বাজারে উইন্ডোজ, অ্যান্ড্রয়েড, ম্যাক ইত্যাদির মতো অনেক ধরনের অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে । আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সাথে লিনাক্স কী, লিনাক্সের ইতিহাস, লিনাক্স কে আবিষ্কার করেন, লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য এবং লিনাক্স ও উইন্ডোজের মধ্যে পার্থক্য ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ।
লিনাক্স মূলত কম্পিউটার বা ল্যাপটপের জন্য ডিজাইন করা একটি অপারেটিং সিস্টেম । কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ তাদের কম্পিউটারে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে, যার কারণে আমরা অনেকেরই লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ধারণা অনেক কম । তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব ।
Table of Contents
লিনাক্স কি ? – লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম কি ?
লিনাক্স হল একটি কার্নেল ভিত্তিক ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম (OS), যা কম্পিউটার এবং ইউজারের মধ্যে একটি ইন্টারফেস হিসেবে কাজ করে । যেহেতু লিনাক্স একটি ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম, তাই যে কেউ এটিকে বিনামূল্যে ইউজ করতে পারে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টোমাইজ করতে পারে । লিনাক্স মূলত ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেমের অন্যতম জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত ভার্শন । এটি GPL v2 লাইসেন্সের অধীনে সাধারণ ইউজারদের জন্য ইন্টারনেটে পাওয়া যায় । প্রাথমিকভাবে, লিনাক্স শুধুমাত্র পার্সোনাল কম্পিউটারে ব্যবহার করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল, কিন্তু পরবর্তীতে এটি সার্ভার, মেইনফ্রেম কম্পিউটার এবং সুপার কম্পিউটারেও ব্যবহার করা হয় ।
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের ইতিহাস
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমটি ১৯৯১ সালে প্রথম শুরু হয়েছিল, সেই সময় লিনাস টরভাল্ডস (Linus Torvalds) নামে, হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র তার ব্যক্তিগত প্রকল্পে ফ্রি অপারেটিং সিস্টেম কার্নেল প্রস্তুত করেছিলেন । এবং লিনাক্স কার্নেল তখন থেকেই ক্রমাগত বিকশিত হয়েছে এবং বর্তমান পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে ।
আসলে সেই সময়ে টরভাল্ডস, লিনাক্সকে Minix OS এর মত তৈরি করতে চেয়েছিল, যা ছিল অনেকটা Unix OS এর মত । এবং এটি মূলত একাডেমিক সেটিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হত । টরভাল্ডস, হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা অবস্থায় লিনাক্স তৈরি করেন ।
মজার ব্যপার হল, যে সময় টরভাল্ডস তার কম্পিউটারের জন্য লিনাক্স তৈরি করেছিলেন, তখন তিনি আসলে ইউনিক্স 386 ইন্টেল কম্পিউটার কিনতে চেয়েছিলেন । কিন্তু তার আর্থিক অবস্থা ভাল না থাকার কারণে তিনি সেই কম্পিউটারটি কিনতে পারেন নি । এবং এইভাবে তার একটি ছোট প্রোগ্রাম সমগ্র বিশ্বকে একটি নতুন অপারেটিং সিস্টেম উপহার দিয়েছিল, যা লিনাক্স কার্নেল নামে পরিচিত ।
তবে প্রথমে এটির নামকরণের কথা ভাবা হয়েছিল “ফ্রেক্স” । কিন্তু পরবর্তীতে সার্ভারের প্রশাসক Linus Torvalds, আসল কোডটি বিতরণ করার জন্য বেছে নিয়েছিলেন তাদের ডিরেক্টরির নাম “লিনাক্স” । যা ছিল টরভাল্ডসের আগের নাম লিনাস এবং ইউনিক্সের সংমিশ্রণ । এই নামটা শুনতে এত ভালো লেগেছিল যে পরে আর এই নাম পরিবর্তন করা হয় নি ।
আরও পড়ুনঃ মাইক্রোপ্রসেসর কি ? মাইক্রোপ্রসেসর কিভাবে কাজ করে ?
