আপনি নিশ্চয়ই বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুষকে ঋণ বা লোন নিতে দেখেছেন । যেমন, কেউ কেউ বাড়ি তৈরি করতে বা বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্য লাখ লাখ টাকা থেকে কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নেয় । আবার কেউ কেউ, বাইক কিনতে বা বাড়ি মেরামত করতে কয়েক হাজার টাকা নেন । অর্থাৎ, ঋণের সাহায্যে আপনি সেই সব খরচ মেটাতে পারবেন, যার জন্য আপনার কাছে টাকা নেই । ঋণ নেওয়ার মাধ্যমে, আপনার প্রয়োজন মেটানোর জন্য, আপনাকে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হবে না । ঋণ নেওয়ার আরেকটি বড় সুবিধা হল, আপনি জরুরী পরিস্থিতিতে লোন নিয়ে আপনার খরচ মেটাতে পারবেন । যেমন চিকিৎসা খরচ, গাড়ির রিপেয়ারিং ইত্যাদি । আজকের এই আর্টিকেলে, আমরা আপনাদের সাথে, ঋণ কি এবং ঋণ গ্রহনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলচনা করব ।
Table of Contents
ঋণ কি – ঋণ কাকে বলে – লোন কি – লোন কাকে বলে
ঋণ বা লোন হল, একটি ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা ধার নেওয়া এবং পরবর্তীতে ঋণগ্রহীতা, একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাসিক কিস্তিতে ঋণের মূল পরিমাণ টাকা, সুদ সহ ফেরত দিতে সম্মত হয় । অন্যভাবে বললে, ঋণ হল একজন ঋণদাতা এবং একজন ঋণগ্রহীতার মধ্যে একটি ব্যবস্থা, যেখানে ঋণগ্রহীতা একটি পূর্ব-নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে অতিরিক্ত সুদের সাথে সমান মাসিক কিস্তিতে (EMIs) ধার করা অর্থ ফেরত দিতে সম্মত হন ।
ঋণের মূল উপাদানগুলি কি কি ?
ঋণের মূল উপাদানগুলি নিম্নরূপঃ
- ঋণ গ্রহণকারী: ঋণ গ্রহণ করার জন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ।
- ঋণ প্রদানকারী: ঋণ প্রদান করার জন্য ব্যাংক, বিতরণ সংস্থা বা অন্যান্য ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ।
- ঋণের পরিমাণ: ঋণ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রহণ করা অর্থের পরিমাণ ।
- সুদের হার: ঋণ পরিশোধের জন্য ঋণ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদেয় সুদের পরিমান বা হার ।
- পরিশোধের সময়সীমা: ঋণ পরিশোধের জন্য নির্ধারিত সময়ের সীমা ।
- শর্তাদি: ঋণ গ্রহণের জন্য ঋণ গ্রহণকারীকে অবশ্যই নির্দিষ্ট কিছু শর্তাদি পূরণ করতে হবে । যেমন সুরক্ষা জামানত প্রদান, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইত্যাদি।
ঋণ নেওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয় ?
লোনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ নিচে দেওয়া হল –
- আইডেন্টিটি প্রুফ: যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি ।
- ঠিকানার প্রমাণ: যেমন বাড়ির বিল, ব্যাংক বকেয়া বিল, বাড়ির মালিকানার দলিল ইত্যাদি ।
- আয়ের প্রমাণ: যেমন বেতন স্লিপ, ট্যাক্স রিটার্ন, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি ।
- জামানতের প্রমাণ: যেমন সম্পত্তির দলিল, জামানতদারের সম্পত্তির দলিল ইত্যাদি।
- ব্যাংকের স্টেটমেন্ট: যেমন ব্যাংক একাউন্ট স্টেটমেন্ট, ব্যাংক লেটার ইত্যাদি ।
লোন আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
Salary paid person | Self-Employed |
ছবি+আবেদন পত্র | ছবি+আবেদন পত্র |
পরিচয় প্রমাণপত্র যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি । | পরিচয় প্রমাণপত্র যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি । |
ঠিকানার প্রমাণপত্র যেমন বাড়ির বিল, ব্যাংক বকেয়া বিল, বাড়ির মালিকানার দলিল ইত্যাদি । | ঠিকানার প্রমাণপত্র যেমন বাড়ির বিল, ব্যাংক বকেয়া বিল, বাড়ির মালিকানার দলিল ইত্যাদি । |
গত ৬ মাসের ব্যাংক একাউন্ট স্টেটমেন্ট | গত ৬ মাসের ব্যাংক একাউন্ট স্টেটমেন্ট |
বেতন স্লিপ | ব্যবসার প্রমান |
ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন সার্টিফিকেট | বিগত তিন সালের ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন(self and business)বিগত তিন সালের Profit/Loss এবং Balance Sheet |
চেক এর প্রসেসিং ফি | চেক এর প্রসেসিং ফি |
ঋণ প্রক্রিয়া কিভাবে কাজ করে ?
