বর্তমান সময়ের ব্যস্ত এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা অনেক গুরুতর রোগকে খুব সাধারণ করে তুলেছে, যার মধ্যে একটি হল ডায়াবেটিস । আইডিএফ ডায়াবেটিস অ্যাটলাস ২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী সারা বিশ্বের প্রায় ৫৩৭ মিলিয়ন মানুষ ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন । বিশ্বে (বাংলাদেশ সহ) প্রতি ৭ সেকেন্ডে একজন করে মানুষ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে । বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় এক কোটি ১০ লাখ । এটা মনে করা হয় যে, কেউ যদি ডায়াবেটিস বা সুগারের রোগে আক্রান্ত হন, তাহলে এই রোগ সারাজীবন তার সাথে থাকবে । এ ছাড়া সময়মতো যদি ডায়াবেটিসের চিকিৎসা না করানো হয়, তাহলে ডায়াবেটিসের সমস্যা মারাত্মক আকার ধারন করতে পারে । যে কারণে আজকের এই নিবন্ধে আমরা ডায়াবেটিস কী সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবে । সেই সাথে ডায়াবেটিসের কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা এবং ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কেও আপনাদের তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব । আজকের আর্টিকেলে উল্লেখিত ডায়াবেটিসের ঘরোয়া প্রতিকার গুলোর মাধ্যমে আপনারা ডায়াবেটিসকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন । তবে ঘরোয়া প্রতিকারের পাশাপাশি আমাদের পরামর্শ হল, কেউ যদি এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের থেকে পরামর্শ নেওয়া উচিত ।
Table of Contents
ডায়াবেটিস কি – ডায়াবেটিস কাকে বলে
সাধারণ ভাবে বলতে গেলে ডায়াবেটিস হল রক্তে অতিরিক্ত চিনির পরিমাণ । আর ডাক্তারদের ভাষায় ডায়াবেটিস হল এক ধরনের মেটাবলিক ডিজঅর্ডার । ইনসুলিনের কাজ ব্যাহত হলে অর্থাৎ শরীর পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদন ও তা ব্যবহার করতে না পারলে এই সমস্যা দেখা দেয় । ইনসুলিন হল অগ্ন্যাশয় দ্বারা তৈরি একটি হরমোন । ইনসুলিন গ্লুকোজকে ভেঙ্গে শক্তিতে রূপান্তর করতে সাহায্য করে । কিন্তু যখন ইনসুলিনের কার্যকারিতা ব্যাহত হয় অর্থাৎ যখন শরীরে ইনসুলিন তৈরি হতে না পারে অথবা এটা ঠিক মতো কাজ না করে, তখন গ্লুকোজ শক্তিতে রূপান্তরিত না হয়ে রক্তে জমা হতে থাকে এবং এর ফলে ধীরে ধীরে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়তে থাকে, এর ফলে ডায়াবেটিসের সমস্যা দেখা দেয় ( তথ্যসূত্র ) । সেই সাথে যদি সময়মতো রক্তের সুগার কমানোর ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে ডায়াবেটিসের কারণে হৃৎপিণ্ড, কিডনি, চোখ, স্নায়ু এবং ত্বক সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে ( তথ্যসূত্র )। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ডায়াবেটিসের লক্ষণ ও চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করব ।
ডায়াবেটিস কত ধরনের – ডায়াবেটিস কত প্রকার
ডায়াবেটিস সাধারণত ৪ ধরনের হয়ে থাকে- টাইপ-১, টাইপ-২, জেস্টেশনাল ও অন্যান্য।
টাইপ-১ ডায়াবেটিস – এই ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে কম বা কোন রকম ইনসুলিন উৎপন্ন হয় না । এই ধরনের ডায়াবেটিস, সাধারণত ছোট শিশু বা মাঝ বয়সী বাচ্চাদের মধ্যে বেশী দেখা যায় । এই ধরনের ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে যদি আলাদা করে ইনসুলিন দেওয়া না হয়, তাহলে রোগী মারাও যেতে পারেন । ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ শতাংশ এই টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ।