লিনাক্সের মালিক কে
যেহেতু লিনাক্সের লাইসেন্সিং ওপেন সোর্স, তাই লিনাক্স যে কোন কেউ অবাধে ব্যবহার করতে পারে । কিন্তু তারপরেও “লিনাক্স” নামের ট্রেডমার্কটি, এর প্রস্তুতকারক বা স্রষ্টা লিনাস টরভাল্ডসের কাছেই যায় ।
লিনাক্স ওএস-এর সোর্স কোড অনেক ইনডিপেন্ডেন্ট প্রোগ্রামার দ্বারা কপিরাইট করা হয়েছে, তাই এটিকে GPL v2 লাইসেন্সের অধীনে রাখা হয়েছে । কারণ লিনাক্স ডেভেলপের পেছনে অনেক বড় একটি গ্রুপ রয়েছে, যারা এতে অবদান রেখেছে এবং এটি ডেভেলপ করতে অনেক বছর সময় লেগেছে । এমন পরিস্থিতিতে এত মানুষের সাথে পৃথকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব নয়, তাই লিনাক্সের লাইসেন্সটি GPL v2 এর অধীনে রাখা হয়েছে যাতে সবার সম্মতি অন্তর্ভুক্ত থাকে ।
লিনাক্স কে তৈরি করেছে – লিনাক্স কে আবিষ্কার করেছে
লিনাক্সের বিকাশের পেছনে ডেভেলপারদের একটি বড় গ্রুপের হাত রয়েছে । লিনাক্স প্রথম তৈরি করেন লিনাস টরভাল্ডস । এজন্য লিনাস টরভাল্ডসকে লিনাক্সের আবিস্কারক বলা হয় । Linus Torvalds, ১৯৯১ সালে লিনাক্স তৈরি করেছিলেন । বর্তমানে লিনাস টরভাল্ডস একজন ফিনিশ-আমেরিকান সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ।
লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন কি
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের বিভিন্ন ভেরিয়েন্ট বর্তমানে ইন্টারনেটে রয়েছে, যা সব ধরনের ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী ।লিনাক্সে নতুন ইউজার থেকে শুরু করে অ্যাডভান্স ইউজার পর্যন্ত সবার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভেরিয়েন্ট পাওয়া যায় । লিনাক্সের ভার্সনকেই লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন বলা হয় । সমস্ত লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন খুব সহজেই ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করা যায় –
কিছু প্রধান লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন নিচে দেওয়া হল –
- উবুন্টু লিনাক্স
- লিনাক্স মিন্ট
- কালি লিনাক্স
- আর্ক লিনাক্স
- ফেডোরা
- OpenSUSE
- মাঞ্জারো
- এন্টারগোস
লিনাক্সের কাঠামো – লিনাক্সের উপাদান
লিনাক্সের কাঠামো ৫ টি অংশ নিয়ে গঠিত ।
- কার্নেল
- সিস্টেম লাইব্রেরি
- শেল
- হার্ডওয়্যার
- ইউটিলিটিস
লিনাক্স কাঠামোর একটি ছবি নিচে দেওয়া হল-
কার্নেল – কার্নেল হল লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ । এটি লিনাক্সের হার্টের মতো, কারণ সব ধরনের প্রধান কাজ এই কার্নেলের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় । কার্নেল, সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যারের মধ্যে কমিউনিকেশনে সহায়তা করে এবং একটি ইন্টারফেস হিসাবে কাজ করে । একটি সিস্টেমে শুধুমাত্র একটি কার্নেল থাকে । কার্নেল অনেক ধরনের কাজ করে থাকে । নিচে কার্নেলের কিছু কাজের উদাহরণ দেওয়া হল –
- একটি কম্পিউটার সিস্টেমের সাথে অনেক ধরনের ডিভাইস সংযুক্ত থাকে । যেমন- সাউন্ড কার্ড, গ্রাফিক্স কার্ড ইত্যাদি । কার্নেল এই সব ধরনের ডিভাইস পরিচালনা করে ।