ঋণ প্রক্রিয়া কিভাবে কাজ করে তা নিচে দেওয়া হল –
- ১. প্রথমেই, ঋণ গ্রহণকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে আবেদন জমা দেয় ।
- ২. এরপরে ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, ঋণ আবেদনকারীর তথ্য পরীক্ষা করে ঋণের সম্ভাব্যতা অর্থাৎ আবেদনকারীকে ঋণ দেওয়া যাবে কিনা বা দিলেও কত পরিমান টাকা ঋণ দেওয়া যাবে তা নির্ধারণ করে ।
- ৩. ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ঋণের পরিমাণ, সুদের হার, পরিশোধের সময়সীমা এবং অন্যান্য শর্তাদি নির্ধারণ করে ।
- ৪. ঋণ গ্রহণকারী ঋণের শর্তাদি পূরণ করে আবেদন জমা দেয় ।
- ৫. ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, ঋণের অনুমোদন করে এবং ঋণ গ্রহণকারীকে ঋণ প্রদান করে ।
- ৬. ঋণ গ্রহণকারী, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মাসিক বা ত্রৈমাসিক ভাবে ঋণের টাকা পরিশোধ করে ।
- ৭. নির্দিষ্ট সময়ে ঋণ পরিশোধ না করলে বা ব্যর্থ হলে, টাকার বদলে দণ্ড, জরিমানা বা জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয় ।
লোনের জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া কি ?
লোনের জন্য আবেদন করার জন্য নিচের ধাপগুলি অনুসরণ করতে হবে:
- ১. প্রথমেই লোন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং লোনের জন্য সম্ভাব্য শর্তাদি এবং কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে সে সম্পর্কে জেনে নিতে হবে ।
- ২. পরবর্তীতে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে । এই ফর্মে, আপনার ব্যক্তিগত ও আর্থিক তথ্য, লোনের পরিমাণ ইত্যাদি বিষয় উল্লেখ করতে হবে ।
- ৩. আবেদন ফরম সঠিকভাবে পূরণ করে, সমস্ত আপডেটেড কাগজপত্র সহ ফর্ম লোন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে সাবমিট করতে হবে ।
- ৪. লোন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান আপনার আবেদন পরীক্ষা করবে এবং আপনার আর্থিক যোগ্যতা ও সব ধরনের রেকর্ড পরীক্ষা করবে ।
- ৫. যদি সব কিছু ঠিক থাকে তাহলে আপনার আবেদন অনুমোদিত হবে এবং লোন প্রদান করার জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করা হবে এবং আপনাকে প্রদত্ত শর্তাদি অনুযায়ী লোন প্রদান করা হবে ।
লোনের ৩ টি প্রধান উপাদান-
লোনের ৩ প্রধান উপাদান রয়েছে –
- ১ মূলধন – আপনি যখন কোন ব্যাংক, প্রতিষ্ঠান বা কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে লোন নেন, তখন যে পরিমাণ টাকা আপনি নিচ্ছেন সেটাই হলো মূলধন । অর্থাৎ যে পরিমাণ টাকা আপনি ধার নিয়েছেন সেটাকেই মূলধন বলা হয় ।
- ২ সুদের হার – লোনের সুদ বা সুদের হার হল, ঋণদাতার লোনের বিনিময়ে পাওয়া অতিরিক্ত অর্থের পরিমাণ । এই সুদের মাধ্যমেই ঋণদাতা, লোনের বিনিময়ে কিছু টাকা লাভ করেন ।
- ৩ লোনের সময়কাল – লোনের সময়কাল হলো লোন পরিশোধের মেয়াদ বা সময়সীমা । আপনি যখন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের থেকে লোন নেবেন, তখন সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আপনার লোন পরিশোধের জন্য একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে দেবে ।
