আপনার ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কি খুব বেশি? এবং আপনি কি আপনার ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কমাতে চান? আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের বলবো কিভাবে ওয়েবসাইটের Bounce Rate কমাবেন।
অনেকে বিশ্বাস করেন যে, বাউন্স রেট গুগলের রাঙ্কিং ফ্যাক্টরগুলির মধ্যে একটি। এটি আপনার সাইটের কোয়ালিটি সম্পর্কে গুগলকে তথ্য দেয়।
কিন্তু বাউন্স রেট কমানোর উপায়গুলো বলার আগে আমি আপনাদের বলব, বাউন্স রেট কি, ভালো বাউন্স রেট কত হওয়া উচিত এবং কিভাবে বাউন্স রেট কমানো যায়।
Table of Contents
বাউন্স রেট কি?
যখন কোন ব্যবহারকারী আপনার সাইটের কোন পেজে আসে এবং সেই পেজ থেকে অন্য কোন পেজে না গিয়ে আপনার সাইট থেকে বের হয়ে যায়, তখন এটিকে বলে বাউন্স। বাউন্স রেট হল সেই ব্যবহারকারীদের শতাংশ, যারা আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করে এবং একটি পেজ থেকে অন্য পেজে না গিয়ে আপনার ওয়েবসাইট থেকে বের হয়ে যায়।
ভালো বাউন্স রেট কত হওয়া উচিত
বাউন্স রেট ওয়েবসাইটের ধরন অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। তাহলে চলুন জেনে নেই, ভাল বাউন্স রেট কত হওয়া উচিত।
- 80%+ – is very bad
- 70 – 80% is poor
- 50 – 70% is average
- 30 – 50% is excellent
সাধারণত, একটি ব্লগের উচ্চ বাউন্স রেট হওয়ার কারণ হচ্ছে, ভিসিটর প্রথমে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে বিষয়বস্তু পড়ে দেখে এবং যদি তারা তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য না পায়, তাহলে তারা ব্লগ / ওয়েবসাইট থেকে বের হয়ে যায়।
বাউন্স রেট কিভাবে চেক করবেন
আপনি আপনার Google Analytics অ্যাকাউন্টে লগ ইন করে আপনার ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট চেক করতে পারবেন।
- প্রথমে আপনি আপনার Google Analytics অ্যাকাউন্টে লগ ইন করুন।
- এরপর বাম পাশের প্যানেল থেকে Behavior মেনুতে ক্লিক করে Overview তে ক্লিক করলে Bounce Rate দেখতে পাবেন।
- এছাড়া প্রত্যেকটি পেজের বাউন্স রেট চেক করতে চাইলে Behavior মেনুতে ক্লিক করে Site Content এ ক্লিক করে All Pages অপশনে ক্লিক করুন। এখনে Bounce Rate কলামে আপনি প্রত্যেকটি পেজের বাউন্স রেট চেক করতে পারবেন।
ওয়েবসাইটের Bounce Rate কমানোর পদ্ধতি
সাধারনত আমরা আমাদের সাইটের Search Performance বাড়ানোর জন্য অনেক রকম কাজ করি, কিন্তু বাউন্স রেট নিয়ে আমরা কোন রকম চিন্তা করি না। কিন্তু যেহেতু Bounce Rate গুগলের রাঙ্কিং এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে তাই আমাদের ওয়েবসাইটের Bounce Rate কমানোর দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা উচিত।
উচ্চ বাউন্স রেটের অর্থ হচ্ছে, আপনার strategy তে কিছু ভুল রয়েছে, যার কারণে আপনি ভিজিটরকে আপনার সাইটের প্রতি আকৃষ্ট করতে পারছেন না বা ভিজিটররা আপনার সাইটে প্রবেশ করে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য পাচ্ছে না।
নিচে আমরা ওয়েবসাইটের Bounce Rate কমানোর কয়েকটি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব-
ভাল কোয়ালিটির কন্টেন্ট লিখুন