- সিস্টেমের মেমরি পরিচালনা করতে কার্নেলও ইউজ করা হয় ।
- কার্নেল নিশ্চিত করে যে CPU এর প্রসেস সঠিকভাবে সম্পন্ন হচ্ছে কি না ।
- কার্নেল ফাইল সিস্টেমও পরিচালনা করে থাকে ।
সিস্টেম লাইব্রেরি – সিস্টেম লাইব্রেরি হল বিশেষ এক ধরনের প্রোগ্রাম, যা একটি OS বা অপারেটিং সিস্টেমের কার্যকারিতা বাস্তবায়ন করার জন্য ইউজ হয় । প্রোগ্রামাররা, কার্নেলের সাথে কমিউনিকেট বা যোগাযোগ করার জন্য একটি সিস্টেম লাইব্রেরি তৈরি করে । বর্তমানে লিনাক্সের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সিস্টেম লাইব্রেরিটি হল Glibc (GNU C লাইব্রেরি) ।
শেল – শেল হল এক ধরনের কমান্ড ইন্টারপ্রেটার, যা ইউজার এবং অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে একটি ইন্টারেক্টিভ এবং অ-ইন্টারেক্টিভ ইন্টারফেস তৈরি করে । শেল, প্রথমে কমান্ডটি পড়ে এবং পরে প্রোগ্রাম চালানোর রিকোয়েস্ট পাঠায় । এজন্যই একে কমান্ড ইন্টারপ্রেটারও বলা হয়ে থাকে । শেলের মাধ্যমে আমরা আমাদের কমান্ড, প্রোগ্রাম এবং বিভিন্ন ধরনের স্ক্রিপ্ট রান করি ।
হার্ডওয়্যার – সেই সমস্ত অংশগুলি দ্বারা কম্পিউটার সিস্টেম কাজ করে সেগুলোকেই হার্ডওয়্যার বলা হয় । অর্থাৎ, সব ধরনের পেরিফেরাল ডিভাইস যেমন:- RAM , রম, হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ, প্রিন্টার, স্ক্যানার ইত্যাদি সবকিছুই হার্ডওয়্যারের অন্তর্ভুক্ত ।
ইউটিলিটিস – ইউটিলিটি হল এমন একটি প্রোগ্রাম যা ইউজারকে একটি অপারেটিং সিস্টেমের সর্বাধিক কার্যকারিতা প্রদান করে ।
লিনাক্স কিভাবে কাজ করে?
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের একটি কার্নেল রয়েছে, যা অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারকে হার্ডওয়্যার অ্যাক্সেস করতে দেয় । লিনাক্স কার্নেলের, হার্ডওয়্যারের উপর সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে । যখন কোন সফটওয়্যার চালানোর জন্য কোন হার্ডওয়্যারের প্রয়োজন হয়, তখন এটি অপারেটিং সিস্টেমে তার রিকোয়েস্ট পাঠায় । এবং অপারেটিং সিস্টেমের সাহায্যে কার্নেল সেই অ্যাপ্লিকেশনটি রান করার জন্য প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার সরবরাহ করে । লিনাক্স কার্নেল দিয়ে তৈরি অনেক লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন আছে । এই ডিস্ট্রিবিউশনগুলি তাদের সিস্টেমে ইনস্টল করা থাকে ।
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের বৈশিষ্ট্যগুলি নিচে দেওয়া হল –
- পোর্টেবল – লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম পোর্টেবল, অর্থাৎ এটি একই সঙ্গে একাধিক হার্ডওয়্যারে কাজ করতে সক্ষম ।
- মাল্টি ইউজার – লিনাক্স হল একটি মাল্টি ইউজার অপারেটিং সিস্টেম, অর্থাৎ একাধিক ইউজার একসাথে মেমরি, র্যাম, অ্যাপ্লিকেশন ইত্যাদি অ্যাক্সেস করতে পারে ।
- মাল্টি প্রোগ্রামিং – লিনাক্স একটি মাল্টি প্রোগ্রামিং ওএস । অর্থাৎ এই অপারেটিং সিস্টেমে একসাথে একাধিক প্রোগ্রাম রান করা যায় ।
- ওপেন সোর্স – এটি একটি ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম । তাই যে কোনো ইউজার লাইসেন্স ছাড়াই ফ্রিতে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ইউজ করতে পারেন ।