লোন কত প্রকার – লোনের প্রকারভেদ
লোন বিভিন্ন প্রকারে হয়ে থাকে, নিচে লোনের কিছু প্রকার উল্লেখ করা হলো –
- ব্যক্তিগত লোন (Personal Loan): এই ধরনের লোন সাধারনত ব্যক্তিগত প্রয়োজনের জন্য ব্যবহৃত হয় । এই লোনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ, ব্যক্তি বিভিন্ন কাজে ব্যয় করতে পারেন । এই ধরনের লোনের মধ্যে রয়েছে – শিক্ষার্থী লোন, বিবাহ লোন, চিকিৎসা লোন ইত্যাদি । ব্যক্তিগত লোনের জন্য সাধারণত কোন সম্পত্তি বা জামানতের প্রয়োজন হয় না ।
- ব্যবসায়িক লোন (Business Loan): এই ধরনের লোন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয় । ব্যবসায়িক লোনের মাধ্যমে, নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু করা, নতুন প্রকল্প শুরু করা, ব্যবসার প্রসার বা অন্যান্য ব্যবসায়িক প্রয়োজনগুলি পূরণ করা যায় । ব্যবসায়িক লোনের জন্য সাধারণত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি বা জামানতের প্রয়োজন হয় ।
- বিশেষ লোন (Specialized Loan): এই ধরনের লোন, বিশেষ কোন উদ্দেশ্যে প্রদান করা হয় । উদাহরণস্বরূপ, বাড়ি ক্রয়ের জন্য হাউসিং লোন, গাড়ি ক্রয়ের জন্য কার লোন, শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা লোন ইত্যাদি । এই ধরনের লোনের জন্য সাধারণত সম্পত্তি বা জামানতের প্রয়োজন হয় ।
এছাড়াও ঋণকে আরও কিছু ভাগে ভাগ করা যায় । যেমন – সুরক্ষিত এবং অসুরক্ষিত ঋণ
- সুরক্ষিত ঋণ: সুরক্ষিত ঋণ হলো এমন ধরনের ঋণ, যা ঋণদাতার কাছে নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য হয় । এই ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে ঋণদাতা, ঋণ প্রদানের পূর্বে কিছু সম্পত্তি বা জামানত গ্রহণ করে, যাতে ঋণ পরিশোধ না করলে সে সম্পত্তি বা জামানত ব্যবহার করে তার টাকা ফেরত নিতে পারে । যেমন – মর্গেজ লোন । সুরক্ষিত ঋণে সাধারণত সুদের হার কম থাকে এবং পরিশোধের সময়সীমা বেশি থাকে ।
- অসুরক্ষিত ঋণ: অসুরক্ষিত ঋণ হলো এমন ঋণ যা ঋণদাতার জন্য নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য নয় । এই ধরনের ঋণে ঋণদাতা কোন ধরনের সম্পত্তি বা জামানত গ্রহণ করে না এবং ঋণ পরিশোধ না করলে সে সম্পত্তি বা জামানত ব্যবহার করে পরিশোধ করা যায় না । যেমন – ব্যক্তিগত লোন, ক্রেডিট কার্ড লোন ইত্যাদি । অসুরক্ষিত ঋণে সাধারণত সুদের হার বেশি থাকে এবং পরিশোধের সময়সীমা কম থাকে ।
ঋণ নেওয়ার আগে যে বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে
ঋণের জন্য আবেদন করার আগে, ব্যক্তি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করতে হবে । নিচে সেগুলো উল্লেখ করা হলো –
- ঋণের প্রকার:
- ঋণ নেওয়ার আগে আপনি কোন ধরনের ঋণ নিতে চাচ্ছেন তা নির্বাচন করুন । কিছু প্রধান ঋণের ধরণ হলো, ব্যক্তিগত ঋণ, বাণিজ্যিক ঋণ, বা মুদ্রাস্ফীতি ঋণ । আপনার প্রয়োজনের অনুসারে ঋণের ধরনটি বেছে নিন ।
