গর্ভাবস্থার সময় মহিলাদের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয় । এমন অবস্থায় তাদের, পুষ্টিকর শাক-সবজি এবং ফলমূল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় । তবে এর অর্থ এই নয় যে, তারা সব ধরনের ফল খেতে পারে । বেশিরভাগ মহিলাই জানেন না যে, গর্ভাবস্থার সময় কোন ফল খাওয়া উচিত এবং কোনটি খাওয়া উচিত নয় । এমন পরিস্থিতিতে, আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সাথে, গর্ভাবস্থায় কোন ফল খাওয়া উচিত এবং গর্ভাবস্থায় কোন ফল খাওয়া উচিত নয় সে সম্পর্কে আলোচনা করব ।
Table of Contents
গর্ভাবস্থায় ফলের উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মহিলাদের ফল খাওয়ার অনেক ধরনের উপকারিতা রয়েছে । গর্ভাবস্থায় ফল খাওয়ার উপকারীতা নিচে উল্লেখ করা হল –
1. আয়রন এবং ফোলেট- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) দ্বারা জারি করা গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মহিলাদের খাদ্য সম্পর্কিত নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, ফল হল ফোলেট এবং আয়রনের অন্যতম প্রধান উৎস । যা গর্ভাবস্থায় মহিলাদের রক্তাল্পতার ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ( তথ্যসূত্র )।
2. ভিটামিন-সি-এর পরিপূরক- ভিটামিন-সি, মা এবং অনাগত শিশু উভয়ের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এটি গর্ভবতী মা এবং ভ্রূণ উভয়কেই অনেক ধরণের রোগ থেকে সুরক্ষা প্রদান করে থাকে ( তথ্যসুত্র ) । একই সাথে আপনাদের বলে রাখি যে, ভিটামিন-সি শরীরে জমা থাকে না । এমন পরিস্থিতিতে, চিকিৎসকরা গর্ভবতী মহিলাদের প্রতিদিন ভিটামিন-সি যুক্ত ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ( তথ্যসুত্র )।
3. কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি- গর্ভাবস্থায় প্রায় ১১ থেকে ৩৩ শতাংশ মহিলা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সম্মুখীন হন । এমন পরিস্থিতিতে পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে চিকিৎসকরা ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন । তাই গর্ভাবস্থার সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা প্রতিরোধে ফল খাওয়াকে উপকারী বলে মনে করা হয় ।
4. প্রিক্ল্যাম্পসিয়া প্রতিরোধ – গর্ভাবস্থার ২০ তম সপ্তাহের পরে, প্রিক্ল্যাম্পসিয়া অর্থাৎ উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেশি থাকে ( তথ্যসূত্র )। এটি প্রতিরোধ করার জন্য, চিকিৎসকরা ফাইবার-সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন, যার মধ্যে ফলও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ( তথ্যসূত্র )।
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় কোন ফল খাওয়া উচিত এবং কোন ফল খাওয়া উচিত নয় ।
আরও পড়ুনঃ উচ্চ রক্তচাপ কি ? উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ, চিকিৎসা এবং ঘরোয়া প্রতিকার
গর্ভাবস্থায় কোন ফল খাওয়া উচিত
গর্ভকালীন সময়ে ফল খাওয়া উচিত, তবে এর অর্থ এই নয় যে, সব ধরনের ফল খাওয়া উচিত । গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া উচিত তা নিচে উল্লেখ করা হল –
কিউই – গর্ভাবস্থায় যে সব ফল খাওয়া উচিত, তার মধ্যে কিউই ফলের নাম অবশ্যই থাকবে । এই ফলে ফোলেট অর্থাৎ ফলিক অ্যাসিড থাকে, যা গর্ভাবস্থায় মহিলাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য বলে বিবেচিত হয় । প্রকৃতপক্ষে, গর্ভাবস্থার সময় ফোলেটের ঘাটতির কারণে শিশুর নিউরাল টিউব রোগ হতে পারে, যেমন মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের সমস্যা ।
চেরি – চেরি ফল ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার সমৃদ্ধ ( তথ্যসূত্র ) । এই সমস্ত উপাদান গর্ভবতী মহিলা এবং শিশুর বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় বলে মনে করা হয় । এছাড়াও চেরি ফল, গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে অর্থাৎ এটি গর্ভাবস্থায় রক্তে উচ্চ শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম । এই সমস্ত কারণে, গর্ভাবস্থায় খেতে হবে এমন ফলের তালিকায় চেরিকেও অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে ।
পেয়ারা – গর্ভাবস্থায় যে সমস্ত ফল খাওয়া উচিত তার মধ্যে পেয়ারা অন্যতম । পেয়ারা আয়রনের একটি খুব ভালো উৎস, যা গর্ভাবস্থার সময় রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি অনেকাংশে কমাতে পারে । এছাড়াও, এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি রয়েছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে । এমন অবস্থায় গর্ভাকালীন সময়ে পেয়ারা খাওয়া উপকারী হতে পারে ।
আম – গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে আম খাওয়া খুবই উপকারী । ইঁদুরের উপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, আমে ফাইটোস্ট্রোজেন, আয়রন, পলিফেনল, ক্যালসিয়াম এবং পটাসিয়াম রয়েছে, যা ভ্রূণের হাড়, টিস্যু এবং দাঁতের বিকাশে উপকারী ভুমিকা পালন করে ( তথ্যসূত্র )। এছাড়াও এতে ভিটামিন-সি রয়েছে, যা পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে ( তথ্যসূত্র )।