- ভার্চুয়াল মেমরি – যদি আমরা কোন বড় প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্লিকেশন এডিট করি, তখন আমাদের কিছু ফিজিক্যাল মেমরির প্রয়োজন হয়, যা হার্ড ডিস্কে স্টোর করা থাকে এবং প্রয়োজনে ইউজ করা যেতে পারে ।
- নিরাপত্তা – লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম অনেক বেশী সিকিউর ।
উইন্ডোজ এবং লিনাক্সের মধ্যে পার্থক্য
উইন্ডোজ এবং লিনাক্সের মধ্যে পার্থক্য নিচে দেওয়া হল-
উইন্ডোজ | লিনাক্স |
---|---|
উইন্ডোজে বিভিন্ন ধরনের ড্রাইভ (C, D ইত্যাদি) রয়েছে, যেগুলোর ভেতরে অনেক ফোল্ডার থাকে । | লিনাক্সে কোন ধরনের ড্রাইভ নেই । |
উইন্ডোজে ৪ ধরনের অ্যাকাউন্ট রয়েছে ( Administrator, Standard, Child, Guest ) | লিনাক্সে ৩ ধরনের অ্যাকাউন্ট রয়েছে ( Regular, Root, Service ) |
উইন্ডোজে, আমরা কোনো ফোল্ডারের মধ্যে একই নামের ২ টি ফাইল সেভ করতে পারি না । | লিনাক্সে, একটি ফোল্ডারের মধ্যে ২ টি একই নামের ফাইল সংরক্ষণ করা যায় । |
উইন্ডোজে micro kernel ইউজ করা হয় | এই OS এ, monolithic kernel ইউজ করা হয় |
উইন্ডোজ ওএস একক ব্যবহারকারীর জন্য | লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম বহু ব্যবহারকারীর জন্য |
উইন্ডোজ একটি ক্লোজ সোর্স অপারেটিং সিস্টেম । | লিনাক্স হল ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম । |
উইন্ডোজের ফাইলের নাম কেস-সেনসিটিভ নয় । | লিনাক্সে ফাইলের নাম কেস-সেনসিটিভ |
উইন্ডোজে ভাইরাস আসার সম্ভাবনা বেশি । | লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমকে উইন্ডোজের চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ বলে মনে করা হয়, কারণ এতে ভাইরাস আসার সম্ভাবনা কম থাকে। |
এটি লিনাক্সের তুলনায় কম কার্যকরী । | এটি উইন্ডোজের চেয়ে বেশি কার্যকর । |
লিনাক্সে, পেরিফেরাল যেমন হার্ড ড্রাই্ভ, সিডি-রম প্রিন্টারগুলিকে ফাইল হিসাবে বিবেচনা করা হয় । | হার্ড ড্রাইভ, সিডি-রম, প্রিন্টারকে ডিভাইস হিসেবে বিবেচনা করা হয় |
লিনাক্সের সুবিধা – লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের সুবিধা
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের সুবিধাগুলো নিচে দেওয়া হল –
- ওপেন সোর্স – লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি একটি ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম, যার কারণে এর সোর্স কোড সহজেই ইন্টারনেটে পাওয়া যায় এবং এই অপারেটিং সিস্টেমটিকে খুব সহজেই প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টমাইজ করা যায় ।
- সিকিউরিটি – লিনাক্সের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের তুলনায় অনেক ভালো । কারণ ইউজারের এটিতে অ্যাক্সেস করার জন্য একটি লগইন আইডি এবং পাসওয়ার্ডের প্রয়োজন হয় । এছাড়াও নিরাপত্তার জন্য লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের কোনো ধরনের অ্যান্টিভাইরাসের প্রয়োজন পরে না ।