টাইপ-২ ডায়াবেটিস – এই ধরনের ডায়াবেটিসে শরীরে ইনসুলিন উৎপন্ন হয়, কিন্তু সেটা ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না । এর ফলে আমরা যে খাবারই খাই না কেন, সেটা গ্লুকোজ হিসেবে শরীরে জমা হতে থাকে । এই অবস্থাকে টাইপ-২ ডায়াবেটিস বলে হয় । এই ধরণের ডায়াবেটিস সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক অর্থাৎ ৩৫ থেকে ৪০ বছরের মানুষের মধ্যে বেশী দেখা যায় । ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত । টাইপ 2 ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করার সবচেয়ে সেরা উপায় হল ওজন কমানো, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং সঠিক খাদ্য গ্রহণ করা ।
জেস্টেশনাল – যে কোনো বয়সের মানুষ এই ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারেন । শরীর যখন রক্তের সব চিনি বা গ্লুকোজ কে ভাঙতে ব্যর্থ হয়, তখনই এই টাইপের ডায়াবেটিস হয় । এই টাইপের ডায়াবেটিসের কারণে মানুষের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ইত্যাদি হতে পারে ।
অন্যান্য ডায়াবেটিস – এই ধরনের ডায়াবেটিসের মধ্যে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস অন্তর্ভুক্ত । এই ধরনের ডায়াবেটিস সাধারণত গর্ভাবস্থায় ঘটে । এছাড়াও আরও কিছু ধরনের ডায়াবেটিস রয়েছে, যেমন মনোজেনিক ডায়াবেটিস (জিনের ত্রুটির কারণে ডায়াবেটিস) এবং সিস্টিক ফাইব্রোসিস সম্পর্কিত ডায়াবেটিস ।
আরও পড়ুনঃ লো প্রেশারের কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা এবং ঘরোয়া প্রতিকার
ডায়াবেটিসের লক্ষণ কি কি – ডায়াবেটিসের উপসর্গ
ডায়াবেটিসের লক্ষণ সম্পর্কে আমাদের সকলের জানা জরুরী । ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলি নিচে দেওয়া হল –
- ঘন ঘন তৃষ্ণা পাওয়া
- ঘন ঘন মূত্রত্যাগ
- ক্ষুধা বৃদ্ধি বা ঘন ঘন ক্ষুদা লাগা
- ক্লান্তি অনুভব করা
- চোখে ঝাপসা দেখা
- পায়ে বা হাতে অসাড়তা বা শিহরণ
- ক্ষত নিরাময় হতে বেশী সময় লাগা
- ওজন কমে যাওয়া
- ত্বক শুস্ক হয়ে যাওয়া
- চামড়া ফেটে যাওয়া
ডায়াবেটিসের কারণ – ডায়াবেটিস কেন হয়
ডায়াবেটিসের লক্ষণ গুলো জানার পর এখন জেনে নেয়া যাক ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ । ডায়াবেটিসের কারণ নিচে দেওয়া হল –
- যখন আমাদের ইমিউন সিস্টেম ইনসুলিন তৈরিকারী কোষগুলিকে ধ্বংস করে ।
- ইনফেকশনের কারণে ।
- জেনেটিক কারণে ।
- স্থূলতার কারণে অর্থাৎ অতিরিক্ত মোটা হওয়ার কারণে
- শারীরিক কার্যকলাপ কম করলে বা ব্যায়াম না করলে
- ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স অর্থাৎ যখন ইনসুলিনের কাজ ব্যাহত হয়
- পরিবারের কারো ডায়াবেটিস থাকলে ।
- উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে ।
- খুব বেশি অ্যামনিওটিক তরল পান করলে ।
- গর্ভাবস্থার আগে অতিরিক্ত ওজনের কারণে ।
- পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের কারণে
- যদি গর্ভবতী মহিলার গর্ভাবস্থায় ওজন বেশি হয়।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি কাদের
- যাদের পরিবারের কারও ডায়াবেটিস আছে, তাদের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশী ।
- বয়সও ডায়াবেটিসের একটি কারণ হতে পারে । যদিও এটি যেকোনো বয়সের মানুষের ক্ষেত্রে হতে পারে, তবে মধ্যবয়সী বা বৃদ্ধ ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন ।
- কারো যদি প্রি-ডায়াবেটিস থাকে, অর্থাৎ রক্তে শর্করার মাত্রা এমনিতেই বেশি থাকে
- অতিরিক্ত ওজন
- গর্ভাবস্থায় যদি কোনও মহিলার গর্ভকালীন ডায়াবেটিস থাকে ।
- অত্যধিক জাঙ্কফুড খেলে
- অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে
- এছাড়াও চা, কোল্ড ড্রিঙ্কস ও মিষ্টি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে
ডায়াবেটিসের ঘরোয়া প্রতিকার – ডায়াবেটিস দূর করার ঘরোয়া উপায়