নাশপাতি – বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দেওয়া এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, নাশপাতিতে ভিটামিন, খনিজ এবং ফোলেট রয়েছে, যা গর্ভাবস্থায় রক্তাল্পতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে । সেই সাথে নাশপাতিতে ভিটামিন-সিও পাওয়া যায়, যা মা এবং অনাগত শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ( তথ্যসূত্র ) ।
আপেল – NCBI-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, গর্ভাবস্থার সময় আপেল খাওয়া, গর্ভবতী মহিলার পাশাপাশি শিশুর জন্যও খুবই উপকারী । অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, যে সমস্ত গর্ভবতী মহিলা তাদের গর্ভকালীন সময়ে আপেল খান, তাদের শিশুদের অ্যালার্জি এবং হাঁপানি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে ( তথ্যসুত্র )। এছাড়াও আপেলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ, ফাইবার, ফোলেট, পটাসিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং পেকটিন-এর মতো পুষ্টি উপাদান ( তথ্যসূত্র )। এই সমস্ত পুষ্টি গর্ভাবস্থায় মহিলাদের জন্য অপরিহার্য বলে মনে করা হয় ( তথ্যসূত্র ) ।
স্ট্রবেরি – গর্ভকালীন সময়ে স্ট্রবেরি খাওয়া, গর্ভবতী মা এবং শিশুর জন্য খুবই উপকারী । NCBI ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, স্ট্রবেরির মতো ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাদ্য গর্ভবতী মহিলার শরীরে আয়রনের শোষণ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য উপকারী বলে মনে করা হয় ( তথ্যসূত্র ) ।
তরমুজ – গর্ভাবস্থায় প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় তরমুজ অন্তর্ভুক্ত করলে, তা মা এবং শিশু উভয়ের জন্যই ভাল । প্রকৃতপক্ষে, তরমুজে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন-এ এর মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে । এই পুষ্টিগুলি গর্ভবতী মহিলার পাশাপাশি ভ্রূণের বিকাশের জন্য অত্যন্ত উপকারী । এছাড়াও, অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, তরমুজের মধ্যে লাইকোপিন নামক একটি রাসায়নিক যৌগ রয়েছে, যা গর্ভাবস্থায় শিশুর স্বাভাবিক ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে ( তথ্যসূত্র ) ।
শরিফা – গর্ভাবস্থার সময় শরিফা খেতে পারেন । একটি গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থায় শরিফা খাওয়া, ভ্রূণের মস্তিষ্ক, স্নায়ুতন্ত্র এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বিকাশে কার্যকর ভুমিকা পালন করে । এছাড়াও, এটি প্রসবের সময় গর্ভপাত এবং ব্যথার ঝুঁকি কমাতে সক্ষম ( তথ্যসূত্র )।
ডালিম – ডালিমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে রয়েছে, যা গর্ভকালীন সময়ে ভ্রূণকে পুষ্ট করার সময় প্লাসেন্টাতে নিরাপদ প্রভাব ফেলতে পারে । এছাড়াও এতে থাকা ফোলেট, ভ্রূণকে রক্ষা করার পাশাপাশি জন্মগত বিভিন্ন ত্রুটি রোধ করতে সাহায্য করে ।
কলা – অস্ট্রেলিয়ান ডায়েটারি নির্দেশিকা অনুসারে, গর্ভবতী মহিলাদের ডায়েটে কলা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত ( তথ্যসূত্র ) । একই সাথে অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, কলাতে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার, সেলেনিয়াম, আয়রন, ফোলেট প্রভৃতি পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা একজন গর্ভবতী মহিলা এবং ভ্রূণ সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । এছাড়াও, গর্ভবতী মহিলাদের বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা কমাতে কলা খাওয়া উপকারী বলে মনে করা হয় ( তথ্য )।
কমলা – কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা মা এবং শিশু উভয়ের ইমিউনিটি সিস্টেম শক্তিশালী করতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে । এছাড়াও, কমলালেবুতে থাকা ফোলেট ভ্রূণের বিকাশের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ।এই সমস্ত কারণে, গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়া গর্ভবতী মহিলা এবং শিশু উভয়ের জন্যই উপকারী ।
জাম্বুরা – গর্ভকালীন সময়ে জাম্বুরা খাওয়া উপকারী বলে মনে করা হয় ( তথ্যসূত্র )। যে কোন গর্ভবতী মহিলার গর্ভাবস্থায়, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে । এমন পরিস্থিতিতে, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস ( তথ্যসূত্র ) সমস্যা নিয়ন্ত্রণে, গর্ভবতির খাদ্যতালিকায় জাম্বুরা অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয় । এছাড়াও, ভিটামিন-সি রয়েছে এমন ফল খাওয়া গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের বিকাশের জন্য ভাল বলে মনে করা হয় ( তথ্যসূত্র )। আর জাম্বুরাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি রয়েছে ।
নোট: উপরে উল্লিখিত যে কোন ফল খাওয়ার আগে, অনুগ্রহ করে একজন ডাক্তার বা বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করে নিন, কারণ সবার গর্ভাবস্থা এক রকম নয় । এই ক্ষেত্রে, আরও বেশী যত্ন নেওয়া উচিত ।
গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া উচিত তা জানার পর চলুন এবার জেনে নেয়া যাক গর্ভাবস্থায় কোন ফল খাওয়া উচিত নয় ।
আরও পড়ুনঃ ব্লু লাইট কি ? ব্লু লাইট চোখের জন্য কতটা বিপজ্জনক?
গর্ভাবস্থায় কোন ফল খাওয়া উচিত নয়
আর্টিকেলের উপরের অংশে আমরা জেনেছি গর্ভাবস্থায় কোন কোন ফল খাওয়া উচিত । এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় কোন ফল খাওয়া উচিত নয় ।
1. কাঁচা পেঁপে
কাঁচা পেঁপে – গর্ভাবস্থায় কোন ফল খাওয়া উচিত নয় তার প্রথম উত্তর হল কাঁচা পেঁপে ( তথ্যসূত্র )। গর্ভাবস্থায় কাঁচা পেঁপে খেলে গর্ভপাতের ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায় । এই প্রসঙ্গে, ইঁদুরের উপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, কাঁচা পেঁপে খাওয়া গর্ভাবস্থার সংকোচনকে ট্রিগার করতে পারে, যার ফলে গর্ভপাত হতে পারে ( তথ্যসূত্র ) ।
আনারস – গর্ভাবস্থার সময়ে আনারস খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত । NCBI ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়ার ফলে ব্যথা, অকাল প্রসব, এমনকি গর্ভপাত পর্যন্ত হতে পারে ( তথ্যসূত্র )। এই কারণেই ডাক্তাররা গর্ভবতী মহিলাদের আনারস খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন ।
আঙ্গুর – NCBI-তে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, গর্ভবতী মহিলাদের তৃতীয় মাস থেকে আঙ্গুর খাওয়া বাদ দেওয়া উচিত । এর পেছনে রেসভেরাট্রল নামে একটি যৌগকে দায়ী বলে মনে করা হয় । গবেষণায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, রেসভেরাট্রোলের প্রদাহ-বিরোধী প্রভাব রয়েছে, যা ভ্রূণের ডাক্টাস আর্টেরিওসাস প্রবাহে অর্থাৎ মা থেকে ভ্রূণে রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করতে পারে ( তথ্যসূত্র ) ।
গর্ভাবস্থায় কতগুলি ফল খাওয়া উচিত
নিয়মিত সঠিক পরিমাণে ফল খাওয়া গর্ভাবস্থার সময় মা এবং শিশু উভয়ের জন্যই উপকারী । চিকিৎসকরা দিনে ৩ থেকে ৪ বার ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন । অন্য একটি গবেষণায় দিনে তিনবার ফল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ( তথ্যসূত্র ) । আপনি প্রত্যেকবারে একটি মাঝারি আকারের ফল খেতে পারেন । তবে অবশ্যই মনে রাখবেন যে, গর্ভাবস্থায় যদি কোনও মহিলার ডায়াবেটিস বা অন্য কোনও ধরনের অসুখ থাকে, তবে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার পরেই ফল খান ।
গর্ভাবস্থায় ফল খাওয়ার সময় যেসব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে
গর্ভাবস্থায় ফল খাওয়া উপকারী, তবে ফল গ্রহন করার সময় অবশ্যই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, যা নীচে দেওয়া হল –
- রাসায়নিক এবং কীটনাশক এড়াতে গর্ভাবস্থার সময় শুধুমাত্র জৈব ফল খান ।
- ফল ভাল করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে খান ।
- যে ফলগুলি হালকা নষ্ট হয়ে গেছে বা দাগ লেগে আছে এমন ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন । কারণ এ ধরনের ফল থেকে জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে ।
- যখন ফল খাবেন, তখন সেগুলি কেটে সাথে সাথে খেয়ে নেবেন । আগে থেকে কাটা ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন ।
- পাকা ফল খান ।
- অতিরিক্ত পাকা বা পুরাতন ফল কখনই খাবেন না । সব সময় তাজা ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন ।
শেষ কথা
গর্ভাবস্থায় কোন ফল খাওয়া উচিত এবং গর্ভাবস্থায় কোন ফল খাওয়া উচিত নয়, তা আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই ভালো করে বুঝতে পেরেছেন । এখন আপনি চাইলে আপনার ডায়েটে উপরে উল্লেখিত ফলগুলি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন । তবে সুষম পরিমাণে ফল খাওয়ার সাথে সাথে, এ বিষয়ে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন । আর্টিকেলটি নিয়ে যে কোন ধরনের প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে কমেন্ট সেকশনে জানান ।