- বিনামূল্যে – লিনাক্সের আরেকটি বড় সুবিধা হল, যে কোন ইউজার সহজেই সম্পূর্ণ ফ্রিতে ইন্টারনেট থেকে এটি ডাউনলোড করে ইউজ করতে পারে । লিনাক্সের প্রায় সব ভার্শন বিনামূল্যে অর্থাৎ ব্যবহারকারীকে এটি ইউজ করতে কোন টাকা খরচ করতে হয় না ।
- লাইটওয়েট – লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম বেশ হালকা অর্থাৎ এই অপারেটিং সিস্টেমের আকার অনেক কম । এটি কম্পিউটারে রান করার জন্য হাই কোয়ালিটির পিসির প্রয়োজন হয় না এবং খুব বেশি মেমরিরও প্রয়োজন হয় না ।
- স্থিতিশীলতা – অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের তুলনায় লিনাক্স অনেক বেশী স্থিতিশীল । অর্থাৎ কম্পিউটার সিস্টেম চালানোর সময় বারবার রিবুট করার প্রয়োজন হয় না ।
- কর্মক্ষমতা – অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের তুলনায় লিনাক্সের কাজ করার ক্ষমতা অনেক বেশী । এতে অনেক লোক এক সাথে কাজ করতে পারে এবং এটি সহজে হ্যাং হয়ে যায় না ।
- নমনীয়তা – লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম খুবই নমনীয় । এটি এমবেডেড সিস্টেম এবং সার্ভার অ্যাপ্লিকেশনের জন্যও ইউজ করা যেতে পারে ।
- সফটওয়্যার আপডেট – লিনাক্সে যেকোনো সফটওয়্যার খুব দ্রুত এবং সহজে আপডেট করা যায় ।
- গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস – লিনাক্স মূলত একটি কমান্ড ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম, কিন্তু বর্তমানে এটি উইন্ডোজের মত ইন্টারেক্টিভ ইউজার ইন্টারফেস প্রদান করে।
- এটি সব ধরনের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ সাপোর্ট করে যেমন- C, C++, Java, Python, এবং Ruby ইত্যাদি।
- এতে ব্যবহারকারীর ডেটা পার্সোনাল থাকে ।
- এটি একই সময়ে অনেক কাজ সম্পন্ন করে ।
- লিনাক্স ইনস্টল করা বেশ সহজ ।
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের অসুবিধা – লিনাক্সের অসুবিধা
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের অসুবিধাগুলো নিচে দেওয়া হল –
- লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম শেখা বেশ কঠিন । অর্থাৎ লিনাক্স, উইন্ডোজ এবং ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমের মতো ইউজ করা সহজ নয় । কারণ এটি ইউজ করার জন্য টেকনিক্যাল নলেজ থাকা প্রয়োজন । বিশেষ করে নতুনদের ক্ষেত্রে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ইউজ করার সময় অনেক ধরনের সমস্যা হয় । তাই লিনাক্স ইউজ করার আগে কিছু বিষয়ে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন ।
- হাই রেজুলেশনের গেম চালানোর ক্ষেত্রে লিনাক্সে সমস্যা হয়
- উইন্ডোজ এবং ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমের তুলনায় এর টেকনিক্যাল সাপোর্ট ভাল নয় । কারণ এতে কোন ধরনের কাস্টমার সাপোর্ট দেওয়া হয় না । যার কারণে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমে ইউজার তার সমস্যা সমাধান করার জন্য কাস্টমার কেয়ার সাপোর্ট পায় না ।
- প্রায় সব অপারেটিং সিস্টেমে হাইবারনেশন নামে একটি ফিচার পাওয়া যায় । এই হাইবারনেশন কাজের গতিকে ত্বরান্বিত করে । যার ফলে ব্যবহারকারীর সময় অপচয় কম হয় । কিন্তু এই ফিচারটি লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমে উপলব্ধ নয় ।