- ঋণের পরিমাণ:
- আপনি কি পরিমাণ টাকা ঋণ নিতে চান তা ঠিক করুন ? এটি আপনার উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করতে পারে, তবে আপনার আর্থিক স্থিতি এবং প্রদান সক্ষমতার কথা মাথায় রেখে ঋণ গ্রহন করুন ।
- সুদের হার:
- ঋণ গ্রহনের আগে সুদের হার সম্পর্কে খুব ভালভাবে জেনে নিন ? কারন এই সুদের হার আপনার আর্থিক ভারসাম্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে । তাই সুদের হার সম্পর্কে ভালভাবে জেনে নিয়ে ঋণ গ্রহন করুন ।
- মেয়াদ:
- ঋণ গ্রহনের পূর্বে ঋণের টাকা কতদিনের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে সে সম্পর্কে খুব ভালভাবে জেনে নিন । যেন এটি আপনার আর্থিক সক্ষমতার সাথে মিলে এবং আপনি সহজে এবং সঠিকভাবে ঋণ পরিশোধ করতে পারেন ।
সতর্কতা – অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন থার্ড পার্টি অ্যাপস থেকে ঋণ নেওয়া থেকে বিরত থাকুন । কোন অবস্থাতেই এই ধরনের অ্যাপস থেকে ঋণ বা লোন গ্রহন করবেন না ।
ঋণ নেওয়ার সুবিধা
ঋণ গ্রহণের সুবিধাগুলো নিম্নরূপ-
- আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী আপনার প্রয়োজনীয় পরিমাণ টাকা পেতে পারেন ।
- আপনি যদি ঋণের জন্য যোগ্য বলে প্রমাণিত হন, তাহলে 24 থেকে 48 ঘন্টার মধ্যে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঋণের টাকা পেয়ে যাবেন ।
- ঋণ পরিশোধ করার জন্য, আপনি আপনার মাসিক উপার্জন অনুযায়ী, ঋণ পরিশোধ করার সময়সীমা নির্ধারণ করতে পারেন ।
- আপনি ঋণ নিয়ে আপনার আর্থিক অবস্থার উন্নতি করতে পারেন ।
- আয়কর আইন অনুযায়ী, আপনাকে প্রায় সব ধরনের ঋণে ট্যাক্স বেনিফিট সুবিধা দেওয়া হয় ।
ঋণ নেওয়ার অসুবিধা
ঋণ গ্রহণের অসুবিধাগুলো নিম্নরূপ-
- ঋণ পরিশোধ করার পর, আপনাকে মূল টাকার সাথে সুদও দিতে হবে ।
- সময়মতো ঋণের টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে, আপনার সম্পত্তি পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে ।
- সময়মতো ঋণের EMI পরিশোধ না করলে, আপনাকে জরিমানা প্রদান করতে হবে ।
- ব্যক্তিগত ঋণে সুদের হার বেশি থাকে ।
- ঋণ নেওয়ার সময়, ঋণগ্রহীতাকে অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের চার্জ দিতে হয় । যার মধ্যে রয়েছে প্রসেসিং ফি, সার্ভিস ফি ইত্যাদি আরও অনেক কিছু । তাই ঋণ গ্রহনের পূর্বে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া উচিত ।
শেষ কথা
আপনাদের বিভিন্ন কারনে বিভিন্ন সময়ে ঋণ গ্রহন করার প্রয়োজন হতে পারে । তবে ঋণ নেওয়ার আগে অবশ্যই ভাল কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করবেন এবং ঋণ গ্রহনের পূর্বে অবশ্যই প্রতিষ্ঠানের শর্তাবলী সম্পর্কে ভালভাবে জেনে নেবেন । বিশেষ করে, যদি কোন এনজিও থেকে ঋণ নেন, তাহলে এনজিও সম্পর্কে ভালভাবে জেনে নেবেন এবং ঋণ পরিশোধের সময় কি কি চার্জ পরিশোধ করতে হবে তা জেনে নেবেন । আশা করছি আরটিকেলটি আপনাদের ভাল লেগেছে ।