এখানে আমরা ডায়াবেটিসের কিছু ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে বলছি । কিন্তু মনে রাখবেন যে, ডায়াবেটিসের এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি আপনার ডায়াবেটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে । কিন্তু এগুলোকে কোনোভাবেই ডায়াবেটিসের চিকিৎসা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয় । নিচে ডায়াবেটিসের ঘরোয়া প্রতিকারগুলো দেওয়া হল –
করলার জুস – করলা ভাল করে ধুয়ে কিছুটা পানি দিয়ে ব্লেন্ড করুন । এরপর এতে স্বাদ অনুযায়ী লবণ, গোলমরিচ ও লেবুর রস মিশিয়ে নিন । এবার এই করলার জুসটি পান করুন । এটি আপনারা প্রতিদিন পান করুন । করলার অনেক ধরনের উপকারিতা রয়েছে । এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুব ভাল কাজ করে । NCBI (ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে যে, করলার অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভুমিকা পালন করে ( তথ্যসূত্র )। তাই করলার জুসকে ডায়াবেটিসের ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে ।
দারুচিনি – হাফ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো ১ গ্লাস হালকা গরম পানিতে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে প্রতিদিন পান করুন । NCBI-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দারুচিনির ব্যবহার উপকারী হতে পারে ।দারুচিনির অ্যান্টিডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য রক্তে গ্লুকোজের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে ( তথ্যসূত্র )।
মেথি – ২ কাপ পানিতে ২ চামচ মেথির বীজ মিশিয়ে সারারাত রেখে দিন । আপনি চাইলে হালকা গরম পানিতেও মেথি ভিজিয়ে রাখতে পারেন । পরের দিন সকালে পানি ফিল্টার করে খালি পেটে সেই পানি পান করুন । এটি আপনি প্রতিদিন সকালে খেতে পারেন । মেথি ডায়াবেটিসের জন্য খুবই উপকারী । গবেষণায় দেখা গেছে, মেথি বীজ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে ( তথ্যসূত্র )। একই সময়ে, আরও একটি গবেষণায় জানা গেছে যে, হালকা গরম পানিতে মেথির বীজ ভিজিয়ে রেখে সেই পানি সকালে পান করলে বেশী উপকার পাওয়া যায় ( তথ্যসূত্র )।
অ্যালোভেরা – প্রতিদিন এক বা দুবার চিনি বাদ দিয়ে অ্যালোভেরার জুস বানিয়ে খান । যদি আপনার এভাবে অ্যালোভেরা খেতে সমস্যা হয় তাহলে আপনি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে অ্যালোভেরা ক্যাপসুলও খেতে পারেন। অ্যালোভেরা ডায়াবেটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে খুব ভাল কাজ করে । অ্যালোভেরার অ্যান্টিডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে । এর ব্যবহার খাবারের পরে রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভুমিকা পালন করে ( তথ্যসূত্র )। আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, অ্যালোভেরার পাল্প টাইপ 1 এবং টাইপ 2 ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক । এছাড়াও অ্যালোভেরা, প্রি-ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী ।
দুগ্ধজাত পণ্য – ডায়াবেটিস রোগীরা কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার ব্যবহার করতে পারেন । গবেষণায় দেখা গেছে যে, দুগ্ধজাত দ্রব্যের ব্যবহার টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে ( তথ্যসুত্র )। তাই এই ধরনের পণ্যকে সুগারের ঘরোয়া প্রতিকার হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে ।