- লিনাক্সে, যে কোন ধরনের বাগ এবং ত্রুটি খুঁজে বের করা অনেক কঠিন ।
- লিনাক্সের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল বাজারে এর শেয়ার সীমিত । যার কারণে উইন্ডোজ এবং ম্যাক লিনাক্সে পোর্ট করা যায় না ।
- লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমে অনেক সফটওয়্যার কাজ করে না এবং লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম কম পরিমাণে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার সাপোর্ট করে । সেইসাথে সব ড্রাইভার লিনাক্স ওএস সাপোর্ট করে না ।
সাধারণ লিনাক্স কমান্ড
আপনি যদি প্রথমবার লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই সাধারণ কিছু লিনাক্স কমান্ড সম্পর্কে জানতে হবে । এখানে আমরা আপনাদের সাথে লিনাক্স কমান্ডের একটি তালিকা দিতে যাচ্ছি যা লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম চালানোর ক্ষেত্রে আপনাদের অনেক কাজে আসবে । তবে একটি বিষয়ে মনে রাখবেন যে, আমি এখানে শুধুমাত্র কমান্ডের তালিকা দিয়েছি এবং এগুলোর সিনট্যাক্স নয় । আপনি অন্য জায়গা থেকে সিনট্যাক্স সম্পর্কে শিখে নিতে পারবেন, যা খুব সহজ ।
1. ls :- এটি বর্তমান ডিরেক্টরি কন্টেন্টের তালিকা করবে ।
2. cd :- এটি দিয়ে আপনি আপনার বর্তমান ডিরেক্টরি পরিবর্তন করতে পারবেন ।
3. cat: – এই কমান্ডের মাধ্যমে আপনি স্ক্রিনে ফাইলের বিষয়বস্তু প্রদর্শন করতে পারবেন । এর সাথে আপনি টেক্সট ফাইলগুলিকে কপি এবং মারজ করতে পারবেন ।
4. History: – এটির মাধ্যমে আপনি স্ক্রিনে সমস্ত এক্সিকিউটেড কমান্ডের তালিকা দেখতে পারবেন ।
5. chmod :- এটি দিয়ে আপনি ফাইলের পারমিশন চেঞ্জ করতে পারবেন ।
6. chown :- এটি দিয়ে আপনি ফাইলের ওনার চেঞ্জ করতে পারবেন ।
7. Clear:- এটির মাধ্যমে আপনি নতুন করে শুরু করার জন্য স্ক্রিন ক্লিয়ার করতে পারবেন ।
8. df :- এর মাধ্যমে আপনি আপনার ডিস্কের কতটুকু ব্যবহৃত হচ্ছে এবং কতটুকু ফাঁকা আছে তা দেখতে পারবেন ।
9. Date:- এটির মাধ্যমে আপনি আপনার সিস্টেমের বর্তমান তারিখ এবং সময় প্রদর্শন করতে পারবেন ।
10. du:- এই কমান্ডের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন যে, কোন ফাইলটি কতটা জায়গা দখল করে আছে ।
11. wget :- এর মাধ্যমে আপনি ইন্টারনেট থেকে যে কোনো ধরনের ফাইল ডাউনলোড করতে পারবেন, নাম চেঞ্জ করতে পারবেন এবং যেকোনো জায়গায় সেভ করতে পারবেন ।
12. find:- এটি দিয়ে আপনি সিস্টেমের যেকোনো ধরনের টার্ম সার্চ করতে পারবেন ।
13. man :- এর মাধ্যমে আপনি নির্দিষ্ট কমান্ডের জন্য সাহায্য প্রদর্শন করতে পারবেন ।
14. cp :- এটির মাধ্যমে আপনি ফাইল এবং ফোল্ডার কপি করতে পারবেন ।
15. mv :- এর সাহায্যে আপনি ফাইল এবং ডিরেক্টরির নাম পরিবর্তন করতে এবং মুভ করাতে পারেন ।
16. mkdir :- এটি দিয়ে আপনি একটি নতুন ডিরেক্টরি ক্রিয়েত করতে পারবেন ।
17. lpr :- এটি দিয়ে আপনি যেকোনো ফাইলের কন্টেন্ট প্রিন্ট করতে পারবেন ।
18. কম:- এটি দিয়ে আপনি ফাইলের বিষয়বস্তু পেজ বাই পেজ দেখতে পারবেন ।
19. tar :- এটি দিয়ে আপনি যেকোন ফাইল কম্প্রেস এবং এক্সট্রাক্ট করতে পারবেন ।
