বর্তমানে বেশীরভাগ অভিভাবকদের একটি কমন সমস্যা ফেস করতে হয়, আর তা হল কিভাবে তাদের সন্তানদের ফোন আসক্তি থেকে দূরে রাখবেন? কিভাবে ছোট বাচ্চাদের ফোন আসক্তি থেকে দূরে রাখবেন? এবং কোন বয়সে শিশুদের হাতে ফোন দেওয়া উচিত? কারণ এই ফোন আসক্তির কারণে শিশুদের লেখাপড়া, শারীরিক গঠন এবং অন্যান্য এক্টিভিটি ব্যাহত হচ্ছে । সেই সাথে শিশুদের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হচ্ছে । এমন পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের জন্য এটি একটি গুরুতর উদ্বেগের কারণে হয়ে দাঁড়িয়েছে ।আপনিও যদি একজন অভিভাবক হন এবং আপনি যদি আপনার সন্তানদের ফোন থেকে দূরে রাখতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন । আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সাথে কিভাবে শিশুদের ফোন আসক্তি থেকে দূরে রাখবেন সে বিষয়ে আলোচনা করব ।
Table of Contents
শিশুদের ফোন আসক্তি
আজকের এই আর্টিকেলটি শিশু মনোবিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে । শিশুদের পছন্দ-অপছন্দ, চিন্তা-ভাবনা ও বোঝার ক্ষমতা, অনুভূতি ইত্যাদি বিষয়ের কথা মাথায় রেখে লেখা হয়েছে । শিশুদের ফোন আসক্তি থেকে দূরে রাখতে হলে আপনাকে ধাপে ধাপে এগোতে হবে । কোন পদক্ষেপ মিস করা যাবে না, কারণ এখানে প্রতিটি পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । আর্টিকেলের কিছু কিছু পদক্ষেপ আপনার কাছে অযথা মনে হতে পারে, কিন্তু সেগুলি আপনার সন্তানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।কারণ শিশুদের মানসিক স্তর একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মানসিক স্তর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা । তাই আর্টিকেলে উল্লেখিত বিষয়গুলোকে গুরুত্ব সহকারে নিন ।
ফোন আসক্তি কোথা থেকে শুরু
যে কোন সমস্যা সমাধান করতে হলে প্রথমেই আপনাদের খুঁজে বের করতে হবে সমস্যাটা কোথা থেকে শুরু হলো? অর্থাৎ সমস্যার মূল কোথায়? কারণ গোঁড়া থেকে সমস্যার সমাধান না করলে সমস্যার কোনো স্থায়ী সমাধান হবে না । আর আপনি চাইলেও আপনার সন্তানদের হাত থেকে ফোন কেড়ে নিতে পারবেন না । কেউ কেউ এই ব্যাপারে অনেক বেশী কঠোর । কিন্তু আপনি যদি আপনার সন্তানের কাছ থেকে ফোন কেড়ে নেন এবং অতিরিক্ত বকবকি করে বা মারধর করে শিশুকে ফোন থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেন, তাহলে সমস্যার সাময়িক সমাধান হবে, কিন্তু স্থায়ী সমাধান হবে না । আর এটি সমস্যার সমাধান নয়, বরং দমন বলা হয় । শিশুদের সাথে এমন আচরণ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয় ।
কারণ দমন নিপীড়ন সমস্যার সমাধান করে না, বরং পরস্থিতি আরও বেশী খারাপ করে । এবং পরবর্তীতে তা অনেক ভয়াবহ পরিণতির দিকে নিয়ে যায় । তাই সমস্যা সাময়িকভাবে চাপা না দিয়ে এর স্থায়ী সমাধান খুঁজতে হবে । কারণ সমস্যাকে যদি চাপা দিয়ে রাখেন তাহলে সময়ের সাথে সাথে তা আরও বেশী সহিংস হয়ে ওঠে । আর শেষ পর্যন্ত তা দুরারোগ্য ব্যাধিতে রূপ নেয় । তাই সমস্যা ধরা পড়ার সাথে সাথে এর গোঁড়া থেকে সমাধান করতে হবে । তাহলে চলুন জেনে নেই শিশুদের মোবাইল আসক্তি থেকে দূরে রাখার উপায়?