উচ্চ বাউন্স রেটের সবচেয়ে বড় কারণ মানসম্মত কন্টেন্টের অভাব। যদি আপনার কন্টেন্টে প্রয়োজনীয় তথ্য না থাকে, তাহলে ভিজিটররা দ্রুত আপনার সাইট ছেড়ে চলে যাবে।
সব সময় ইউনিক এবং মানসম্মত কন্টেন্ট লেখার চেষ্টা করুন। এছাড়াও, আপনার আর্টিকেলটি আকর্ষণীয় হওয়া উচিত যাতে ভিজিটরেরা আপনার সাইটের আর্টিকেল আনন্দের সাথে পড়ে।
মানসম্মত কন্টেন্ট লেখার কিছু টিপস
- আর্টিকেলের দৈর্ঘ্যঃ আপনার আরটিলেটি কমপক্ষে ৮০০ শব্দের হতে হবে । কারণ, সাধারনত দেখা যায় বেশী শব্দের আর্টিকেল গুলো সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্টের প্রথম দিকে অবস্থান করে।
- আকর্ষণীয় টাইটেল লিখুনঃ আরটিকেল লেখার পরে, আপনার আর্টিকেলটির শিরোনামটি ভালভাবে পর্যালোচনা করুন। কারণ 50% থেকে 60% এর বেশি মানুষ, প্রথমে পোস্টের শিরোনাম দেখেই এর উপর ক্লিক করে। সব সময় আপনার ফোকাস কীওয়ার্ডটি টাইটেলে যুক্ত করার চেষ্টা করুন।
- Meta Description অপ্টিমাইজ করুনঃ মেটা ডেসক্রিপশন হল আপনার ব্লগ পোস্টের সংক্ষিপ্ত বিবরণ, যা সার্চ রেজাল্টের শিরোনামের নিচে প্রদর্শিত হয়। এটি আপনার ব্লগ পোস্টের CTR বাড়াতে সাহায্য করে। এতে আপনার ফোকাস কীওয়ার্ড যোগ করুন।
- Paragraph ছোট রাখুনঃ দীর্ঘ এবং ঘন Paragraph ভিজিটরদের বিরক্তির কারণ হতে পারে। পাঠকরা সবসময় ছোট এবং পরিষ্কার Paragraph পছন্দ করেন। তাই সবসময় আপনার কন্টেন্টের Paragraph গুলো ছোট রাখার চেষ্টা করুন।
ওয়েবসাইট Fast করুন
কেউ স্লো লোডিং ওয়েবসাইট ভিসিটররা ভিজিট করতে পছন্দ করে না। যদি আপনার সাইটটি অনেক ধীরে লোড হয়, তাহলে ভিজিটররা বিরক্ত হয়ে আপনার সাইট থেকে বের হয়ে যাবে। যার ফলস্বরূপ, আপনার ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট বৃদ্ধি পাবে।
অন্যদিকে ওয়েবসাইটের স্পিড, গুগলের একটি র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর। যার কারণে ফাস্ট লোডিং সাইট গুলো গুগল সার্চের প্রথম দিকে অবস্থান করে।
এজন্য আপনার সাইটের লোডিং স্পিড Improve করুন। ওয়েবসাইট লোডিং স্পিড Improve করার জন্য কিছু টিপস নিচে দেওয়া হল-
- PHP ভার্সন আপগ্রেড করুন
- আপনার ওয়েবসাইটের Image size অপ্টিমাইজ করুন
- শুধুমাত্র দরকারী প্লাগইন রাখুন
- অপ্রয়োজনীয় মিডিয়া ফাইল মুছে দিন
- CSS এবং JS ফাইলগুলি ছোট করুন
- একটি ভাল ক্যাশ প্লাগইন ব্যবহার করুন
- লাইটওয়েট থিম ব্যবহার করুন।
- CDN ব্যবহার করুন।
- একটি ভাল ওয়েব হোস্টিং ব্যবহার করুন।
সাইটের ডিজাইন Simple রাখুন
আপনার ওয়েবসাইটের ডিজাইন যতটা সম্ভব সিম্পল এবং পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন। রঙিন সাইট পাঠকদের বিভ্রান্ত করে। আপনার ব্লগ/ওয়েবসাইটের জন্য একটি পরিষ্কার এবং সিম্পল থিম নির্বাচন করুন।
এছাড়াও, লক্ষ্য রাখুন যেন আপনার সাইটের ফন্টগুলি খুব বেশী ছোট না হয়। কারণ ফন্ট গুলো যদি ছোট হয় তাহলে মানুষ ফন্টগুলিতে খুব বেশি মনোযোগ দেবে না। এর কারণে তারা আপনার ব্লগ থেকে প্রস্থান করবে (আপনার বিষয়বস্তু যতই ভালো হোক না কেন)। এমন ফন্ট ব্যবহার করুন যা ভিজিটর খুব সহজে পড়তে পারে।