20. grep: – এই কমান্ডের মাধ্যমে আপনি একটি ফাইলে একটি স্ট্রিং সার্চ করতে পারবেন ।
21. ssh: – এর সাহায্যে আপনি রিমোট মেশিনের সাথে কানেক্ট এবং লগইন করতে পারবেন (এনক্রিপ্টেড এবং সুরক্ষিত)।
22. su :- এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ইউজারের কাছে যেতে পারবেন ।
23. rmdir :- এটি দিয়ে আপনি ফাঁকা ডিরেক্টরি ডিলিত করে ফেলতে পারবেন ।
24. rm :- এটি দিয়ে আপনি সব ধরনের ফাইল এবং ডিরেক্টরি (খালি বা অ-খালি) মুছে ফেলতে পারেন ।
25. pwd: – এর মাধ্যমে আপনি বর্তমান ইউজারের কাজের ডিরেক্টরি প্রদর্শন করতে পারবেন ।
26. ps: – এর মাধ্যমে আপনি চলমান প্রসেস আইডি এবং অন্যান্য তথ্য ডিসপ্লে করতে পারবেন ।
27. passwd :- এটি দিয়ে আপনি ব্যবহারকারীর পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করতে পারবেন ।
28. more :- এটির সাহায্যে যেকোন ফাইল পেজ বাই পেজ প্রদর্শন করা যায় ।
29. Kill:- এই কমান্ডের সাহায্যে আপনি তাদের প্রসেস আইডির সাহায্যে যেকোন প্রসেস কিল করে ফেলতে পারবেন ।
30. gzip :- এটি দিয়ে আপনি .gz এক্সটেনশন সহ একটি কম্প্রেস ফাইল ক্রিয়েত করতে পারবেন ।
31. Unzip:- এই কমান্ডের মাধ্যমে আপনি যেকোনো ফাইল আনজিপ বা আনকম্প্রেস করতে পারবেন ।
32. shutdown :- এটি দিয়ে, আপনি আপনার মেশিনটি বন্ধ করে দিতে পারবেন ।
33. Tail:- এই কমান্ডের মাধ্যমে আপনি যেকোনো ফাইলের শেষ দশটি লাইন প্রিন্ট করতে পারবেন ।
34. top:- এই কমান্ডের মাধ্যমে আপনি CPU ব্যবহার অনুযায়ী টপ প্রসেস দেখাতে পারবেন ।
35. who :- এই কমান্ডের মাধ্যমে আপনি লগ ইন করা বর্তমান ব্যবহারকারীর তথ্য প্রদর্শন করতে পারবেন ।
36. Whereis:- এই কমান্ডের মাধ্যমে আপনি যেকোনো কমান্ডের অবস্থান (যেখানে সংরক্ষণ করা আছে) পেতে পারেন।
37. whatis :- এই কমান্ডের মাধ্যমে আপনি একটি লাইনে যেকোনো কমান্ডের তথ্য দেখাতে পারবেন ।
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের প্রয়োগ
- লিনাক্স একটি রেন্ডার ফার্ম হয়ে মুভি ইন্ডাস্ট্রিকে অনেক সাহায্য করছে ।
- লিনাক্স টিভিতে মেনু সিস্টেমের জন্যও ইউজ হয় ।
- সমস্ত অ্যান্ড্রয়েড স্মারটফোন লিনাক্স প্ল্যাটফর্মে চলে ।
- সমস্ত ইন্টারনেট রাউটার লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমে চলে ।
- ছোট ডিস্ক স্টোরেজ সিস্টেম নির্মাতারাও লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমে চলে ।
- এছাড়াও ওয়েব অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট হোস্টিং লিনক্স অপারেটিং সিস্টেমে চলে ।
- সব ধরনের ইন্টারনেট সার্ভার, ডাটাবেস, ওয়েবসাইট লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম নিজেই চালায় এবং রক্ষণাবেক্ষণ করে ।
- সমস্ত স্টক এক্সচেঞ্জ লিনাক্স প্ল্যাটফর্মেও চলে।
- আপনি একটি পুরানো এবং স্লো পিসি দ্রুত চালাতে পারেন ।
- সমস্ত ATM-এ টাকা প্রদান প্রক্রিয়া করতেও Linux OS ব্যবহার করা হয়।
- এই অপারেটিং সিস্টেম, যেকোনো ভিডিও গেম মেশিন এবং ডেডিকেটেড মিডিয়া সেন্টার তৈরিতে ইউজ হয় ।
আরও পড়ুনঃ ইন্টারনেট কি ? ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে ?