আরও পড়ুনঃ কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ, লক্ষণ এবং ঘরোয়া প্রতিকার
বাচ্চাদের ফোন আসক্তির সমাধান
বাচ্চাদের ফোন আসক্তির সমাধান করার আগে খুঁজে বের করুন আপনার সন্তান কিভাবে ফোনে আসক্ত হলো? বা তাকে ফোনটা কে দিয়েছে? এটা স্পষ্ট যে শিশুর নিজের কাছে ফোন কেনার জন্য পর্যাপ্ত টাকা থাকবে না । এমতাবস্থায় এর পেছনে কোথাও না কোথাও আপনি বা আপনার পরিবারের কেউ দায়ী । অথবা যদি শিশুটি বাইরে কোথাও থেকে ঘুরে আসে (যেমন – মামা, দাদী, নানী, খালা ইত্যাদির কাছে), তাহলে সে সেখান থেকেও ফোনে আসক্ত হয়ে থাকতে পারে । এছাড়া শিশুর বন্ধুরাও এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে । তবে কারণ যাই হোক না কেন, সমস্যাটির সমাধান আপনাকেই করতে হবে ।
যদি শিশুটি কোথাও ঘুরে আসার কারণে ফোনে আসক্ত হয়
নানী, মামা বা অন্য কোনো আত্মীয়ের কাছে থেকে শিশু যদি ফোনে আসক্ত হয়ে থাকে তাহলে টেনশন নেওয়ার কিছু নেই । কারণ এর প্রভাব শিশুর ওপর খুব বেশিদিন থাকবে না । শিশুটি বাড়িতে ফিরে আসার সাথে সাথে শিশুটি পুরোনো পরিবেশে ফিরে আসবে এবং কয়েকদিনের মধ্যে আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে উঠবে । তবে মনে রাখবেন, ঘুরে আসার কয়েকদিন পর্যন্ত শিশুকে ফোন থেকে দূরে রাখতে হবে । ফোন আসার সাথে সাথে যদি আপনি বাচ্চার হাতে ফোন দেন তাহলে সে ধীরে ধীরে ফোনের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়বে । আর একটি সময় পরে এই নেশা থেকে মুক্তি পাওয়া খুবই কঠিন হবে । অতএব, সময় থাকতে সমস্যা চিহ্নিত করুন এবং দ্রুত সেটি সমাধান করার জন্য সঠিক পদক্ষেপ নিন ।
বন্ধুদের কারণে ফোনে আসক্ত হলে
বর্তমানে অনেক বাবা-মা তাদের চাকরীর কারণে দুজনেই দিনের বেশীরভাগ সময় বাড়ির বাহিরে থাকেন এবং বাচ্চারা এই সময়টাতে একা বাড়িতে থাকে । এমন পরিস্থিতিতে শিশুরা তাদের একাকীত্বের সমস্যা দূর করতে তাদের বন্ধুদের কাছে যায় বা সে তাদের বন্ধুদের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানায় । এতটুকু পর্যন্ত ঠিক আছে, কিন্তু শিশুরা যখন সম্পূর্ণ স্বাধীনতা পায় এবং তাদের বাধা দেওয়ার মত কেউ থাকে না, তখন তারা যেকোনো কিছু করতে পারে । এমতাবস্থায় শিশুরা তাদের স্বাধীনতার পূর্ণ ব্যবহার করে এবং এমন সব কাজ করে যা তাদের পিতামাতা করতে নিষেধ করেছেন । এমন অবস্থায় আপনার বাড়িতে বা আপনার সন্তানের বন্ধুর বাড়িতে যদি ফোন থাকে তাহলে শিশুরা ফোনে আসক্ত হয়ে পড়বে ।
বন্ধুদের কারণে যদি আপনার সন্তান ফোনে আসক্ত হয়ে থাকে, তাহলে সেটার জন্য আপনিও অনেকাংশে দায়ী । তাই সব সময় নিশ্চিত হয়ে নিন যে, আপনার শিশুটি যেন কখনই একাকীত্ব অনুভব না করে এবং সে যেন সবসময় আপনার তত্ত্বাবধানে থাকে ।এছাড়াও আপনার শিশুকে এমন বন্ধুদের থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন যাদের কাছে ফোন আছে এবং তাদের বাধা দেওয়ার কেউ নেই । এই কাজটি খুব সতর্কতার সাথে এবং ধৈর্যের সাথে করুন । কারণ আপনি যদি আপনার সন্তানকে তার বন্ধুদের কাছ থেকে জোর করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে আপনার শিশু আপনাকে তার শত্রু মনে করবে । তাই বুদ্ধি দিয়ে কাজটি করুন ।
যদি আপনি দায়ী হন