জিনসেং চা – প্রথমে একটি সসপ্যানে পানি নিয়ে, এতে ১ বা ২ চা চামচ জিনসেং চা পাতা মেশান । এরপর ভাল করে ফুটিয়ে নিন ।চা ভাল করে ফুটে উঠলে গ্যাস বন্ধ করে দিন । তারপর কাপে ছেকে নিয়ে হালকা ঠাণ্ডা করে পান করুন । জিনসেং চা প্রতিদিন একবার করে খেতে পারেন । জিনসেং চা (বাজারে বা অনলাইনে পাওয়া যায়) এর উপকারিতা সম্পর্কে কথা বললে , এটি ডায়াবেটিস সহ প্রদাহজনিত অনেক রোগের জন্য উপকারী । আসলে, জিনসেং চা এ অ্যান্টিডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে । এই গুণের কারণে, জিনসেং চা পান করার ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যায় । অন্য একটি গবেষণা অনুসারে, খাবারের দুই ঘন্টা আগে জিনসেং চা পান করলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে ।
রসুন – প্রতিদিন সকালে ১ বা ২ কোয়া রসুন চিবিয়ে খেতে পারেন । আপনার যদি কাঁচা রসুন খেতে সমস্যা হয়, তাহলে আপনি সবজি তৈরির সময় এতে কিছু রসুন যোগ করে সেগুলো খান । তবে কাঁচা রসুন খেলে বেশী উপকার পাওয়া যায় । ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য রসুন খুব উপকারী । NCBI-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত রসুন খাওয়া ডায়াবেটিক রোগীদের শরীরে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ( তথ্যসূত্র )। অন্য আর একটি গবেষণায় দেখা গেছে, রসুনের নির্যাস ডায়াবেটিসের সমস্যায় উপকারী ।
নিম – কয়েকটি নিম পাতা ভালো করে ধুয়ে সকালে চিবিয়ে খেয়ে নিতে পারেন । এছাড়া আপনি চাইলে ১ গ্লাস পানিতে এক চা চামচ নিমের পাতার পেস্ট ভালোভাবে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে পান করতে পারেন । নিম পাতা ডায়াবেটিসের জন্য অত্যন্ত উপকারী । NCBI-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে হে নিমের পাতায় হাইপোগ্লাইসেমিক প্রভাব রয়েছে । এই হাইপোগ্লাইসেমিক প্রভাব রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে খুব ভাল কাজ করে । এমন পরিস্থিতিতে, নিমের ব্যবহার রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রেখে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে ( তথ্যসূত্র ) ।
পেয়ারা – প্রতিদিন একটি করে পেয়ারা খান । আপনি চাইলে পেয়ারা ছোট ছোট টুকরো করে কেটে লবণ দিয়েও খেতে পারেন । তবে যদি আপনার হাই প্রেশারের সমস্যা থাকে তাহলে লবণ ছাড়াই খান । পেয়ারা খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভাল ।গবেষণায় জানা গেছে, পেয়ারা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে উপকারী । পেয়ারার পলিস্যাকারাইডে (এক ধরনের কার্বোহাইড্রেট) উপস্থিত অ্যান্টি-ডায়াবেটিক প্রভাব ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুব ভাল কাজ করে । এছাড়াও খোসা ছাড়া পেয়ারা রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে কার্যকর বলে মনে করা হয় ( তথ্যসূত্র )।
ওটমিল – ডায়াবেটিসের সমস্যা কমাতে প্রতিদিন এক বাটি ওটমিল খেতে পারেন । ওটমিল রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম ।প্রতিদিন ওটমিল খেলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় । ওটমিলে উপস্থিত বিটা-গ্লুকান (কার্বোহাইড্রেট), রক্তের গ্লুকোজ কমানোর সাথে সাথে হৃদরোগের ঝুঁকি থেকেও রক্ষা করতে পারে ( তথ্যসূত্র )। তবে সব ধরনের ওটমিলে আপনি এই উপকারগুলো পাবেন না । তাই স্বাদযুক্ত বা ইনস্ট্যান্ট ওটমিল খাওয়া এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলোতে অতিরিক্ত চিনি থাকতে পারে ।