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম কি সম্পূর্ণরূপে ভাইরাস/ম্যালওয়্যার মুক্ত ?
এই প্রশ্নের উত্তর হল না । পৃথিবীতে এমন কোন অপারেটিং সিস্টেম নেই যা ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যারকে ১০০% প্রতিরোধ করতে সক্ষম । তবে আমরা যদি উইন্ডোজের সাথে এটিকে তুলনা করি, তাহলে লিনাক্সে কখনোই কোনো বড় ধরনের ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস আট্যাক হয়নি ।
আবার একথাও সত্য যে, লিনাক্স ওএস ব্যবহারকারীর সংখ্যা উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের থেকে অনেক কম । যাইহোক, ম্যালওয়্যার বা ভাইরাসের মূল লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য হল ব্যাপক ধ্বংস যজ্ঞ চালানো । এমতাবস্থায় যে কোনো প্রোগ্রামার কখনোই তার মূল্যবান সময় এমন অপারেটিং সিস্টেমের পেছনে নষ্ট করবে না, যেটির ব্যবহারকারী অনেক কম । আর এই কারনেই মূলত লিনাক্সে ভাইরাস বা ম্যলাওয়্যারের সংখ্যা কম ।
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের আর্কিটেকচার অনেক বেশী শক্তিশালী এবং তাই এটি অনেক ধরনের নিরাপত্তা হুমকি প্রতিরোধ করতে সক্ষম । টেকনিক্যালি বলতে গেলে, আপনি রুট পাসওয়ার্ড এবং ইউজার পাসওয়ার্ড ছাড়া একটি লিনাক্স সিস্টেম সেট আপ করতে পারবেন না । এর অর্থ হল ‘ গেস্ট ‘ একাউন্ট বাদে লিনাক্সের প্রত্যেক ব্যবহারকারীর জন্য পাসওয়ার্ড বাধ্যতামূলক ।অন্যদিকে উইন্ডোজে, একজন ইউজার পাসওয়ার্ড ছাড়াই তার প্রোফাইল ক্রিয়েট করতে পারেন ।
এই ধরনের কিছু ফিচারের কারণে, লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমে ভাইরাস এবং ম্যালওয়ার আট্যাকের ভয় খুব কম থাকে ।
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের ভবিষ্যত
এতে কোন সন্দেহ বা দ্বিমত নেই যে, ভবিষ্যতের অপারেটিং সিস্টেম হল লিনাক্স । এর প্রধান কারণ হল, প্রায় সব আধুনিক প্রযুক্তির ভিত্তি হল লিনাক্স । আপনি লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ছাড়া ভবিষ্যতের কোন প্রযুক্তি কল্পনা করতে পারবেন না ।এমবেডেড সিস্টেমগুলি হল এর একটি উদাহরণ যেখানে লিনাক্স ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে ।
বিশ্বের সব বড বড় প্রতিষ্ঠান এখন অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে লিনাক্স সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছে । যেহেতু এই অপারেটিং সিস্টেমের দুর্দান্ত কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তাই এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । সেই সাথে, অনেক সিস্টেম অ্যাডমিন তাদের ওয়ার্ক প্রোফাইল উইন্ডোজ থেকে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমে পরিবর্তন করছে।
যে কোনো নতুন টেকনোলোজি, যেমন ক্লাউড কম্পিউটিং, ভার্চুয়ালাইজেশন, ডাটাবেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ভিএমওয়্যার শিখতে আপনার লিনাক্স সম্পর্কে জ্ঞান থাকা আবশ্যক । এইসব কারণে আমরা বলতেই পারি যে, আগামী দিনে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল ।
শেষ কথা
আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সাথে বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম লিনাক্স সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি । আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা লিনাক্স কি, লিনাক্সের ইতিহাস, লিনাক্স কীভাবে কাজ করে, লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের সুবিধা এবং অসুবিধা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন । আর্টিকেলটি নিয়ে যে কোন ধরণের প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে কমেন্ট সেকশনে জানান । ধন্যবাদ