আপনি যদি নিজেই প্রথমবার আপনার বাচ্চার হাতে ফোন দিয়ে থাকেন এবং আপনি যদি আপনার বাচ্চার ফোনের আসক্তির পেছনে নিজেকে দায়ী মনে করেন, তাহলে প্রথমেই নিজেকে একটি প্রশ্ন করুন যে, আপনি কেন বাচ্চাকে ফোন দিয়েছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তরেই আপনি আপনার সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন । বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে অভিভাবকরা তাদের নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত থাকে । আর কোনো কোনো অভিভাবক বাসায় এসেও তাদের অফিসের কাজে জড়িয়ে পড়েন । তাই তারা তাদের সন্তানদের পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেন না । যখন শিশুরা বিভিন্ন ধরনের কথা বলে তাদের হয়রানি করে, তখন তারা তাদের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য শিশুদের হাতে ফোন তুলে দেয় । আর এভাবেই শিশুরা ধীরে ধীরে ফোনের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে । যা পরবর্তীতে নেশায় পরিণত হয় ।
তাহলে এই সমস্যার সমাধান কি? এই সমস্যার সমাধান খুবই সহজ এবং তা হল আপনার সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দিন । এর জন্য আপনি এই ২ টি কাজ করতে পারেন । প্রথমত, অফিসের কাজ অফিসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখুন অর্থাৎ অফিসের কাজ বাড়িতে আনবেন না । আর দ্বিতীয়ত, বাড়িতে ফেরার পরের সময়টুকু আপনার স্ত্রী সন্তানদের জন্য রাখুন । কারণ এর ওপর তাদের সম্পূর্ণরূপে অধিকার আছে । কিন্তু কীভাবে এটি আপনার শিশুকে মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে? আসুন আপনাকে এর উপায়ও বলি । এর জন্য, আপনাকে আপনার শিশুদের সাথে নিম্নোক্ত আচরণ করতে হবে –
কিভাবে ফোন আসক্তি থেকে শিশুদের মুক্ত করবেন
আপনার সন্তানকে ফোন আসক্তি থেকে মুক্ত করার উপায় গুলো নিচে দেওয়া হল –
- প্রথমত, আপনার শিশুদের সামনে ফোন ব্যবহার বন্ধ করুন অথবা কম ব্যবহার করুন । অর্থাৎ আপনি আপনার শিশুর সামনে নিজেকে উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করুন ।
- এরপর ফোনের কারণে কি কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে তা শিশুদের বলুন । সেই সাথে নোমোফোবিয়া এবং গুরুতর স্বাস্থ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের সাথে খোলাখুলি কথা বলুন ।
- এরপরে, ধীরে ধীরে ফোন থেকে আপনার শিশুর মনোযোগ সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন । তবে একটি বিষয় মনে রাখবেন, হঠাৎ করেই আপনার শিশুর কাছ থেকে ফোন ছিনিয়ে নেবেন না, ধৈর্য ধরুন । শুরুতে, এমন কোন বস্তু, খেলা বা কার্যকলাপের সাহায্য নিন যাতে শিশুটি সবচেয়ে বেশি আগ্রহী ।
- মোবাইলের পরিবর্তে বাচ্চাদের হাতে তাদের পছন্দের খেলনা কিনে দিন । আপনার শিশুর যদি বই পড়ার দিকে আগ্রহী হয়, তাহলে তাকে অনুপ্রেরণামূলক গল্প, কবিতা, ছবি ও কমিকসের বই কিনে দিন । অথবা সে যে ধরনের বই পড়তে বেশী পছন্দ করে সে ধরনের বই কিনে দিন ।
- মাঝে মাঝে (সম্ভব হলে প্রতিদিন) সন্ধ্যায় বা সকালে (যখনই আপনি সময় পান) অবশ্যই বাচ্চাদের কাছের মাঠ বা পার্কে বেড়াতে নিয়ে যান । এর ফলে শিশুরা সেই সময়টুকু ফোন থেকে সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকবে এবং সেই সাথে তাদের স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে ।
- কাজ থেকে বাড়িতে ফিরে, তার স্কুল সম্পর্কে শিশুকে জিজ্ঞাসা করতে ভুলবেন না । কারণ বাচ্চাদের কাছে তাদের স্কুলের বিষয়ে বলার মতো অনেক কথা থাকে, যা তারা শেয়ার করতে চায় । তাই আপনি শুধু একবার জিজ্ঞাসা করুন এবং এরপরে আপনি সারাদিনে স্কুলে কি ঘটেছে তার একটি সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পেয়ে যাবেন ।
- এছাড়া স্কুল থেকে কোন বিষয়ের উপর হোমওয়ার্ক দিয়েছে, সে বিষয়ে তার সাথে আলোচনা করুন । সেই সাথে শিশুদের বাড়ির কাজ করতে তাকে সাহায্য করুন ।