গ্রীন টি – প্রথমে এক কাপ পানি গরম করে কাপে ঢেলে নিন । এরপর সেই পানিতে গ্রিন টি এর ব্যাগ টি দিয়ে ২-৩ মিনিট রাখুন ।এরপর সেই গ্রিন টি বা সবুজ চা পান করুন । আপনি প্রতিদিন গ্রিন টি খেতে পারেন । গ্রীন টি এর ব্যবহার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে ।প্রকৃতপক্ষে, একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ৩ কাপ বা তার বেশি গ্রিন টি খাওয়া মানুষের মধ্যে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি 33% কম দেখা গেছে । সেই সাথে, নিয়মিত গ্রিন টি সেবন গ্লুকোজ বিপাকের উন্নতি করে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি রোধ করতে পারে । তবে, গ্রিন টি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত, এটি অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করলে ক্ষতি হতে পারে ।
ব্ল্যাক কফি – ১ কাপ গরম পানিতে ১ চা চামচ কফি পাউডার মিশিয়ে সেবন করুন । আপনি চাইলে প্রতিদিন এক কাপ করে ব্ল্যাক কফি খেতে পারেন । কফির ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়ক বলে প্রমাণিত হয়েছে । এ সংক্রান্ত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রতিদিন দুধ এবং চিনি ছাড়া কফি খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় । কফির প্রফিল্যাকটিক প্রভাব রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে ( তথ্যসূত্র )।
আদা – একটি প্যানে ১ গ্লাস পানি নিয়ে তাতে কিছুটা আদা কুচি করে দিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন । এরপর পানিটি ঠান্ডা করে ছেঁকে নিয়ে সেই পানি পান করুন । আপনি প্রতিদিন একবার করে এই পানি পান করতে পারেন । আদা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে খুবই উপকারী । আদার হাইপোগ্লাইসেমিক (ব্লাড সুগারের হাইপোগ্লাইসেমিক-হ্রাস) প্রভাব, ডায়াবেটিস কমানোর সাথে সাথে ডায়াবেটিসজনিত অন্যান্য জটিলতা থেকেও রক্ষা করতে সক্ষম ( তথ্যসূত্র )। টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে আদা একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ডায়াবেটিক এজেন্ট হিসাবে কাজ করতে পারে ।
মৌরি – ১ কাপ কালো চায়ের সাথে 2.5 মিলি মৌরি তেল মিশিয়ে পান করুন । এই মিশ্রণ দিনে এক বা দুবার পান করতে পারেন । এছাড়াও আপনি প্রতিদিনের খাবারের সাথে মৌরি ব্যবহার করতে পারেন । মৌরি তেল ডায়াবেটিসে উপকারী । এটি রক্তে গ্লুকোজের ভারসাম্য ঠিক রাখতে সহায়তা করে ( তথ্যসূত্র )। এছাড়াও এর অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্যের পাশাপাশি এটি ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল কমিয়ে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে ( তথ্যসূত্র ) ।
কারি পাতা – আপনি প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ টি কারিপাতা ভাল করে ধুয়ে কাঁচা চিবিয়ে খেতে পারেন । আবার রান্নার সময় কারি পাতা ব্যবহার করতে পারেন । ডায়াবেটিসের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা হিসেবে কারি পাতা ইউজ করা যেতে পারে । আয়ুর্বেদে কারি পাতাকে ওষুধ হিসেবে মনে করা হয় । কারিপাতার অনেক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে একটি হল অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য ( তথ্যসূত্র ) ।এমন অবস্থায় কারি পাতা খেলে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক থাকে এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাও কমানো যায় । এছাড়াও, কারি পাতা টাইপ 2 ডায়াবেটিস রোগীদের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে ।
ভিটামিন – ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পুষ্টি অপরিহার্য । ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, সি, ডি, ই এবং কে প্রয়োজন । এমতাবস্থায় ডায়াবেটিস রোগীদের সাপ্লিমেন্ট বা অন্য কোনো ধরনের ওষুধ খাওয়ার চেয়ে তাদের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা সবচেয়ে ভালো ।
ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে কখন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত?