আপনি যদি আপনার সাইটের ফন্ট সাইজ পরিবর্তন করতে চান, তাহলে আপনি থিম এর style.css এ গিয়ে এটি পরিবর্তন করতে পারেন। অন্যথায়, ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজারের CSS বিভাগে নিচের কোডটি যোগ করুন।
body { font-size: 18px; }
ওয়েবসাইটের Broken Links ঠিক করুন
Broken Links ব্যবহারকারীর experience এর উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। ব্রোকেন লিংক ঠিক করে আপনি বাউন্স রেট কমাতে পারবেন ।
যখন আপনি আপনার ওয়েবসাইটের কোন পেজ সরিয়ে ফেলেন বা মুছে ফেলেন, তখন ব্রোকেন লিংকের সমস্যা দেখা দেয়। যখন ভিজিটররা এই ধরনের লিঙ্কে ক্লিক করেন, তারা 404 এরর পেজ দেখতে পায়।
কিন্তু চিন্তা করবেন না, WordPress এর একটি ফ্রি ব্রোকেন লিংক চেকার প্লাগইন আছে যা আপনাকে আপনার ব্লগে ব্রোকেন লিংক ঠিক করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও এই প্লাগইনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্রোকেন লিংকের জন্য ‘nofollow’ ট্যাগ সেট করে, যার ফলে সার্চ ইঞ্জিন এই লিংক গুলোকে ইন্ডেক্স করে না।
External Links নতুন Tabs/Windows তে Open করুন
আপনি আপনার পোস্টে অন্য ওয়েবসাইটের লিংক যুক্ত করুন । এটি আপনার বিষয়বস্তুকে আরও উপযোগী করে তোলে। সেই সাথে এটি সার্চ ইঞ্জিনকে, পোস্টের বিষয়বস্তু সম্পর্কে আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করে।
High quality external link করা আপনার সাইটের SEO এর জন্য অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু যদি আপনি তাদের নতুন ট্যাব/উইন্ডোতে না ওপেন করেন, তাহলে ভিজিটররা আপনার সাইট ছেড়ে চলে যাবে।
তাই external link গুলো সবসময় নতুন ট্যাব/উইন্ডোতে ওপেন করার ব্যবস্থা করুন। এই পদ্ধতি আপনার ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট অনেকাংশে কমাতে সাহায্য করে।
পোস্টে Internal Link যুক্ত করুন
Internal Linking শুধুমাত্র আপনার ওয়েবসাইটের এসইও এবং পেজ ভিউকে improve করে না, বরং এটি আপনার সাইটের বিষয়বস্তু ভিজিটরদের জন্য আরো উপযোগী করে তোলে এবং বাউন্স রেট কমাতে সাহায্য করে। একই ডোমেইনের একটি পেজকে অন্য পেজে লিঙ্ক করাকে ইন্টারনাল লিঙ্কিং বলা হয়।
আপনার সাইটে কম কিন্তু পোস্টের সাথে রিলেটেড লিঙ্ক যুক্ত করুন। খুব বেশি এবং অপ্রাসঙ্গিক লিঙ্কিং আপনার সাইটের এসইও এবং বাউন্স রেটের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
Cross Browser Compatible চেক করুন
আপনার সাইটের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ ক্রস ব্রাউজার চেক করুন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আপনি ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করছেন, এর অর্থ এই নয় যে আপনার সাইটের ভিজিটররাও এটি ব্যবহার করছেন।
আপনি যদি ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে আপনার সাইটটি ওপেন করেন, তাহলে আপনার সাইটটি ব্রোকেন দেখাতে পারে। এখানে নিচে আমি দুটি টুল দিয়েছি যার সাহায্যে আপনি চেক করতে পারেন যে আপনার সাইটটি সব ব্রাউজারে ঠিক ভাবে শো হচ্ছে।
আপনার সাইটকে Responsive করুন
আপনার সাইট কি Responsive? অর্থাৎ যখন ভিজিটররা তাদের মোবাইল থেকে আপনার সাইটে প্রবেশ করে, তখন এটা কি তাদের মোবাইলে সঠিক ভাবে শো করে?
যদি আপনার সাইট মোবাইলে সঠিকভাবে প্রদর্শিত না হয়, তাহলে দর্শকরা দ্রুত আপনার সাইট ছেড়ে চলে যাবে। এটি আপনার বাউন্স রেট বাড়িয়ে দেবে।
আপনার সাইট মোবাইল ফ্রেন্ডলী কিনা তা যাচাই করার জন্য, আপনি গুগলের তৈরি মোবাইল টেস্টিং টুল ব্যবহার করতে পারেন। যদি আপনার সাইট মোবাইল ফ্রেন্ডলী না হয়, তাহলে আপনাকে আপনার সাইটে একটি Responsive ওয়ার্ডপ্রেস থিম ইনস্টল করতে হবে।
আপনার সাইটে Carefully Ads প্রদর্শন করুন
আপনি যদি আপনার সাইটে বিজ্ঞাপন রেখে থাকেন, তাহলে সেগুলো সঠিক জায়গায় রাখার চেষ্টা করুন।
কিন্তু অনেক সাইট অর্থ উপার্জনের জন্য প্রচুর বিজ্ঞাপন দেখায়, যার ফলে তাদের সাইট স্লো হয়ে যায় এবং পাঠককে বিভ্রান্ত করে । বিশেষ করে পপআপ বিজ্ঞাপন। এটি আপনার সাইটের বাউন্স রেটকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে।
আপনি যদি আপনার সাইটে পপআপ বিজ্ঞাপন ব্যবহার করেন, তাহলে এটি ভিজিটরকে অন্য ইউআরএলে Redirect করে। আর এই ধরনের বিজ্ঞাপন দর্শকরা মোটেও পছন্দ করেন না। তাই যদি আপনার সাইটের বাউন্স রেট কম রাখতে চান তাহলে আপনার সাইটে পপআপ বিজ্ঞাপন ব্যবহার না করাই ভাল।
Proper Heading এবং Tags ব্যবহার করুন
হেডিং ট্যাগ, আপনার ব্লগ পোস্ট কে পাঠযোগ্য করতে সাহায্য করে। ধরুন আপনার একটি ব্লগ পোস্ট আছে যার দৈর্ঘ্য 5000-6000 শব্দ, কিন্তু যদি হেডিং ট্যাগগুলি সঠিকভাবে ব্যবহার না করা হয়, তাহলে ভিজিটরদের আপনার আর্টিকেলটি পড়তে অনেক অসুবিধা হবে।
H1 ট্যাগ, সার্চ ইঞ্জিনকে আপনার আর্টিকেলটি কোন বিষয়ের উপর তা বুঝতে সাহায্য করে এবং আপনার সাইটের র্যাঙ্কিং বাড়ায়। কিন্তু H1 ট্যাগটি একবারের বেশি ব্যবহার করবেন না।
অনেক ওয়ার্ডপ্রেস থিম আছে যা টাইটেলের জন্য H1 ট্যাগ ব্যবহার করে না। আপনি যদি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য এই ধরনের থিম ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার টাইটেলের জন্য H1 ট্যাগ ব্যবহার করা উচিত।
আর্টিকেলে Image ব্যবহার করুন
একটি ছবি অনেক কথা বলে এবং ওয়েবসাইটের ভিজিটরদের দীর্ঘ সময় ধরে আপনার সাইটের মধ্যে ধরে রাখে। যদি আপনার বিষয়বস্তু খুব দীর্ঘ হয় (4,000 শব্দ +), তাহলে অবশ্যই আপনার আর্টিকেলের মধ্যে ছবি ব্যবহার করুন, যাতে দর্শকরা বিরক্ত না হয়।
কিন্তু এখানে একটা কথা বলে রাখি, আপনি গুগল থেকে সরাসরি ইমেজ ডাউনলোড করে আপনার সাইটে ব্যবহার করতে পারবেন না। কারণ গুগল থেকে ডাউনলোড করা বেশীরভাগ ইমেজ কপিরাইটযুক্ত এবং আপনি যদি এই ইমেজ আপনার সাইটে ব্যবহার করেন তাহলে কপিরাইট সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আপনার সাইটের জন্য কপিরাইট ফ্রি ইমেজ ডাউনলোড ওয়েবসাইট
আপনার কন্টেন্টের জন্য ভালমানের ছবি ব্যবহার করুন এবং আপলোড করার আগে সেগুলিকে অপ্টিমাইজ করুন।
সাইটে Search Option যুক্ত করুন
যদি কোন ভিজিটর আপনার সাইটে প্রবেশ করে এবং সে যে আর্টিকেলটি খুঁজছিল তা খুঁজে না পায়। তাহলে সে আপনার সাইট ত্যাগ করার আগে সার্চ অপশনের মাধ্যমে আর্টিকেলটি খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করতে পারে।
ডিফল্টরূপে, ওয়ার্ডপ্রেস একটি সার্চ উইজেট দিয়ে থাকে যা আপনি আপনার সাইটের ফুটারে বা সাইডবারে যুক্ত করতে পারেন। এছাড়াও, অনেক থিমে inbuilt সার্চ অপশন থাকে যা আপনি আপনার হেডার মেনু আইটেমগুলিতে দেখাতে পাবেন।