- রাতে ঘুমানোর আগে প্রতিদিন শিশুদের শিক্ষণীয় বিভিন্ন গল্প বলুন । আসলে শিশুরা গল্প শুনতে অনেক পছন্দ করে ।তাই আপনি এই গল্পের মাধ্যমে তাদের অনেক কিছু শেখাতে পারবেন । যেমন ভালো-মন্দ নির্বাচন করা, বড়দের সম্মান করা, গাছ-গাছালির প্রতি ভালোবাসা, জীবের প্রতি দয়া ইত্যাদি ।
- বাচ্চাদেরকে সবসময় কোন না কোন কাজ দিয়ে ব্যস্ত রাখুন । তাদের অলসভাবে বসে থাকতে দেবেন না । কারণ শিশুদের মধ্যে সীমাহীন শক্তি থাকে এবং তারা কখনই ক্লান্ত হয় না । তাই তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের কুইজ, কমিকস, গেম বা অন্যান্য কার্যকলাপে নিযুক্ত করুন এবং তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করুন ।
- আপনার শিশুকে বাগান করে দিতে পারেন এবং সেই সাথে বাগানের পরিচর্যার ভার তার হাতে তুলে দিন । এতে করে আপনার শিশু গাছকে ভালবাসবে এবং বাগানের পেছনে সময় দেওয়ার কারণে মোবাইল থেকেও অনেকটা দূরে থাকবে ।
উপরের নিয়মগুলো আপনি এক থেকে দুই সপ্তাহ অনুসরণ করুন । এর মধ্যেই আপনি ইতিবাচক ফলাফল দেখতে শুরু করবেন । আর আপনি যদি এই বিষয়গুলো সম্পূর্ণভাবে ও সততার সাথে অনুসরণ করেন তাহলে আপনি অবশ্যই আপনার সন্তানকে ফোন আসক্তি থেকে দূরে রাখতে সফল হবেন । কারণ শিশুরা হল কাঁচা মাটির পিণ্ডের মতো, যাকে আপনারা যে আকার দেবেন তারা সেই আকারেই বড় হয়ে উঠবে ।
আরও পড়ুনঃ অ্যাসিডিটির কারণ, লক্ষণ এবং ঘরোয়া প্রতিকার
কোন বয়সে শিশুদের ফোন দেওয়া উচিত ?
যখনই বাচ্চাদের হাতে ফোন দেওয়ার কথা আসে, তখন প্রত্যেক বাবা-মায়ের মনে একটাই প্রশ্ন জাগে যে, বাচ্চাদের কোন বয়সে ফোন দেওয়া উচিত? অর্থাৎ শিশুদের ফোন দেওয়ার সঠিক বয়স কত? তাই আমি আপনাদের বলব যে, শিশু মনোবিজ্ঞানীরাও এই বিষয়টিতে একমত হতে পারেননি । তাদের মধ্যে কেউ কেউ ১৮ বছর বয়সের পরে আবার কেউ কেউ ১৫ বছর বয়সে ফোন দেওয়ার কথা বলে । কিন্তু বেশিরভাগ শিশু মনোবিজ্ঞানী একমত যে, শিশুর অন্তত স্কুলে পড়া শেষ করার পরেই (এসএসসি পাশ করার পরে) তাদের হাতে ফোন দেওয়ার কথা ভাবা উচিত । সেই হিসাবে, ১৭-১৮ বছর বয়সের পরে ফোন শিশুকে দেওয়া উচিত ।
কিন্তু অনেক সময় বাচ্চাকে ফোন দেওয়া বা না দেওয়া পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে । যদি আপনার সন্তান বাইরে পড়াশোনা করে এবং পিতামাতার সাথে কথা বলার জন্য তাদের একটি ফোনের প্রয়োজন হয়, তাহলে এমন পরিস্থিতিতে তাকে একটি ফোন দেওয়া বাধ্যতামূলক হয়ে ওঠে ।
উপরের পরিস্থিতির কারণে আপনি যদি সন্তানকে ফোন কিনে দেন, তাহলে তাকে একটি ননস্মার্টফোন অর্থাৎ বাটন ফোন কিনে দিন । যে ফোনে ইন্টারনেট সুবিধা থাকবে না । কারণ আপনি তাকে শুধুমাত্র কথা বলার জন্য ফোন দিচ্ছেন, ইন্টারনেট ব্রাউজ করার জন্য নয় । অতএব, ইন্টারনেট সহ একটি স্মার্টফোনের পরিবর্তে আপনি তার হাতে একটি বাটন ফোন দিন । এছাড়াও কোন দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছে শিশুর পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দিয়ে দেবেন । যাতে আপনার সন্তান কোনভাবেই ফোন আসক্তির শিকার না হয় এবং তার পড়াশোনারও ব্যাঘাত না ঘটে ।
শেষ কথা
আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সাথে কিভাবে শিশুদের ফোন আসক্তি থেকে দূরে রাখবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি । আমরা আশা করছি, আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার বাচ্চাদের ফোন থেকে দূরে রাখতে আপনাকে সাহায্য করবে । আপনার যদি এখনও শিশুদের ফোন আসক্তি সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে কমেন্ট সেকশনে জানান । ধন্যবাদ ।