যদি একজন ব্যক্তির ডায়াবেটিস থাকে এবং একই সাথে তিনি অসুস্থ বোধ করেন বা নিম্নলিখিত উপসর্গগুলি দেখা যায়, তবে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন –
- রক্তে শর্করার মাত্রা খুব বেশি বেড়ে গেলে ।
- বমি বমি ভাব বা বমি হয়।
- যদি রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যায় এবং কিছু খাওয়ার পরেও তা না বাড়ে ।
- দেখতে, কথা বলতে এবং শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সমস্যা হয় ।
- স্মৃতির সমস্যা
- প্রচন্ড বুকে ব্যাথা
- হাত-পা নাড়াতে অসুবিধা
আরও পড়ুনঃ কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ, লক্ষণ এবং ঘরোয়া প্রতিকার
ডায়াবেটিস নির্ণয় করার উপায়
একজন ডাক্তার ডায়াবেটিস সন্দেহ করেন, যখন কোন ব্যক্তির রক্তে শর্করার মাত্রা 200 mg/dL (11.1 mmol/L) এর থেকে বেশি হয় । ডায়াবেটিস নির্ণয়ের জন্য নিম্নলিখিত পরীক্ষাগুলি করা হয়ে থাকে –
- গ্লুকোজ ফাস্টিং টেস্ট : এই ধরনের রক্ত পরীক্ষা খুবই সাধারণ । এই পরীক্ষাটি সকালে একদম খালি পেটে করা হয় । এই পরীক্ষাটি রক্তে শর্করার সঠিক মাত্রা জানতে সাহায্য করে ।
- র্যান্ডম ব্লাড সুগার টেস্ট: ডাক্তার যখন রোগীর মধ্যে ডায়াবেটিসের লক্ষণ দেখেন এবং খালি পেটে রক্ত পরীক্ষা করার জন্য অপেক্ষা করতে চান না তখন এই টেস্ট করা হয় । এই ব্লাড টেস্ট সারা দিনের যেকোনো সময় করা যেতে পারে ।
- A1C পরীক্ষা : এই পরীক্ষায়, প্রতিদিনের রক্তে শর্করার ওঠানামা টেস্ট করার পরিবর্তে, গত ৩ থেকে ৪ মাসের মাত্রা পাওয়া যায় । এই পরীক্ষার জন্য রোগীর খালি পেটে থাকার প্রয়োজন হয় না এবং দিনের মধ্যে যে কোনও সময় এই টেস্ট করা যেতে পারে ।
- গ্লুকোজ স্ক্রীনিং টেস্ট : যদি কোন মহিলা গর্ভবতী হন এবং ডাক্তার তাকে গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে মনে করেন, তখন এই পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হয় । এই পরীক্ষার জন্য খালিপেটে থাকার দরকার নেই । এটিতে রোগীকে একটি মিষ্টি পানীয় দেওয়া হয় এবং এটি পান করার এক ঘন্টা পরে এই টেস্ট করা হয় ।
- ওরাল গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট : ডায়াবেটিসের লক্ষণ পরীক্ষা করার জন্য ওরাল গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট করা হয়ে থাকে ।এই পরীক্ষার প্রায় ২ ঘন্টা আগে গ্লুকোজ পানি পান করতে হয় । এর পরে, পরবর্তী ২ ঘন্টা কন্টিনিউয়াস রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করা হয় ।
- সাধারণ জিজ্ঞাসা : ডাক্তার রোগীকে তার বা তার পরিবার সম্পর্কে সাধারন কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারেন । যেমন পরিবারে কারো ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে কি না । এছাড়াও, ওজন মাপতে পারেন এবং আরও কিছু লক্ষণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে পারেন ।
ডায়াবেটিস চার্ট – সুগার চার্ট
এখানে আমরা টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর নরমাল ডায়াবেটিস ব্লাড সুগার চার্ট সম্পর্কে তথ্য দিচ্ছি । এসব তথ্য থেকে জানা যাবে রক্তে সুগারের মাত্রা কেমন হওয়া উচিত । যদি সুগারের মাত্রা নিচের পরিসংখ্যানের চেয়ে বেশি বা কম হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ।
টাইপ 1 ডায়াবেটিস চার্ট
খালি পেট (গ্লুকোস )এমজি/ডিএল | খাবারের পরে গ্লুকোজ ( আফটার মিল টেস্ট গ্লুকোজ )এমজি/ডিএল | শোবার আগে গ্লুকোজ ( শোবার সময় গ্লুকোজ )এমজি/ডিএল |
90 থেকে 130 মিলিগ্রাম/ডিএল | 180 mg/dL এর কম | 90 থেকে 150 মিলিগ্রাম/ডিএল |