সঠিক ভিজিটরদের টার্গেট করুন
যখন আপনার ওয়েবসাইটে ভুল ভিজিটর আসবে, তখন অবশ্যই আপনার সাইটের বাউন্স রেট বেশি হবে। কারণ তারা আপনার ওয়েবপেজে আসবে এবং সাইট থেকে অন্য পেজে না গিয়ে বা বিষয়বস্তু না পড়ে সাইট থেকে বেরিয়ে যাবে।
অতএব, বাউন্স রেট কমাতে সঠিক ভিজিটরদের আকৃষ্ট করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবং এই ক্ষেত্রে, কীওয়ার্ড অপটিমাইজেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
উদাহরণস্বরূপ, আপনি আপনার সাইটে যদি টি শার্ট রিলেটেড পোস্ট করেন, তাহলে টি শার্ট সম্পর্কিত কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন। এর ফলে, যে দর্শকরা টি শার্ট সম্পর্কে জানতে চাচ্ছে তারা আপনার সাইটে এসে সময় নিয়ে আপনার আর্টিকেলটি পরবে।
ভিডিও ব্যবহার করুন
বাউন্স রেট কমাতে ভিডিও শক্তিশালী হাতিয়ার।
সাধারনত ভিডিও, Text বা চিত্রের চেয়ে বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম। আপনি আপনার ব্লগ পোস্টের জন্য ভিডিও তৈরি করতে পারেন এবং আপনার ব্লগ পোস্টে সেটি যুক্ত করতে পারেন। এটি আপনার বাউন্স রেট অনেক কমিয়ে দেবে।
পুরানো কন্টেন্ট আপডেট করুন
আপনার যদি পুরনো কোন হাই-ট্রাফিক পোস্ট থাকে, তাহলে তা আপডেট তথ্য এবং ছবি দিয়ে আপডেট করুন। এটি আপনার ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কমিয়ে দেবে।
নতুন কীওয়ার্ড এবং সর্বশেষ তথ্য ও ছবি দিয়ে আপনার পুরানো কন্টেন্ট আপডেট করুন। তারপর আপনার নতুন পাঠক এবং সামাজিক মিডিয়া সাইটে কন্টেন্ট গুলো শেয়ার করুন।
সাইটে SSL সার্টিফিকেট যুক্ত করুন
SSL সার্টিফিকেট ছাড়া ওয়েবসাইট গুলোকে Not Secure ওয়েবসাইট হিসেবে ধরা হয়।
সুতরাং ভিজিটররা আপনার সাইট ছেড়ে চলে যাওয়ার এটিও একটি কারণ হতে পারে। এজন্য SSL সার্টিফিকেট বা HTTPS খুবই গুরুত্বপূর্ণ!
আপনি যদি এখনও আপনার সাইটে HTTP ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব আপনার সাইটটিকে HTTPS এ স্থানান্তর করুন।
Table of Contents যুক্ত করুন
Table of Contents আপনার সাইটের ভিজিটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং আপনার পোস্টের বিষয়বস্তু সম্পর্কে দ্রুত তথ্য দেখায়।
ওয়ার্ডপ্রেসে অনেক ফ্রি প্লাগইন পাওয়া যায় যা ব্যবহার করে আপনি আপনার সাইটে টেবিল অব কন্টেন্ট যোগ করতে পারেন।
Black Text এবং White Background ব্যবহার করুন
আপনার ব্লগের Text এবং Background এর জন্য রঙিন রং ব্যবহার করবেন না। কারণ এটি আপনার বাউন্স রেটে প্রভাব ফেলতে পারে। আপনার কাছে হয়ত রঙিন কালার ব্যবহার করলে ভাল লাগতে পারে কিন্তু আপনার পাঠকদের কাছে এটি ভালো লাগবে না।
যখন একজন ভিজিটর একটি ব্লগে যান, তখন তারা একটি পরিষ্কার এবং সহজ ব্লগ দেখতে পছন্দ করেন। অতএব, আপনার টেক্সটের জন্য সর্বদা কালো রঙ এবং Background এর জন্য সাদা রঙ ব্যবহার করুন।
শেষ কথা
এই আর্টিকেলে, আমি আপনাদের বাউন্স রেট কমানোর কয়েকটি উপায় সম্পর্কে বলেছি। কিন্তু High quality content ছাড়া আপনি Bounce Rate কমাতে পারবেন না।
আর্টিকেলটি নিয়ে যে কোন ধরনের প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে কমেন্ট সেকশনে জানান। ধন্যবাদ