টাইপ 2 ডায়াবেটিস চার্ট
খালি পেট (গ্লুকোস )এমজি/ডিএল | খাবারের পরে গ্লুকোজ ( আফটার মিল টেস্ট গ্লুকোজ )এমজি/ডিএল |
70 থেকে 130 মিলিগ্রাম/ডিএল | 180 mg/dL এর কম |
ডায়াবেটিসের ডায়েট চার্ট – ডায়াবেটিস রোগীর ডায়েট চার্ট
ডায়াবেটিসের চিকিৎসা হিসেবে কোন খাবারগুলো উপকারী হতে পারে তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । নিচে জেনে নিন ডায়াবেটিসে কী খাবেন এবং কী খাবেন না –
কি খাবেন
- সবুজ শাকসবজি যেমন ব্রকলি, গাজর, গোলমরিচ, টমেটো, আলু, সবুজ মটর এবং ভুট্টা।
- ফল যেমন আপেল, পেয়ারা, কলা, আঙ্গুর, কমলা এবং বেরি
- ওটস, বার্লি, রুটি, পাস্তা
- মাছ
- চিকেন
- ডিম
- কম চর্বিযুক্ত দুধ, দই
- বাদাম
- চিনাবাদাম
কি খাবেন না :
- উচ্চ চর্বিযুক্ত বা চিনিযুক্ত ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন ।
- উচ্চ সোডিয়ামযুক্ত খাবারের সাথে চিনি এড়িয়ে চলুন ।
- চিনিযুক্ত মিষ্টি খাবার যেমন আইসক্রিম, ক্যান্ডি বা বেকারির খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন ।
- চিনিযুক্ত পানীয় যেমন ঠান্ডা পানীয়, সফট ড্রিঙ্কস, সোডা বা জুস ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন ।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ – ডায়াবেটিস প্রতিরোধের টিপস
যদি মনে প্রশ্ন আসে যে কীভাবে ডায়াবেটিস এড়ানো যায়, তাহলে নিচের বিষয়গুলো মাথায় রাখলে একজন মানুষ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কিছুটা কমাতে পারে –
- ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন ।
- আপনার খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন এবং সবসময় স্বাস্থ্যকর খাবার খান ।
- নিয়মিত যোগব্যায়াম বা ব্যায়াম করুন ।
- পরিবারের কারো ডায়াবেটিস থাকলে ডাক্তারের সাথে কথা বলে পরামর্শ নিন ।
- এক বারে পেট ভরে না খেয়ে পরিমাণে অল্প অল্প করে বারে বারে খান ।
- ধূমপান থেকে বিরত থাকুন
- নিয়মিত আপনার ব্লাড সুগার টেস্ট করুন ।
- চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ নিয়মিত সেবন করুন ।
- সঠিক এবং স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের কাছে ডায়াবেটিসের ডায়েট চার্ট সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন ।
- অতিরিক্ত তেল ও মসলাজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন
- সঠিক পরিমাণে পানি পান করুন ।
শেষ কথা
কারো ডায়াবেটিস না থাকলেও ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকার জন্য আজকের আর্টিকেলে উল্লেখিত ডায়াবেটিসের ঘরোয়া প্রতিকারগুলো গ্রহণ করতে পারেন । এছাড়া যাদের ইতিমধ্যেই ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে তারা ডাক্তারের পরামর্শে এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলো অনুসরণ করতে পারেন । ডায়াবেটিসের ঘরোয়া প্রতিকারগুলোর মধ্যে আপনার সুবিধা অনুযায়ী সুগার কমানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে রক্তে শর্করার মাত্রা কমানো বা নিয়ন্ত্রণ করা যায় । ঘরোয়া চিকিৎসার পরেও যদি কোনো উন্নতি না হয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন । সঠিক সময়ে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করলে অন্যান্য অনেক রোগের ঝুঁকি এড়ানো যায় । অতএব, আমাদের মতামত হল যখন আপনি যদি ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো দেখতে পান, তাহলে দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন ।